কবি অতীন্দ্র লাল দাশ - জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার চট্টগ্রাম জেলার, লোহাগাড়া উপজেলার,
কলাউজান গ্রামে। পিতা যাত্রামোহন দাশ এবং মাতা বরদা সুন্দরী দেবী।

তাঁদের পূর্বপুরুষের আদি নিবাস ছিল চট্টগ্রাম শহরের বোয়ালখালি থানার একটি গ্রামে। গ্রামটির সঠিক নাম
জানা নেই। তাঁদের উপাধি ছিল চৌধুরী। ব্রিটিশদের তোষণ করার ফলে প্রাপ্ত সম্মান। তাঁরা ছিলেন বদ্যি,
মূল উপাধি গুপ্ত।  কিন্তু তখনকার দিনে শুধু শুয়ে বসে সময় কাটানো ছাড়া কোন কাজই পুরুষেরা করতেন
না। একবার কবির ঠাকুরদা পার্বতীচরণ চৌধুরী একা বাড়ী থেকে চলে গেলেন দক্ষিণের দিকে। তখন রাস্তা
বলতে একটাই আরাকান রোড। রাত্রে একটি গ্রামে পৌঁছে যান। তিনদিক পাহাড়, একদিকে নদী, জনসংখ্যা
খুবই কম। গ্রামটির নাম লোহাগড়া। সেখানে পার্বতীচরণ এক ব্রাহ্মণের বাড়ীতে চাষ আবাদের কাজ নেন।
সেখানে তাঁর উপাধীর ইষৎ পরিবর্তন করে তিনি হয়ে যান পার্বতীচরণ দাশগুপ্ত। পরে তিনি বৈষ্ণব মন্ত্রে
দিক্ষিত হয়ে হন পার্বতীচরণ দাশ। ঐ ব্রাহ্মণের মেয়েকে বিয়ে করে তিনি পাশের গ্রামে চলে যান। জমিদার
থাকতেন লোহাগড়াতে। তিনি জমিদারের নায়েব নিযুক্ত হন এবং জমি জমার রক্ষণাবেক্ষনের কাজ শুরু
করেন। তাঁর প্রত্যাশা ছিল পরবর্তীকালে এই গ্রাম এই অঞ্চলের দিশারী গ্রাম হবে।

পার্বতীচণের দুই বিয়ে। প্রথম স্ত্রীর গর্ভের ছেলে ছিলেন রেবতীমোহন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভের সন্তান
যাত্রামোহন। তখন কোথাও লেখাপড়া বা সাংস্কৃতিক কাজ কর্মের কোনো ব্যাপার ছিল না। সাধারণ
অক্ষরজ্ঞান যাত্রামোহনের ছিল। কবির পিতা যাত্রামোহন তিনটি বিয়ে করেন, বিশেষ কারণে। স্ত্রীদের
বাপের বাড়ী ছিল তিনটি গ্রামে। আধুননগর, জলদি ও নলুয়া গ্রামে। এঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন বিধবা এবং
নিঃসন্তান।  যাত্রামোহন এঁদের বিয়ে করে যথারীতি নলুয়া, অধুনগর ও জলদিতে এদের বসত বাড়ীর দখল
নেন। জমি জমা রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজে দলিল দস্তাবেজের জ্ঞান জরুরী। সেই কারণে যাত্রামোহন মোক্তারী
শেখেন। উনি দাদা রেবতীমোহনের সাহায্যে কলাউজান গ্রামে প্রচুর সম্পত্তি গড়ে তোলেন। তা মূলত
রেবতীমোহন দেখাশোনা করতেন। যাত্রামোহনের তৃতীয়া স্ত্রী বরদা সুন্দরী নলুয়ার একজন পিতৃমাতৃহীন
মহিলা ছিলেন। যাত্রামোহন তাঁকে বিয়ে করে কলাউজান নিয়ে আসেন। তার গর্ভে দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
মেয়ে বড় সরযূবালা। তারপর দুই ছেলে অতীন্দ্র লাল ও লাল মোহন।

কবি অতীন্দ্রলাল ভর্তি হন সাতকানিয়া স্কুলে। তখন সাতকানিয়া থানা এলাকায় এই স্কুল ছাড়া অন্য কোন
স্কুল ছিল না। অতীন্দ্রলাল স্বসম্মানে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন যা তখনকার দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে ছিল।  ম্যাট্রিক পাশ  করার পর অতীন্দ্রলালের উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া
হয়। তখন ভারতবর্ষে স্বাধীনতার আন্দোলন চলছিল। অতীন্দ্রলাল কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং অল্প
কিছুদিন তাঁকে কারাবাস করতে হয়। মুক্তি পেয়ে তিনি বঙ্গবাসী কলেজে বি.এস.সি তে ভর্তি হন। তাঁর খুব
ইচ্ছা ছিল, তিনি পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আইনজীবি হবেন। তাই তিনি আসামে গিয়ে, আসাম আইন
কলেজ থেকে বি.এল পাশ করেন। এরই মধ্যে তিনি ফাঁকে বি.টি ও পাশ করে নেন। দেশে ফিরে পিতার
সহকারী হিসাবে সাতকানিয়া কোর্টে কাজ করতে শুরু করেন। কিন্তু একটি মামলায় অতীন্দ্র ও তার পিতা
যাত্রামোহন দুই বিরোধী পক্ষের আইনজীবি হলেন এবং ঐ মামলায় পিতাকে হারিয়ে অতীন্দ্রলাল খুব দুঃখ
পেলেন। এরপর তিনি ঠিক করলেন তিনি আইন ব্যবসা করবেন না। শিক্ষকতা করবেন। তখন ডিগ্রীধারী
শিক্ষকের বড় অভাব ছিল। বিশেষ করে বিজ্ঞানের শিক্ষক। সেই কারণেই দশ ক্লাস পর্যন্ত বিজ্ঞান পড়ানো
আবশ্যিক ছিল না। বিজ্ঞানধর্মী বিষয়ের মধ্যে অঙ্ক পড়তেই হত। কিন্তু অঙ্কের শিক্ষকের খুব অভাব ছিল।
অতীন্দ্রলাল যেহেতু বিজ্ঞান এবং অঙ্ক দুই পড়াতে পারতেন, তিনি অতি সহজেই সাতকানিয়া স্কুলে শিক্ষক
হিসাবে নিযুক্ত হলেন। সাতকানিয়া স্কুলে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিল না বললেই হয়। তাই অতীন্দ্রলাল ছাত্রদের সব
ভাষা পড়াতে পারতেন। ইতিহাস, ভূগোল এমনকি সংস্কৃত পর্যন্ত। তাঁর পিসেমশাই এর আইন ব্যবসা ছিল
চট্টগ্রাম শহরে। পিসেমশাই থাকতেন হাজারী গলিতে। তিনি অতীন্দ্রলালের জন্য চট্টগ্রাম মিউনিসিপাল স্কুলে
চাকুরী ঠিক করলেন। মিউনিসিপাল স্কুল, চট্টগ্রাম জেলার অন্যতম নামকরা স্কুল ছিল। কিন্তু ঐ স্কুল সরকারী
স্কুল ছিল না। সেই কারণে অতীন্দ্রলাল রেলওয়ে স্কুলে চাকুরীর জন্য দরখাস্ত করলেন এবং নিযুক্ত হলেন।
সেই সময় অতীন্দ্রলালের সঙ্গে আলাপ হল কধুরাষিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিধুভূষণ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি
অতীন্দ্রলালকে বঙ্গ বিভাজন বিরোধী আন্দোলনে সঙ্গী করে নিলেন। ১৯৪৭ সালে যখন দেশ স্বাধীন হবার
কথা হচ্ছিল, তখন অতীন্দ্রলালের ধারনা ছিল পাকিস্তান টিকবে না। পূর্বে ও পশ্চিমে ১০০০ কিমি দূরত্বে দুটি
আজব দেশ টিকতে পারে না। তাই অতীন্দ্রলাল সেই সময়ে ভারতবর্ষে আসার কথা ভাবেনি। আরও পরে
তাঁর ধারণাই সত্য প্রমাণিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে।

অতীন্দ্রলাল যেহেতু শিক্ষানুরাগী ছিলেন, তিনি তাঁর জন্মস্থান কলাউজান গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে
সচেষ্ট হলেন।  তিনি  এই কাজে সাহায্য পেলেন ধীরেন্দ্র মহাজনের। অতীন্দ্রলাল পৈতৃক জমিতেই স্কুল
করলেন। এই কাজে অসুন্তুষ্ট হয়ে তাঁর পিতা যাত্রামোহন তাঁকে তাজ্য পুত্র করেন।

১৯৫০ সালে অতীন্দ্রলাল তখন রেলওয়ে স্কুলে পড়াচ্ছেন, একদিন তাঁর এক ছাত্র তাঁকে জানান, “স্যার, আপনি
ভারতবর্ষে চলে যান। এখানে আপনাকে মারার জন্য চক্রান্ত চলছে।” রেলওয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরও সেই
মতামতই ছিল। কধুরখিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিধু চৌধুরী মহাশয় ও অতীন্দ্রলালকে দেশ (পূর্ব পাকিস্তান)
ছাড়তে পরামর্শ দেন। অতীন্দ্রলাল ১৯৫০ সালের মে মাসে সপরিবারে, প্লেনে কলকাতা চলে আসেন
কলকাতায় এবং প্রায় একমাস তাঁদের এক জ্ঞাতিভাই এর বাড়ীতে থাকেন। এরপর তিনি চলে যান
আরামবাগ হাই স্কুলে। সেখানে প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র সেন। তিনি অতীন্দ্রলালকে আরামবাগ স্কুলে
শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেন। একবছর পর তাঁর পরিবার কলাউজান ফিরে চলে আসেন, তাঁর বৃদ্ধা মার
সেবা যত্ন করার লোক ছিল না বলে।

যাইহোক ১০বছর আরামবাগ স্কুলে কাজ করার পর অতীন্দ্রলালের সঙ্গে স্কুলের তদানীন্তন কর্মসমিতির
বিরোধ দেখা দেয়। তিনি ঐ স্কুলের চাকুরী ছেড়ে দেন। এর পর ১৯৫৯ সালে তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুর
শহরে ত্রিপুরার মহারাজা কিরীট বিক্রমের নামানুসারে সরকারী স্কুল, কীরিট বিক্রম ইন্সটিটিউট-এর বিজ্ঞান
শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। তিনি ঐ স্কুলের স্বনামধর্মী শিক্ষক ছিলেন। কারণ তিনি সব বিষয় ভালো পড়াতে
পারতেন। ছাত্রদেরও ভালোবাসতেন। ঐ স্কুলের মুখপত্র কিরীট এর সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে
অতীন্দ্রলাল ঐ স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

অবসর নেবার পর অতীন্দ্রলাল মূলত পরীক্ষা কেন্দ্রিক একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। উদয়পুরের উপকন্ঠে
জামির জুরীতে অবস্থিত জামির জুরী হাই স্কুল। তিনি ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হন। অতীন্দ্রলাল ঐ স্কুলে চার
বছর কাজ করেন। এর মধ্যে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। মাঝে মাঝে খুব হাঁপানিও হোতো। এই স্কুল
ছাড়াও উদয়পুর শহরে অতীন্দ্রলাল, শ্রীমদভগবত গীতা শেখার একটি প্রতিষ্ঠান করেন। নাম ধর্মাশ্রম। প্রতি
শনিবার, রবিবার সন্ধ্যায় ঐ স্কুলে গীতার উপর আলোচনা হোতো। এছাড়া তিনি ওখানকার রামকৃষ্ণ
মিশনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ওখানে একটি পাবলিক লাইব্রেরীও গড়ে তোলেন। এতে তিনি প্রচুর বই
দান করেন।

১৯৭৯ সালের ২৯শে মার্চ ভোরবেলা অতীন্দ্রলাল দাশ তাঁর এক ছাত্রের বাড়ীতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুর আগের দিন অনেক রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে কীর্তন করেছিলেন। তাঁর অন্তিম শোভাযাত্রায় উদয়পুরের
সব গন্যমান্য ব্যক্তি এসেছিলেন। ঐদিন তাঁর স্মৃতিতে সব স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। তাঁর অন্তিমযাত্রায় উপস্থিত
ছিলেন তাঁরই প্রাক্তন ছাত্র ও প্রাক্তন জেলাশাসক কুলেশ চক্রবর্তী, বন্ধু গোপাল দেব ও উদয়পুরের জমিদার
তনয় গোবিন্দ চরণ দে। অতীন্দ্রলালকে গোমতী নদীর শ্মশান ঘাটে দাহ করা হয়।

তাঁর একমাত্র কাব্যগ্রন্থ “পঙ্কজ” প্রকাশিত হয় ১৪০১ বঙ্গাব্দের পৌষ সংক্রান্তিতে ( জানুয়ারী ১৯৯৫ )। এই
কাব্যগ্রন্থের প্রকাশক, কবিপত্নী শ্রীমতী মাধুরীকণা দাশ, এই গ্রন্থে প্রকাশকের নিবেদন-এ লিখেছেন, ---

. . . যদিও আমার স্বামী কোন গুরুর দীক্ষিত ছিলেন না তবুও তত্কালীন সব সাধু মহাপুরুষদের সঙ্গে তাঁর
যোগ ছিল নিবীড়।

ডঃ দেব ( ডঃ প্রফুল্ল কুমার দেব ছিলেন ত্রিপুরাতে কবির এক ছাত্রের পিতা, যাদের বাড়ীতে কবি থাকতেন )
ছিলেন প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের শিষ্য। সেই সূত্রে আমার স্বামী শ্রী শ্রী প্রভুর শিষ্যদের সংস্পর্শে আসেন এবং
তাঁর বিষয়ে গভীরভাবে আগ্রহী হন।

তিনি সারা জীবন অনেক কিছু লিখে গেছেন,--- গান, কবিতা, প্রবন্ধ, আলোচনা, স্বরলিপি। কিন্তু মূলত
প্রচারবিমুখ থাকায় সেগুলো সংরক্ষণ করে যান নি। এমনকি সেগুলো বই-এর আকারে ছাপাবার আগ্রহও
বিশেষ দেখান নি। হয়ত আর্থিক অসুবিধার কথা চিন্তা করে বা সুযোগ সুবিধা না থাকাতে সেগুলো
ছাপানো হয় নি। এই বইতে ছাপানো গান ও কবিতাগুলো মূলতঃ প্রভু সুন্দরের জীবনী অবলম্বনে। এসব
অনেক কাল আগের লেখা যখন তিনি ডাঃ দেবের বাড়ীতে থাকতেন। তার অনেক বছর পর ১৯৮১ সালে
তিনি ৭২ বছর বয়সে মারা যান। তারও অনেক বছর পর পুরানো কাগজের মধ্যে এই অমূল্য রচনাগুলো
আমার নজরে আসে। আমার স্বামীর সমসাময়িক বন্ধুদের মধ্যে কেউ আর জীবিত নেই যারা এ বিষয়ে
জানেন। শুধুমাত্র পরমপূজ্যপাদ শ্রী শ্রী মহানামব্রত ব্রহ্মচারী মহাশয় জীবিত আছেন। তাঁর আশির্বাদ নিয়ে
আমি আমার ছেলে মেয়েদের সাহায্যে শ্রী শ্রী প্রভু সুন্দরের লীলা গাথা সমূহকে বই-এর আকারে প্রকাশ
করার চেষ্টা করেছি। . .
.”   

তাঁর একমাত্র কাব্যগ্রন্থ “পঙ্কজ” ( ১৪০১ ) থেকে আমরা কবিতা এখানে তুলে দিলাম। তাঁর বেশীরভাগ
কবিতাই ভক্তিভাবাশ্রিত, প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের গাথাকে কেন্দ্র করে। তাঁর কয়েকটি অন্য স্বাদের কবিতা
আমরা আলাদা করে “বিবিধ কবিতা” শিরোনামে দিয়েছি। এছাড়া তাঁর ৭টি গান দিয়েছি “গান” শিরোনামে।

আমরা কৃতজ্ঞ কবিপুত্র ডঃ কনক কান্তি দাশ এবং পুত্রবধু শ্রীমতী শিখা দাশের কাছে যাঁরা কবির ছবি ও
কাব্যগ্রন্থটি আমাদের পাঠিয়েছেন  এবং  কবি-জীবনীটিও নিজেরাই আমাদের বাংলায় টাইপ করে
পাঠিয়েছেন।

আমরা মিলনসাগরে  কবি অতীন্দ্রলাল দাশের কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।    



উত্স - কবির জীবনী আমরা পেয়েছি কবিপুত্র ডঃ কনক কান্তি দাশ-এর একটি লেখা থেকে। তিনি প্রাক্তন
.           রেজিস্ট্রার, নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা।      



কবি অতীন্দ্রলাল দাশের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।    


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ১৪.১.২০১৬

...