কবি গীতিকার অনুপ চক্রবর্তী - জন্মগ্রহণ করেন জলপাইগুড়ি জেলার গোঁসাইহাটে। তিনি খুঁটিমারি
স্কুলে পড়েছিলেন ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত, তারপর ধূপগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে বেলাকোবার কলেজে ঢোকেন। বি.এস.
সি পার্ট টু আর দেওয়া হয়নি।

বর্তমানে তিনি গোঁসাইহাট থেকে নয় দশ কিলোমিটার দূরে একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাড়িতে
ছোটোবেলায় গানবাজনা করতে দিতো না।  কিন্তু  তাঁর শিলিগুড়ির পিসিদের বাড়িতে গানের রেওয়াজ
ছিলো। সেখানেই শুনে শুনে গান শিখেছেন।

গণসংগীত নিয়ে আছেন ১৯৭৮-৭৯ সাল থেকে। বন অঞ্চলে থাকতেন। সরকার এই সব অঞ্চলে গরীবদের
জমি দিতো, বদলে তাদের ফরেস্টের সরকারী কাজ করে দিতে হতো। আসলে যারা জমি পেতো তারা
সরকারী কর্মচারীদের গোলাম হয়ে যেতো। তাছাড়া জোতদারদের অত্যাচার তো ছিলই। এই সব দেখেই
গান লেখার উত্সাহ পান কবি অনুপ চক্রবর্তী।

কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না। গণনাট্যের সদস্য হয়েছিলেন। পরে তা আর রিনিউ
করেন নি। পরে “কোরাস” নামের একটা দলের সংগে যুক্ত হয়েছিলেন। তখন রাস্তায় গাইতেন।

তিনি কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনের উপর গান লেখেন না। শোষিত নিপীড়িত মানুষের কথা লেখেন।
অনেকে অনেক সময়ে গান লিখে দিতে বলেন। পছন্দ হলে লেখেন, না হলে লেখেন না। তিনি বামফ্রন্টের
সাক্ষরতা নিয়েও গান লিখে দিয়েছিলেন।

তিনি খালি গলায় গাইতেন। নজরুলগীতি শেখার সময়ে হারমোনিয়ামের ব্যবহার শেখেন। এখন
হারমোনিয়াম নিয়েই গান করেন।

আমরা
কবি রাজেশ দত্তর কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ, কবি অনুপ চক্রবর্তীর এই পাতাটি তৈরী  করার
সবরকম তথ্য, আমাদের দেবার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে।  আমরা আরও কৃতজ্ঞ শ্রী চিররঞ্জন
পালের  ( +৯১৯৪৩৪৫১৬৮৯৮)  কাছে   তাঁর  নানাভাবে  এই পাতাটি তৈরী করতে  সাহায্য করার জন্য।
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “এবং জলার্ক” থেকে ০২.০৬.১৯৯৭ তারিখে প্রকাশিত “যুদ্ধ জয়ের গান”,  গ্রন্থ
থেকে তথ্যাদি নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের কাছেও কৃতজ্ঞ।

আমরা  
মিলনসাগরে  কবি অনুপ চক্রবর্তীর গান ও কবিতা  তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলে এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।



উত্স - ধূপগুড়ির অনুপ চক্রবর্তী, স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “যুদ্ধজয়ের গান” (১৯৯৭)।



কবি অনুপ চক্রবর্তীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।       



আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     



এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২৭.১১.২০১৫
...