আমি সহসা দেখেছি আমারে— মনে বয়ে যায় বেদনার ঝড়, আঁখিপাতে ঝরে যায় বিরহের জল, আমি তবে কি বিরহী?...,, যদি তাই, তবে কাহার জন্যে কান্দি? কেনই বা কান্দি? কে আমার মনে— বাজিয়েছে বাঁশি? ত্র তিমির বৃন্দাবনে, আমি দেখিনি ত্রক বিংশ শতাব্দীর করুন আঁখি, যে কাউকে ভালোবেসে ঝরালো অশ্রুজল৷ তাই আমার কবিতা হায় ত্রকা কান্দে নিরালায় সবরীর আশ্রমে নিলাম গো চির বিদায়৷.... মনের ভাবেতে লেখা, বিরহের সুরে গাওয়া মোর কথা খানি শুনিতেছ কেহ...? যদি কোন দিন, কোন ভালোবাসা অপূর্ণ থেকে যায়...... তবে পূর্ণ করিব আমি তোমায়, ত্রই অপূর্ণতার মাঝেই..... যদি ঝড়ে কভূ প্রদীপ নিভে যায়, তবে বুঝে নিও....... আমি তারে আবার জ্বালাব ফিরে, কেননা আমি যে বিরহেরই কবি॥
রাত বারোটায়' ঘুমে ঢলে পড়ে চোখ, তবু যেন সে কত এলমেল স্বপ্ন দেখে এই নিরবতা,নিঃসঙ্গ মরুভূমিতে৷ কিন্তু সে স্বপ্নে যেন কত রঙিন ফুল ফুটেছে, যদি তারা সত্যি থাকে পৃথিবীতে— তবে তারা এখন ঘুমোচ্ছে তারই মতো৷ তারা কি স্বপ্নে আমায় দেখেছে কোন দিন? বাস্তবেও দেখেনি, তবে সেই দুটি চোখ...! চোখ দুটি যেন রাত্রির নিরবতা কেড়েছে, দিনের ভাবনাতেও সেই দুটি চোখ...! তবে কে তুমি ? আকাশের মত শুভ্র নীল, যাকে আন্দাজ করেও বোঝা যায় না— কে তুমি?.....কে তুমি? অঝোর শ্রাবনেও ঝরেনি সেই চোখে জল শুস্ক হয়নি রৌদ্র বৈশাখীর ঝড় ঝাপ্টায় হঠাৎ একদিন দেখলাম,সেই দুটি চোখ যেন আসছে, নিবিড় অন্ধকার চারিধার....... আমাকে বলছে, আমি দুঃখ পেয়েছি অনেক ব্যাথায় ভরেছে এই নির্মল, স্বচ্ছ হ্রদয়—, তাই আমি নির্মল, স্বচ্ছ....॥
হে প্রিয়, মোদের প্রেম কাহিনী শুধু এ জীবন নয়, জন্মে জন্মে ঋনী তবু না বুঝি, না দিলে ধরাহ্রদয় পানে, তবে কোন জন্মে আসিবে আমার প্রাঙ্গনে? আমি শুধু অতীথির মত বিচরণ করি তোমায় বক্ষে ধরে নয়ন মুদিয়া প্রানে শিহরী৷ এ জন্মে যদিও দিলে গো ধরা, না ধরার মত মন মাঝে ঝরালে মুকুল হাজার শত শত৷ অন্তহীন প্রেম কেন যে আমার প্রানে উঠেছে জেগে? যদি না পাব তারে প্রেমের আদর সোহাগে৷ করিয়াছি বারে বারে বিরহ নদীর সেতু বন্ধন কোন না কোন ঝড়ে সে নেচেছে মায়ার নাচন আজ অলীকের স্বপ্নসুখ কেঁদেছে আমার ঘরে হাঁসিবে কি অন্তরে তুমি, আমারই হ্রদয় ধরে? কত জন্মের অভিসার আজ ব্যর্থ, তোমা বিনা জীবনে শূণ্যতা অব্যর্থ! চিরতরে উন্মাদনা নিশীর নিশাচর বালুচরে শত শত স্বপ্ন নিয়েছে বিদায়, শুধু তোমায় ঘিরে আজ আমি একেবারে অনাহুত, শুন্যতা করেছে গ্রাস, তুমি নও প্রিয়ে, শুধু আমার হ্রদয় করেছে আস ক্ষমিও মোরে, ওগো আমি আজ মৃত্যু যাত্রী অচেনা পথে থাকিব মরে, ঘনিয়েছে নিবিড় রাত্রি৷
আজ তোমার দেশে এসেছি আমি ভ্রমিতে একেলা পথে, জোছনা ভরা চাঁদ ডেকেছে তোমার ঘরে তাই এসেছি প্রিয়, নিরব অহংকারে ৷ হরিতে তোমার করুন আলো, রাতের স্নিগ্ধ জ্বোতি আমার ভুবনে আজ এসেছে বুঝি মায়ার মাধবী রাতি৷ আজ মন হতে শুধু চেয়েছি তোমায় তোমার মধুর হাঁসি, তোমার মায়াবী আঁখি ধরেছ আজ যোগীনীর বেশ আমার লক্ষ্য পথে ওগো যোগমায়া, তুমি বিচরিলে আমার প্রেমের রথে! রুদ্ধ দুয়ার তাই খুলেছি তোমার লাগিয়া মন মাঝে তুমিই শুধু মোর পরান পাপিয়া, তোমার বিনা ঘুম নাহি আসে, নাহি কোন ভাবনা স্বপ্নের মাঝে তাই এঁকেছি তোমার ছবি, গগন চুম্বে কল্পনা ৷ ওহে চাঁদ তুমি জোছনা দিও মোর প্রিয়ার ঘরে দিব্য আলোকে যেন সাত রঙ ঝরে..., তবে চাহিনা আর তব উদাসীন চকরণ শুধু হ্রদ মাঝারে রাখব ধরে প্রিয়ার ছল ছল দু'নয়ন ৷ যদি বিভিষীকা মনে ওঠে কোন ঝড়ের প্রবল ঢেউ রাখবনা এ জীবন তরী, বাঁচাবে না আর কেউ আলেয়ার মাঝে রহিব চিরকাল.., মরিয়া অকালে ফুলের স্বপ্নে, করিব সুখ কল্পনা তবু যেন মনে হয় বারে বারে.... কে যেন দিয়েছে মোরে, এ হিয়ার মাঝে বেদনা ৷
তুই যে আমার সাধের পাখি যেওনা উড়ে পরান ছাড়ি তুই যে আমার হ্রদয় সখি দিওনা কভূই আমায় আড়ি৷ মনের মাঝে যে সুর বাজালে শুনিল মৌন হিয়া নিভৃত আঁন্ধার মাঝে আমি পথহারা পেয়েছি ঠাঁই তোমার চরণে প্রিয়া৷ জানিনা আমায় তুমি আজ ভালোবাসো কিনা—? তবে জেনেছি তোমারে অচেনা পথে রইলে নয়নে চেনা...৷ আমার পরানের মাঝে যে বাঁধিলে প্রেমের রাখি, তাই পরান পাপিয়া চাহে শুধু দেখিতে তোমারই আঁখি ৷ যদি নাহি লাগে ভালো আমায় করিও প্রিয় অপমান, শুধু হ্রদয় ভরে বেসেছি ভালো রচেছি প্রেমের গান৷
যদি পাই তোমার আঁখি হ্রদ মাঝারে রাখব সখি রইবেনা আর কিছুই বাকি তুই যে আমার সাধের পাখি ৷