লোকোত্তর "লোকগণনার মধ্যে নাপড়ি আসি", বন্ধুলীলা তরঙ্গিণী, ২য় খণ্ড, পৃঃ ৩৩৭ কবি অতীন্দ্র লাল দাশ রচনা –২০ / ০৯ / ১৯৫৯, উদয়পুর শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
শ্রীবাস অঙ্গনে এল শ্রীবন্ধু সুন্দর শরতের বাকা শশি যেন মনোহর, দিব্যনন্দে পুলকিত গৌর বর্ণ তনু, এক দেহে লীলা ক’রে গোরা আর কানু | মনে পড়ে পূর্ব স্মৃতি কীর্তনের রোল মন্দিরা মৃদঙ্গধ্বনি হরি হরি বোল, আবেশে বিহ্বল হিয়া নব গোরা রায় মধুচ্ছন্দে মধুনাম সুরে ভেসে যায়, সপ্ত সুরে সপ্ত লোকে সপ্ত তন্ত্রী বাজে লোকোত্তর সেই নাদ গোলকে রনিছে | লোকোত্তর সেই ধামে বন্ধু গোরা রায় নাহি আসে নরলোকে লোক-গণনায় |
জ্যোতির্ময় ২য় খণ্ড, পৃঃ ৩৫০, শয়িরমঙ্গল মধ্যবর্তী কবি অতীন্দ্র লাল দাশ রচনা – ২০ / ০৯ / ১৯৫৯, উদয়পুর শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
ভক্তবর সিতি-কন্ঠ নদীয়া-নিবাসী আনমনে চেয়ে আছে গঙ্গাতীরে আসি সাঁঝের আঁধারে হেরে শ্মশানের ধারে ধিকি ধিকি চিতা যেন জ্বলে নদীতীরে, ধূম্রহীন দিব্যজ্যোতি বহ্নিমান শিখা অপূর্ব আলোক-রাশি যায় দূরে দেখা | ধীরে ধীরে কাছে আসি দেখে ভক্তবর জ্যোতির্ময় শুয়ে আছে শ্রীবন্ধু সুন্দর | কি দেখিতে কি দেখিল ভাবে আত্মহারা কিবা রূপ অপরূপ আলোকিত ধরা, মধু কন্ঠে বেজে উঠে “শিতিকন্ঠ” ডাক | মুহূর্তে রোমাঞ্চ হয় পুলকনির্বাক | ভক্ত সাথে ভগবান মিলে এক সাথে হৃদয়ে হৃদয়ে যোগ আনন্দেতে মাতে |
সীতানাথের কৃপা ২য় খণ্ড, পৃঃ ৩৭০, আমার জায়গা ছিল না কবি অতীন্দ্র লাল দাশ রচনা – ২১ / ০৯ / ১৯৫৯, উদয়পুর শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
তিন কড়ির বাসনা ২য় খণ্ড, পৃঃ ৩৭৭, ডোমপল্লী কবি অতীন্দ্র লাল দাশ রচনা – ২২ / ০৯ / ১৯৫৯, উদয়পুর শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ প্রকাশিত “পঙ্কজ” কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া
হীন মতি ডোম আমি না জানি ভকতি, তোমারে পাইব বন্ধু, নাহিক শকতি | এ অধমে কৃপা করে এলে এক দিন দীনালয়ে এসেছিলে মহাত্মা মহিম | অতি দীন জেনে মোরে কৃপা করি কত কতক্ষণ দন্ডা মোর করিলে রজত, তার পর অন্তর্ধ্যান হ’লে অন্তর্যামী | তোমারে সেবার ভাগ্য দিলে না ত’ স্বামী | চাহি না চাহি না প্রভু রজত কাঞ্চন, জনমে জনমে মোরে দিও শ্রীচরণ | অঙ্গের সুবাসে তব মুগ্ধ প্রাণ মন, অপরূপ রূপে হরি জুড়ালে নয়ন পুরাও বাসনা মোর হে জগৎ স্বামী, জীবনে-মরণে তোমা নাহি ভুলি আমি |