কবি অনুরূপা দেবী - জন্মগ্রহণ করেন কলকাতায়। পিতা মুকুন্দদেব মুখোপাধ্যায় এবং মাতা
ধরাসুন্দরী দেবী। পিতামহ ভূদেব মুখোপাধ্যায়। তাঁর দিদি প্রখ্যাত কবি সাহিত্যিক ইন্দিরা দেবী এবং
বোনপো প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং কবি প্রভাতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাত্র দশ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ হয় শিখরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁরা জীবনের বেশির ভাগ সময়
বসবাস করেন বিহারের মজঃফরপুরে।
তাঁর প্রথম রচনা রাণীদেবী ছদ্মনামে কুন্তলীন পুরস্কার গ্রন্থমালায় প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রথম উপন্যাস টিলকুঠি
১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয়। ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর পোষ্যপুত্র (১৯১১) উপন্যাসটিতেই তাঁর
সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠা। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে জ্যোতিঃহারা (১৯১৫), বাগদত্তা (১৯১৪), মন্ত্রশক্তি
(১৯১৫), মহানিশা (১৯১৯), মা (১৯২০) প্রভৃতি যার সমাদর হয়েছিল। মা, মহানিশা, মন্ত্রশক্তি ও বাগদত্তা
নাট্যায়িত এবং মঞ্চস্থ করা হয়।
তাঁর রচিত “সাহিত্যে নারী : স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি” (১৯৪৯) নারী রচিত সাহিত্য আলোচনার পথিকৃৎ। তিনি
সমকালীন নারীর অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তাঁর অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে বিদ্যারত্ন (১৯২০), কুমারিল ভট্ট (১৯২৩), উত্তরায়ণ, পথহারা (১৯২৩),
সোনার খনি (১৯২২), রামগড় (১৯১৮), পথের সাথী (১৯১৮), রাঙাশাঁখা (১৯১৮) প্রভৃতি।
ডঃ শিশিরকুমার দাশ লিখেছেন, “তাঁর উপন্যাসগুলিতে রক্ষণশীল মনোভাবের প্রকাশ খুবই তীব্র।
হিন্দুসমাজের মুল্যবোধ অনেক ক্ষেত্রেই অসঙ্গত ও অবাস্তব ভাবে কাহিনীর মধ্যে প্রবেশ করেছে। শরত্চন্দ্র
একসময়ে তাঁর রচনার মধ্যে পাণ্ডিত্য প্রকাশের চেষ্টাকে বিদ্রুপ করে প্রবন্ধ লিখেছিলেন। কিন্তু আখ্যানের
সবলতা এবং চরিত্রগঠনের স্পষ্টতা তাঁর রচনার বিশেষ লক্ষণ। মন্ত্রশক্তি বা মা প্রভৃতি উপন্যাস তাঁর
খ্যাতির পরিচায়ক।”
আমরা তাঁর দুটি কবিতা পেয়েছি "ভারতী" পত্রিকার পৌষ ১৩১৭ সংখ্যা ( জানুয়ারী ১৯১১ ) এবং বৈশাখ
১৩২৩ সংখ্যা ( মে ১৯১৬ ) থেকে।
আমরা মিলনসাগরে কবি অনুরূপা দেবীর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।
উত্স - ডঃ শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩।
কবি অনুরূপা দেবী মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ৫.১.২০১৬
পরিবর্ধিত সংস্করণ - ৭.১.২০১৬
...