কবি অতীন্দ্রলাল দাশের কবিতা
*
কপোতাক্ষীর তীর
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –২৩ / ০৮ / ১৯৬১
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
তীরে তীরে খেলে শ্রীমধুসূদন ফুল্লচন্দ্র স্থির |
একতীরে তার আশা ও হতাশা কল্পনা রাশি রাশি,
কূল ভাঙ্গা ঢেউ নেচে নেচে যায় অট্ট অট্ট হাঁসি ||
* * * *
আর তীরে তার চির প্রফুল্ল চন্দ্র সে সুধাকর,
জ্ঞানে বিজ্ঞানে আলোকে উপলি ঘিরিয়াছে অম্বর |
সাধনা যাহার রচনা করিল বিজ্ঞান তপোবন,
ফুলে ফুলে তার শোভায় অতুল ভারতের উপবন |
মেঘনাদ সাহা সত্যের ফুল আকাশ তত্ত্বে ফুটে,
বসু সত্যেন আইন্ স্টিন সাথে “আপেক্ষিকে” গেল রটে |
জ্ঞান ঘোষ আর জ্ঞান মুখার্জি এক বৃন্তে দুটি ফুল,
আদরে সোহাগে ফুটিয়া উঠেছে শোভায় নাহিক তুল |
নীল রতনের রতন খচিত নীলিমা আকাশ খানি,
রসায়ন রসে সরস করিল নব বিজ্ঞান ভূমি |
পঞ্চ-শিষ্যে পঞ্চপ্রাণের পঞ্চ-প্রদীপ জ্বলে,
মহা ঋত্বিক আরতি রচিল বিজ্ঞান শতদলে |
* * * *
যে কথা কখনো শোনেনি জগৎ কল্পনা নাহি মনে,
গরমিলে কভু মিলন ঘটিবে পারদে নাইট্রোজেনে |
বীর-প্রফুল্ল-সাধনার বলে মিলিল অমিল স্বর,
নব্য রসের রসায়নে ধরা মানে মহা বিস্ময় |
* * * *
বন্যা প্লাবনে উঠে হাহাকার ভেসে যায় নরনারী,
ব্যাথার পাথার উদ্বেল হল অঝোরে ঝরিল বারি |
দরদী প্রফুল্ল ছুটিয়া আসিল বিগলিত হল প্রাণ,
সংকটে ত্রাণ সাধিবার লাগি গড়ি সংকট ত্রাণ |
কপোতাক্ষীর নীর
আজো ছুটে চলে সাগরের পানে চঞ্চল অস্থির,
কোথা প্রফুল্ল কোথায় সে মধু ফিরিবে কি কোনদিন,
উর্ম্মি-মালায় কল কল্লোলে বাজিছে ব্যাথার বীণ |
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
বলিদান
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –০২ / ০৮ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
. অসমীয়া ভাষাভাষী,
কুসংস্কারের ভাষা-মরীচিকা ফেলেছে তোমারে গ্রাসি |
* * * *
ডান্ডা চালায়ে গুন্ডা লেলায়ে প্রেত তান্ডবে দলি,
কাহার নিধন পর্বে মেতেছ শ্মশানের চিতা জ্বলি ?
ব্রহ্মপুত্রের তীরে তীরে ধার সেই লেলিহান শিখা,
তোমার ললাট পোড়ায়ে আঁকিছে চিল কলঙ্ক লিখা |
* * * *
. দেখিতে পাওনা তুমি---
তোমার পাপেতে ঘন ঘন কাঁপে মহা কামরূপ ভূমি
লাঞ্ছিতা সতী দক্ষ যজ্ঞে মৃত্যু বরণ করে,
আশিব আহবে রুদ্রের রোষ সংহার পুরে পুরে |
সতীর দেহের সাক্ষী আজিও পূতঃ কামাখ্যা স্থান
সহিবে কেমনে পাদ পীঠ তলে সতী নারী অপমান ?
যত বড় হও অসুর প্রধান, দক্ষ অশিব যজ্ঞে
বিধির বিধান ছাগ মুন্ডের ঘটিবে তোমার ভাগ্যে |
* * * *
অসমীয়া ভাষা কুঞ্জ কাননে বানী পীঠ রচিবারে
শ্বেত শতদল লাল কবি দিলে মানব শোনিত ধারে |
. শোন নর শয়তান ---
বঙ্গবানীরে বলি দিয়া গাহ অহোম বাণীর গান ?
সে গান তোমারে বিদ্রূপ করে তোমারে ফেলিছে টানি,
নর-পিশাচের ধ্বনি উল্লাসে আসে কলঙ্ক গ্লানি |
মননে মননে ভাব বন্ধনে প্রেম প্রীতি পরিচয়
মানুষে মানুষে সঙ্গ সহিতে চির সাহিত্য হয় |
বিশ্ব বাণীর বীণায় রে বাজে বিশ্ব মনের সুর,
দেশে দেশে তাহা ভাষায় ভাষায় বহি চলে সুমধুর |
বঙ্গ বাণীর বলি চাহে নাত অহোম সরস্বতী,
দুষ্টা সরস্বতী মোহেতে মাতিয়াছ দুর্ম্মতি |
সরস্বতীর পূজায় লাগে না নরনারী বলিদান ;
জ্ঞানের খড়্গে তব পশুত্বে কর আগে অবসান |
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
ঝুলন
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –০৪ / ০৮ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
আমার জীবন কুঞ্জে আজি
. ঝুলন ঝোলাই আনন্দে |
রাধা কানু একাসনে
. দুলছে দোদুল্ ছন্দে ||
জীবনে মোর রং লেগেছে
. নিত্য নবীন উত্সবে |
রূপে রয়ে হৃদয় ভরা
. গন্ধে আকুল সৌরভে ||
দোলে কানু শ্যামল তনু
. ঝড় বাদলের ঝুলনাতে
কাঁপিয়ে জগৎ বাজাও বাঁশী
. দুঃখ সজল তিমির রাতে ||
সুখের দুঃখের উঠা নামা
. ঘুচিয়ে দিয়ে ভাল মন্দ |
সত্য, শিব আর সুন্দরেতে
. জাগিয়ে তোল চিদানন্দ ||
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
জীবন উদ্যানে মোর
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –১৮ / ০৮ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
জীবন উদ্যানে মোর ফুলে ফুলে মনোরম,
দলে দলে বিকশিত হাঁসিতেছ প্রিয়তম |
দুঃখের কন্টকাঘাতে রক্ত রাঙ্গা বেদনাতে,
গোলাপ হইয়া হাঁস ঊষার অরুণ পাতে |
নিরাশার ঘন ঘোর অন্ধকার রজনীতে,
রজনী গন্ধার হাঁস মোর গেহ আমোদিতে |
মরম মথিত করি ব্যথিতের অশ্রুজলে,
শারদ শিশিরে হাঁস ঝড়া শেফালির দলে |
পাপের পঙ্কেতে পূর্ণ সরসি মোর
সে পঙ্কে পঙ্কজ হয়ে হাঁসিতেছ মনচোর |
ছয় রিপু দংশনেতে রক্ত ঝড়ে সর্বকায়,
রক্তজবা রূপে হাঁস শান্ত করি সে জ্বালায় |
জীবন সংগ্রামে আসে পরাজয় লজ্জা গ্লানি,
অপরাজিতায় হাঁসি দাও বরমালাখানি |
জীবন মন্থন করি হলাহল উঠে ঘোর |
নীলকন্ঠ হয়ে হাঁস পিয়াসে গরল মোর |
দিশাহারা ঘুরে মরি মায়া ঘোরে পথে পথে,
চম্পক অঙ্গুলি তুলি হাঁসিতেছ দিশা দিতে |
রূপে রসে, গন্ধে সদা ভরিয়া জীবনখানি,
পুলকে উছলি হাঁস লীলাময় নীলমনি |
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
নব জলধর
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –২০ / ০৭ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
আজিকে মেঘের শ্যামল শোভায়
. দেখা দিল শ্যাম সুন্দর
কন্ঠে তোমার কি মাল দুলিছে
. পবনে খেলিছে অম্বর |
বেনু বেতসের মর্ম্মরে বাজে
. তোমার নুপূর কিঙ্কিনী,
সাত সাগরের কল কল্লোলে
. ঘোষিছে তোমার আগমনী |
লক্ষ মেঘের মঙ্গল ঘট
. ভরা আজি পূতঃ সলিলে,
ফুলে ফুলে হাসি বনে উপবনে
. কি মোহিনী মায়া রচিলে ;
আজি শ্রাবনের ধারার মতন
. অঝোর ঘিরিয়া নাচিছে |
হে সারথি তব রথ চলিয়াছে,
. গুরু গুরু মেঘ গরজে
অরুণ আলোর সোনার কিরণ
. রাতুল চরণে বিরাজে |
তোমার আসন পাতিয়াছ আজ
. বিশ্ব ভুবন জুড়িয়া
এই নিখিলের রূপে রসে গানে
. সহসা উঠেছে মাতিয়া |
মনের গহনে সে রস জেগেছে
. সে সুর লেগেছে প্রাণে
আমার জগৎ ভরিয়া গিয়াছে
. সেই রূপে সেই গানে |
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
“ও চরণে কর লয়”
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –১৯ / ০৭ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
নিষ্ঠুর নিয়তি মোরে করিয়াছে পরিহাস,
জীবন গগণে মোর সঞ্চারিয়া মহাত্রাস |
সে চক্রাম্ত ব্যর্থ করি চক্রপাণি হে কান্ডারী
তুমিত বাজালে সুর লীলাময় বংশীধারী |
সে সুরে মোহিত প্রাণ শিহরে সকল হিয়া,
জীবন-যমুনা ধায় সে সুর মদিরা পিয়া |
সে সুর-পরশে আজি নয়নে লেগেছে মোর,
কি রূপে হেরিনু তোমা, মুছে গেল মোহ ঘোর |
হে অরূপ, রূপ ধরি সাজিয়াছ কল্পতরু,
প্রেমাশীষ্ ফল-ফুলে বাড়িতেছে দিব্য চারু,
কি চাহিতে কিবা চাহি ভাবেতে বিহ্বল কায়া,
বাসুদেব বিভু ওগো, কে বুঝে তোমার মায়া
কি আর চাহিব নাথ কল্পতরু প্রেমময়,
সকল বাসনা মোর ও চরণে কর লয় ||
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
পরম পাবক
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –১৭ / ০১ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
সর্ব দুর্বলতা মোর সর্ব অক্ষমতা,
দূর হয়ে যাক আজি সকল জড়তা |
প্রতি দিবসের প্রাতে পোহালে শর্বরী,
অরুণ উদয়ে যবে যায় বিভাবরী,
প্রতিটি ঊষার লগ্নে নব জন্ম লভি,
উঠ, জাগ, তোল তান, চির শিশু কবি |
সেই সুরে যেন ফুটে মর্ম শতদল,
বুকে বুকে জাগে তার সুধা পরিমল |
জীবন সমুদ্র তব মন্থন করিয়া
উঠে যদি হলাহল ; পাত্রটি ভরিয়া
পান কর ; শিব তুমি যেওনা ভুলিয়া,
নীলকন্ঠ সাজ কন্ঠে গরল ধরিয়া |
সত্য, শিব, সুন্দরের তুমি উপাসক
সর্ব গ্লানি ভষ্ম কর পরম পাবক |
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
যুগে যুগে ভগবান
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –২২ / ০৭ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
উত্পীড়িতের ক্রন্দন রোল উঠিছে গগণ ভেদি ;
ব্যথার পাথর নীল হ’য়ে গেল, বহিছে অশ্রু-নদী ;
কুলিশ কংস-কারায় মরিছে
. ব্যাথাতুর শত শত
কত বসুদেব কত যে দেবকী মানবতা পদাহত ;
অত্যাচারীর শাণিত কৃপাণ করিছে আষ্ফালন ;
তোমার আসন টলেনি কি আজো ?
. জাগো জাগো নারায়ণ |
তুমি যে বলেছ তোমার পার্থে
. গাহিয়া গীতার গান,
ধরম রাজ্য স্থাপিবে আসিয়া
. যুগে যুগে ভগবান |
কৈলাশ ধাম মনস সায়র
. হিমালয় গিরিরাজ
লাখ মানুষের শোনিত-সিক্ত
. রক্তিম হ’ল আজ |
ভেদ বিভেদের ভাদ্র এখন
. এই ভূভারত জুড়ে
কৃষ্ণাষ্টমীর অমানিশা নামে
. বিভাষিকা পুরে পুরে |
অত্যাচারের পাষাণ চাপায়
. ঘন বাজে শৃঙ্খল,
কন্ঠ রুদ্ধ মানবতা আজ
. হারায়েছে সম্বল |
জাগো চির শিশু বাঁশীর কিশোর
. জাগো ব্যথাহারী হরি
জাগো নারায়ণ অসুর সূদন
. শঙ্খচক্র ধারী |
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
ননীচোর
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –১৫ / ০৬ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
ননী চুরি করেছিলে ওগো ননীচোর,
মা যশোদা বেঁধেছিল দিয়ে স্নেহডোর |
ননীচোর নহ শুধু চোর চূড়ামণি,
সর্বতাপ হরে নিয়ে দাও সুধাখানি,
যে তোমারে দিতে পারে এতটুকু প্রেম,
তারে দাও সর্ব শান্তি চিদানন্দ হেম |
যে তোমারে চিন্তা করে কায়-মন প্রাণে
কল্পতরু এনে দাও তারে যেগ ক্ষেমে |
বস্ত্র হরি বস্ত্র দাও প্রীতি আবরণ
প্রেম, ভক্তি রতি দাও নিত্য আবরণ
তুমি প্রভু, তুমি দাস, তুমি পিতা মাতা,
ভকত সর্বস্ব ওগো তুমি হে বিধাতা |
কৃষ্ণ কানাই ওগো ভকতের হরি,
শ্যামল রূপেতে আস গোলক বিহারী |
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কালোর রূপ
কবি অতীন্দ্র লাল দাশ
রচনা –২০ / ০৭ / ১৯৬০
শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
বন্ধু, তোমার দুই চোখ দিয়ে যত কর ঈক্ষণ,
যত খুশী নাও অণুবীক্ষণ আর যত বড় দূরবীক্ষণ |
সম্মুখে হের, পশ্চাতে হের, অসীমেতে বহু দূরে,
দেখিবে কালোর রূপের আলোয় বিশ্ব রয়েছে ভরে |
ফুলের হাঁসিতে নয়ন ভুলায়, ভেবেছ কি কোন দিন,
ফুলের রূপেতে যে জন ফুটেছে, সে যে কালো রূপহীন |
ফুলেরে পোড়ালে দেখিতে পাইবে কালো সে কয়লা যত,
কয়লার রূপে ভরেছে ভুবন বরণের ডালি এত |
লাল, নীল, আর হলুদ বরণ রঙ্গের কতই শোভা,
দুধে আলতায় প্রেয়সীর রং কত রূপ মনোলোভা,
লুকায়ে লুকায়ে লুকোচুরি খেলে, খুঁজিলে মিলিবে দেখা,
অঙ্গে অঙ্গে অঙ্গার ধরি জ্বলে সেই রূপশিখা |
শ্যাম বনানীর সবুজ খেলায় বন বীথি চঞ্চল,
সে যে রূপ শুধু কৃষ্ণ কালার লীলায়িত অঞ্চল |
মরমি চোখের দরদী চাহনী কালার কালিমা মিশি,
রূপের কমল উঠিছে ফুটিয়া আমোদিত দশ দিশি |
সপ্ত রঙ্গের রশ্মি মিশায়ে শ্বেত আলোকের রাশি,
রূপে রূপে তার খেলিছে দামিনী কালার অমিয় হাসি |
স্বচ্ছ হীরক রূপের পসরা আলো করে ঝল্ মল্,
কলায় কলায় জ্বলিতেছে তায় কালিয়ার মায়া ছল |
কৃষ্ণ শ্যামল কালিয়া কোমল রূপের মদিরা দিয়া,
আকুল করিয়া হৃদয় মাতায় পুলকে নিখিল হিয়া |
মদন মোহন শ্যাম সুন্দর মধুর চিকণ রালা,
অঙ্গে অঙ্গে রূপ তরঙ্গে ভুব করেছে আলা ||
. ---- ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়
. ****************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি অ
তীন্দ্রলাল দাশের
পরিচিতির পাতায় . . .