কবি আশিস সান্যাল – জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার ময়মনসিংহ জেলার দুর্গাপুরের সুসং গ্রামে।
পিতা দ্বিজেন্দ্রনাথ সান্যাল এবং মাতা তরুলতা দেবী।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর হয়ে তিনি
অধ্যাপনাকে নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।
তাঁর বিশাল রচনাসম্ভারের মধ্যে রয়েছে কবিতা, উপন্যাস ও গল্প, ভ্রমণ কাহিনি। পাশাপাশি তিনি অনেক
বইয়ের সম্পাদনা ও অনুবাদও করেছেন। কবির কবিতা ও উপন্যাস হিন্দী ও গুজরাটি ভাষায় অনুবাদ
করা হয়েছে।
তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “শেষ অন্ধকার : প্রথমআলো” (১৯৬১), “মৃত্যুদিন জন্মদিন”(১৯৬২),
“আজ বসন্ত” (১৯৬৪), “স্বপ্নের উদ্যান ছুঁয়ে” ( ১৯৭০), “পটভূমি কম্পমান” (১৯৭২), “জন্মে প্রতিজন্মে”
(১৯৭৪) , “জলপাই অরণ্যে প্রতিদিন” (১৯৭৭), “যেতে যেতে” (১৯৮১), “এখন তথাগত” (১৯৮৭),
“শ্রেষ্ঠ কবিতা” (১৯৯৩), (২০০৩), “বারুদ পারে না” (১৯৯৩), “স্রোতের অবিরল শব্দে” (১৯৯৫), “নির্বাচিত
কবিতা” (১৯৯৮), “নিজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” (১৯৯৮), “নির্বাচিত প্রেমের কবিতা” (২০০০), “কাছেই রয়েছে নদী” (
২০০২), “শ্রেষ্ঠ কবিতা” ( ২০০৩), “অমৃত যন্ত্রণা ( কাব্য নাটক )” (২০০৪), “নদী জানে” (২০০৫), “এই সময়” (
২০০৫), “রোদ্দুরের দিকে” ( ২০০৬), “রূপকথা নয়” (১৯৭২ ), “অমৃত সমান” (১৯৭৪), “মৃত্যুত্তীর্ণ” ( ১৯৭৬),
“অন্বেষা” (১৯৮১), “দশ দেশের রূপকথা”( ১৯৮৩), “নদীর ওপার”( ১৯৮৯), “বাংলার লোক-কথা” ( ১৯৯১),
“কালো পাথর” ( ১৯৯২) “এক যে ছিল” ( ১৯৯৫), “ভারত পথিক জহরলাল” (১৯৮৯), “পরির পালক”
(১৯৯৬), “কারবাইনস কোভের আতঙ্ক” ( ১৯৯৬ ), “নেতাজী সুভাষ” ( ১৯৯৮), “বাবা সাহেব আম্বেদকর”
(১৯৯৮), “মৌরি ফুলের গন্ধে” (২০০২), “মৌরি শোনে রূপকাহিনি” (২০০৩), প্রভৃতি।
তাঁর উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “ভোরের বৃষ্টি”( ১৯৮৪, ১৯৯০), “কুয়াশা” অনুদিত ( ১৯৮৩, ১৯৯৬) ,
“দ্বিতীয় বসন্ত” অনুদিত ( ১৯৮৭ ), “মায়াবন্দরের ফুল” ( ১৯৮৮), “স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ গল্প” ( ১৯৯৫),
“তখন দুপুর” (২০০২), “সাহিত্যের সেরা গল্প” ( ২০০৬), “গল্প যত রহস্য তত” ( ২০০৭) প্রভৃতি। এছাড়া ভ্রমণ
কাহিনি লিখেছেন “স্বদেশ বিদেশ”।
তাঁর সম্পাদিত ও তনুদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “সূর্যের প্রতিবেশী” (১৯৬৪)‘ “ষাটের কবিতা” (১৯৬৬),
“বাংলার শ্রেষ্ট শিশু কবিতা” (১৯৭৯). “পাতাবাহার” ( ১৯৯১), “ভারতের কলম্বাস জওহরলাল” ( ১৯৮৯),
“ঋতুরাজ জওহরলাল” (১৯৮৯). “এখনো ইন্দিরা” (১৯৯০), “আম্বেদকর রচনা-সম্ভার” ( ১-৩০ )খন্ড ( ১৯৯৫-
২০০৭), “ছড়া, ঝুম্ ঝুম্ ছড়া” ( ১৯৯৮), “ফরাসি কবিতার একাল” (২০০৫), “জলপাই অরণ্যে, প্রতিদিন” (
প্যালেস্তাইনের কবিতা, ১৯৭৭ ) “অনুভবের ছয় ঋতু” ( ২০১০), “জ্যোত্স্নার এক দিগন্ত” (হিন্দি কবিতা) (
২০০৭), “ওয়াল্ট হুইটম্যানের কবিতা” ( ২০০৬ ) “শিশু ও কিশোরদের আবৃত্তির ছড়া ও কবিতা” ( ২০০৬),
“বাংলা কবিতার ভুবন” (২০০৭) প্রভৃতি।
তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার মধ্যে রয়েছে “ঘোড়সাওয়ার”, “অন্যদিন” প্রভৃতি। অন্যান্য সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে
রয়েছে “সূর্যের প্রতি বেশী নিগ্রো কবিতা”, “ষাটের কবিতা”, “Bengali Literature” প্রভৃতি।
কবি আশিস সান্যাল বহু সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন যেমন ১৯৬৮ সালে প্রথম সর্বভারতীয় বেসরকারী
কবি সম্মেলন-এর তিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন ১৯৭১ সালে, প্রথম পূর্বাঞ্চলীয়
সাহিত্য সম্মেলন-এর সম্পাদক, ১৯৭১ সালে দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে আফ্রো-এশিয় লেখক সম্মেলনে অন্যতম
সংগঠক, ১৯৮০ সালে প্রথম সার্ক লেখক সম্মেলন-এর সম্পাদক, কলকাতার আফ্রো-এশিয় সম্মেলন-এর
সম্পাদক, হলদিয়ায় প্রথম বিশ্ব বাংলা কবিতা উত্সব-এর সভাপতি, ২০০৪ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্র জন্ম শতবর্ষে
আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের অন্যতম সম্পাদক, ইন্টারন্যাশনাল বেঙ্গলি পোয়েট্রি ফেস্টিভ্যাল-এর
সভাপতি ( ২০০৬ )। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড পোয়েট্রি ফেস্টিভ্যাল-এর সভাপতি ছিলেন।
তাঁর প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে ১৯৮৯ সালে জাতীয় কবি, ১৯৮৮সালে বছরের সেরা কবি
হিসেবে ‘কলা ভারতী’ পুরস্কারের সম্মান, ১৯৯২ সালে ভূয়ালকা পুরস্কার, ১৯৯৬ সালে মাইকেল মধুসূদন
পুরস্কার, ২০০০ সালে সুবীর বোথরা স্মৃতি সম্মান, জিয়াগঞ্জ, ২০০০ সালে নাগরী প্রচারিনী সভা, কাশী, অসম
সাহিত্য সভা ২০০০, হিন্দী সাহিত্য সম্মেলন, প্রয়াগ থেকে ‘সাহিত্য মহোপাধ্যায়’ সম্মান, ১৯৯১ সালে,
Intelligence Branch Ministerial Officers Association 2001, ২০০২ সালে বিষ্ণু দে পুরস্কার, সৌহার্দ্য সম্মান
২০০২ , গুজরাটি সাহিত্য মণ্ডল সম্মান ২০০০, মুর্শিদাবাদ জেলা কবিতা উত্সব ১৯৯৮, সোনারতরী সম্মান,
বাংলাদেশ ২০০২, ত্রিপুরা রবীন্দ্র পরিষদ সম্মান, উদয়পুর ১৯৯৭, পদ্মা গঙ্গা পুরস্কার, গোবরডাঙ্গা, ২০০০
সালে , চোখ সাহিত্য পুরস্কার ২০০১ সালে, ঝড়ো হাওয়া পত্রিকা সম্মান ২০০৩, অতন্দ্র পদক ২০০৩,
হট্টমেলা সম্মান ২০০৪, কফিহাউস সম্মান ২০০৪, অরুণ মিত্র স্মৃতি পুরস্কার ২০০৪, ICCLP ( নরওয়ে ) কর্তৃক
বিশেষ সম্মান পদক ২০০৩, দাঁতন গ্রামীণ মেলা সম্মান ২০০৩, সীমান্ত সাহিত্য সম্মান ২০০৪, শিলীন্ধ্র সম্মান
২০০৪, সংস্কৃতি চক্র সম্মান, সিউড়ি ২০০৪, গড়িয়া পূর্ণিমা সম্মিলনী সম্মান ২০০৪, অন্বেষণ স্মারক ২০০৫,
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ ২০০৫, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, টাঙ্গাইল ২০০৬, নতুন সাহিত্য, রংপুর, বাংলাদেশ
২০০৮, একুশ শতকের চেতনা, ময়মনসিং, বাংলাদেশ ২০০৮, রূপসীবাংলা পুরস্কার ২০০৯, কবি দীনেশ দাস
স্মৃতি সম্মান, সারঙ্গ ২০০৯, ড.ওয়াজেদ স্মৃতি পুরস্কার ২০১০, বিশ্ব কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ ২০১০,
অন্নদাশঙ্কর পুরস্কার ২০১০ প্রভৃতি।
তিনি নবকল্লোল, দ্বীপবাণী সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার নিয়মিত লোখক ও কবি।
আমরা মিলনসাগরে কবি আশিস সান্যালের-এর কবিতা তুলে, তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য
অর্পণ করলাম।
কবির সঙ্গে যোগাযোগ –
ঠিকানা – ৫৩, বিধানপল্লী, যাদবপুর, কলকাতা ৭০০০৩২।
দূরভাষ – ৯১৩৩২৪১২২৭১৫
চলভাষ – ৯১৯৮৩১৮৭০৩২০
উত্স --- কবির একটি সাক্ষাত্কার। ৩রা মার্চ ২০১৫ তারিখে মিলনসাগরের পক্ষে সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন
. মানস গুপ্ত।
. কবি উত্তম দাশ, কবি মৃত্যুঞ্জয় সেন ও কবি পরেশ মণ্ডল সম্পাদিত কবিতা : ষাট সত্তর, ১৯৮২
. কবি শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩
. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বাংলা কবিতা সমুচ্চয় ২খণ্ড, ১৯৯৩
. কবি মেঘ বসু সম্পাদিত আবৃত্তির কবিতা কবিতার আবৃত্তি, ২০০৯
কবি আশিস সান্যাল-এর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ১৮.০৫.২০১৫
...