কবি অসিতকুমার হালদারের কবিতা
|
পূজনীয়া
কবি অসিতকুমার হালদার
ভারতী পত্রিকা, চৈত্র ১৩১৬ (মার্চ ১৯১০) সংখ্যা থেকে নেওয়া।
হে দেবি! বরাজি! তব পবিত্রমূরতি
নেহারিয়ে আযি, সব হই বিস্মরণ।
যেন গো ভারতী রাণী দেখা দিলা মোরে
স্বপন মাঝারে হাতে বীণা সুশোভন।
তোমার মধুর কণ্ঠ গীতধ্বনি সম
পশে গো শ্রবণে যবে, আমায় তখন---
মনে হয়, তব সম বৈজয়ন্তধামে
আছে কিনা আছে হেন রমণিরতন।
ওগো দেখি।---পড়ি যবে রচনা তোমার---
কল্পনা-কুসুমরাজি করি গো চয়ন
বিচিত্র ত্রিদিব-দিব্য উদ্যানে তোমার,
মনে হয় দেখিতেছি জাগিয়া স্বপন।
কবিতা, ---লেখনী ---তব জীবন সম্বল।
বিদুষী রমণীমাঝে রমণীর মণি,
উদার হৃদয় তব, অতীব কোমল---
পর দুঃখ হেরি যায় গলিয়ে আপনি।
তুমি গো সাহিত্য-রথে হইয়ে সারথি---
যশোলিপ্ স্থ সুনবীন সাহিত্যিকগণে,
প্রণমি আনত শিরে তোমার চরণে।
. ***************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
সতী-স্মৃতি
কবি অসিতকুমার হালদার
ভারতী পত্রিকা, ভাদ্র ১৩২০ (অগাস্ট ১৯১৩) সংখ্যা থেকে নেওয়া।
কবিকঙ্কণচণ্ডী বর্ণিত যে জগদ্দলগ্রাণের নিকট দিয়া ভাগীরথী বক্ষে শ্রীমন্ত সওদাগর তাঁহার
বাণিজ্য-পোত লইয়া যাত্রা করিয়াছিলেন, সেই গ্রামের শপ্পশ্যামলা ভাগীরথী তীরে প্রাচীন
হালদার বংশের পূর্ব্ব-পুরুষ সর্গীয় বেচারাম হালদার কর্ত্তৃক তাঁহার মাতৃকুলের স্মৃতি
সম্মানার্থ ১৮৪০ খ্রীষ্টাব্দে এই সতীবেদীটি স্থাপিত হয়।
রামায়ণ কথা
কবি অসিতকুমার হালদার
(যুক্তাক্ষর বর্জিত)
প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত রংমশাল পত্রিকার, জৈষ্ঠ ১৩৪৫ (মে ১৯৩৮) সংখ্যা থেকে নেওয়া।