আজ কীভাবে পৃথিবীর ইতিহাস লেখা হবে, কীভাবে আঁকা হবে মানুষের মুখ ও মুখোশ, গুয়ের্নিকার রাক্ষস ও খোক্কস কার যোগসাজসের প্রতিফলন, সমবেত মানুষের অন্তর্লোকের আলের কন্ঠরোধ যাহাদের পরিতৃপ্তির মুখ্য ভূমিকা, উহারা ব্যতীত অসংখ্য মানুষের অস্তিত্বের সীমা নীলিমার অনুরূপ, শ্রেণীবিরোধের অবরোধ প্রতিপন্ন করে | ভারসাম্যের বৈষম্য বেজে ওঠে অশ্রুসমীপে, সময়ের নিরিখে তার আর্তনাদ ব্রাত্য আবেগে শূন্যের প্রকৃত অবস্থান নিরূপণ করে, ব্যতিরেকে অন্য কোন ধর্ম নেই |
পথ যখন দুর্গম হয়ে উঠলো, ঠিক ঐ মুহূর্তে নীলিমা ফুঁড়ে দৈববাণী হলো, এই পথ তুমিই করেছো দুর্গম, আমি মাথার ওপর মুখ তুলে বলি, আর কত রক্তপাত হজম করবো বলো, ত্রিলোচন, তুমি আমার নয়নের মণি
তুমি আমার পথের দুর্গম, অমনি আমি নেচে উঠি সকল নাচের পরম্পরায়, এবার তোমার জেনে নেবার দায় পথ কীভাবে হয়ে উঠলো দুর্গম | হঠাৎ আমি ভূলুন্ঠিত, সংজ্ঞাশূন্যপ্রায়, দেখি, আমার মুখোমুখি আলোকিত এক সাঁকো অথবা তোমার একটা হাত |
না হওয়ার মধ্যে একটা হওয়া ঘুরতে থাকে ধুলো হাওয়ায় ফসলভরা ক্ষেতে যেমনতরো কাকতাড়ুয়া বোবায়ধরা মানুষ যেমন অদৃষ্টেরে দেয় পাহারা এমনধারা একটা হওয়া বস্তুছাড়া মুঠোর মধ্যে ভস্মসম স্থূল নীলিমা |
ধুতরো সাদা আত্মহারা অভিজ্ঞতার রসগ্রহীতা তুমুল অরূপ অর্ধসত্য ছিন্নমস্তা তাড়নার বৃন্তজুড়ে নৃত্যরতা, মৃত্যু যেথায় দ্বিখণ্ডিত অগ্নি হতবাক, অতীব তীব্র ছুটতে থাকে বেআব্রু রক্তধারা, না হওয়ার মধ্যে একটা হাওয়া . চরাচরের স্বমহিমা |
যে সব ঘটনা ঘটার কথা ছিল তাই তাই ঠিকমতো ঘটে গেলে আমি ছিন্নমস্তার নাম জপ করি, প্রশ্ন করি না আর, শুধু, দেখি দেবী, আর তার অপরূপ ও অরূপ |
আত্মরচনার সুখ অতিবিরল এককাহন, শ্রুতির ললাটে বাজে দেবীর পদধ্বনি ও তাঁর পা-দুখানি, বুকের গভীর প্রান্তে এসে বুঝি, কতটা গভীর হলে ক্ষত প্রায়শ্চিত্ত ঘটে, ক্ষিপ্ত হয় পাথর, ভাঙতে থাকে ধ্বস, আমিও এক চিরঅবশ আত্মাহুতি দিই তোমার স্খলনে |
এক হাতে সূঁচ এক হাতে সুতো যেভাবে এই বেঁচে থাকার ব্রত সাঙ্গ করি যেমন-তেমন, ভাবের মধ্যে অভাবনীয়ের স্পর্শ পেতে চাই, অতঃপর বাতাস জাগে চরাচর জুড়ে বাজে রাত্রি |
তুমি একা নৈশালোকে নথিবদ্ধ করো কার প্রতিজন্মের ঐক্যের প্রণয়, চকমকি পাথর থেকে যার শিরা ও প্রত্যঙ্গ |
মনে মনে জানি আমিও বধির, যেহেতু অধীর নই আজো, নৈরাজ্যে বিরাজমান উন্মাদনার অবুঝ মন সঙ্গীতপ্রবণ, তনু তার নিরপেক্ষ সমান |
কার স্বয়ংবরা তছরূপ করে তুমি অট্টহাস্যে ফেটে পড়েছিলে রহস্যের বাতায়নে,
তোমাকেই কেন্দ্রবিন্দু করে দেখি লৌকিক অলৌকিক একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ,
মধ্যরাত্রির একটু আগে প্যাঁচা ডেকে গেলো, বাসনা বলে উঠলো ডেকে উঠলো লক্ষ্মীপ্যাঁচা, অথচ বিকেলের কিছু আগে একটা চিল তোমার দৃষ্টির সঙ্গে চোখ রেখে কোনো অজানা এক সন্ধি করে নিলো, অতঃপর বলো, কবি কি কখনো কারো প্রেমিক হতে পারে |