| কবি ও গীতিকার অজয় ভট্টাচার্যর কবিতা ও গান |
| ওরে সুজন নাইয়া রচনা – অজয় ভট্টাচার্য সুর ও শিল্পী – শচীন দেববর্মন, ১৯৩৫ ওরে সুজন নাইয়া ---- কোন্ বা কন্যার দেশে যাও রে চাঁদের ডিঙি বাইয়া ? সেথা তারার নয়ন-কোলে কার চাহনির মানিক জ্বলে, আবছা মেঘের পত্রখানি কে দিল পাঠাইয়া ? কোন্ সে কন্যার দীরঘ-নিশাস আইল বাউরী বায়ে, চোখের জলে তোমার নাম, কে লেখে আপন গায়ে ? নদীর জলে আরশিতে হায় কোন্ সে প্রিয়া দেখে তোমায়, সাঁঝের পিদিম ভাসায় জলে কে তোমারে চাইয়া ? . ************************* . সূচিতে . . . মিলনসাগর |
| ফুলেরি দিন হল যে অবসান রচনা – অজয় ভট্টাচার্য সুর ও শিল্পী – ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় , ১৯৩৬ ফুলেরি দিন হল যে অবসান, আলোর বাঁশি গাহে বিদায় গান || পাখিরা ফিরে এলো কুলায় শেষের খেয়া ফিরিল হায়, বেদনা বহে নদীর কলতান || সাঁঝের ব্যথা ঘনালো মম প্রাণে, জ্বলিছে দীপ চাহিয়া কার পানে ? ঘনায় আসে বিজন রাত, জীবনে এসো জীবন-নাথ, তুলিয়া লহ আমারি শেষ দান || . ************************* . সূচিতে . . . মিলনসাগর |
| প্রেম নহে মোর মৃদু ফুলহার, দিল সে দহন জ্বালা রচনা – অজয় ভট্টাচার্য সুর --- রাইচাঁদ বড়াল শিল্পী – কে. এল. সায়গল ছবি -- দিদি, ১৯৩৭ প্রেম নহে মোর মৃদু ফুলহার, দিল সে দহন জ্বালা সে প্রেম লাগিয়া তবু নিরজনে গাঁথি যে অশ্রুমালা || হৃদয় আমার যেন সে কমল তব পরশনে মেলিয়াছে দল, সে যে সহে নাকো ধরণীর আলো বেদনা-গরল-ঢাকা || সব চাওয়া মোর যদি হ’ল ভুল, প্রিয়, সে ভুল আমার ভালো ব্যথা ধূপ জ্বেলে হবে সুর সুরভিত, নিভানো প্রদীপে আলো | প্রেমের দেউলে দুখের পূজারী রুধিরে আঁকিনু আল্পনা তারি, বাহিরে যদি গো তোমারে হারাই, অন্তরে তুমি আলা | . ************************* . সূচিতে . . . মিলনসাগর |
| ত্রিংশ কোটির অন্তরনিধি, জয় হোক তব জয় রচনা – অজয় ভট্টাচার্য সুর ও শিল্পী—দিলীপকুমার রায়, ১৯৩৮ ত্রিংশ কোটির অন্তরনিধি, জয় হোক তব জয় | বাজাও সারথি শঙ্খ তোমার দূর কর ছায়াভয় | দুঃখজয়ের তিলক পরেছ ব্যথা-কন্টকে মুকুট লভেছ, হানিল যে শিলা তারে দাও মালা এ যে চিরবিস্ময় ! ( ঘুমের দেশে বাজাও শঙ্খ বাজাও, ঘুম ভাঙাও ভাঙাও সারথি ভাঙাও হে ঘুম ভাঙাও, সাগর-জাগর শঙ্খে যুগের ঘুম ভাঙাও ) | মরণের ভয়ে মরেছিল যারা মৃত্যুবিজয়ী হল আজ তারা, ঐন্দ্রজালিক তোমার ইন্দ্রজালে সর্বহারার মরুভূমি মাঝে মুক্তিসাগর জাগালে বজ্রতালে ( শক্তিতালে ) ; আঁধারের শিশু গাইছে প্রভাতী কহে তারা ডাকি’ শেষ হল রাতি তাদের সাধনা বিগত বেদনা শতদল হয়ে রয় | বাজাও বাজাও বাজাও সারথি বাজাও বাজাও বাজাও ওগো জাগাও জাগাও জাগাও, ওগো শঙ্খে তোমার জাগাও জাগাও জাগাও শঙ্খে তোমার তন্দ্রাপুরী জাগাও জাগাও জাগাও || . ************************* . সূচিতে . . . মিলনসাগর |
| যদি দখিনা পবন রচনা – অজয় ভট্টাচার্য সুর --- হিমাংশু কুমার দত্ত শিল্পী – শচীন দেববর্মন, ১৯৩৪ যদি দখিনা পবন আসিয়া ফিরে গো দ্বারে , বাদল-ব্যাকুল বনে পাবে কি খুঁজিয়া তারে ? যদি এ চাঁদিনী-রাতে নিদ্ নামে আঁখি-পাতে প্রভাতে চাহিয়া চাঁদে ভাসিবে নয়ন-ধারে | যে-কথা কহিতে বাধে, যে-ব্যথা পরানে কাঁদে, আজ না কহিলে প্রিয় কহিবে কবে সে কারে ? . ************************* . সূচিতে . . . মিলনসাগর |
| গোধূলির ছায়াপথে রচনা – অজয় ভট্টাচার্য সুর --- শৈলেশ দত্তগুপ্ত শিল্পী – শচীন দেববর্মণ, ১৯৩৪ গোধূলির ছায়াপথে যে গেল চিনি গো তারে, প্রভাতের ফুল হাতে সে যে এসেছিল দ্বারে | ছিল তার মুখে ভাষা, নয়নে কি যেন আশা, নিল সে যাবার কালে কোন্ ব্যথা আঁখিধারে | বলিনি কি তুমি মম, কহিনি কি ওগো একা আমি একা তোমা সম ? এনেছিল তরীখানি আমার লাগিয়া জানি, কি যে ভুল হলো হায় যাওয়া মোর হলো না রে || . ************************* . সূচিতে . . . মিলনসাগর |