কবি বীণাপানি দেবীর কবিতা
*
পরিচয়
বীণাপাণি দেবী
কেশবচন্দ্র গুপ্ত ও কৃষ্ণদাস চন্দ্র সম্পাদিত “অর্চ্চনা” পত্রিকা, শ্রাবণ ১৩২৯ সংখ্যা (মে
১৯২২)।

চাঁদের পরশ পাই সন্তানের মুখে
জ্যোছনা সোহাগ রাশি প্রণয়ীর বুকে॥


.                 **************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর
*
শোভা
বীণাপাণি দেবী
কেশবচন্দ্র গুপ্ত ও কৃষ্ণদাস চন্দ্র সম্পাদিত “অর্চ্চনা” পত্রিকা, জৈষ্ঠ ১৩২৯ সংখ্যা (মে
১৯২২)

.      
খণ্ড মেঘে চাঁদের শোভা
.     অস্তসূর্য্যে মাঠের আভা
প্রভাত বেলায় সোণার কিরণটুক,
নরের কিগো ভরায় নাকো বুক ?


.                 **************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর
*
দেব-দর্শন
বীণাপাণি দেবী
কেশবচন্দ্র গুপ্ত ও কৃষ্ণদাস চন্দ্র সম্পাদিত “অর্চ্চনা” পত্রিকা, কার্তিক ১৩৩০ সংখ্যা
(অক্টোবর ১৯২৩)।

বিশ্বনাথের দর্শন আশে, সারা বিশ্ব ঘুরিয়া মরি,
কোথায় জীবের প্রাণের বন্ধু, জগত-তারণ হরি!
তীরেথে তীর্থে ঘুরিলাম কত, মিলিল না দরশন,
পথরে বক্ষে জড়ায়ে দেবতা, না পেলাম পরশন।
কোথায় তুমি প্রাণময় ওগো! সর্ব্ব জীবের গতি,


.                 **************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর
উদয় অস্ত, ওগো বিশ্বরূপ! তোমারি রূপের খেলা,
পূব শশধর, তারকাপুঞ্জ, তোমারি রূপের মেলা!
স্নিগ্ধ আঁধারে বিলায়ে শান্তি, নিখিলে ঢাকিয়া রাখি,
স্নেহ ভালবাসা, প্রণয়ের মাঝে, তোমার করুণা দেখি,
বাঞ্ছিতের বুকে তব দরশন, সন্তানে প্রিয় হাসি,
দেখায় তোমার নির্ম্মল করুণা, অতুলন রূপ-রাশি।
দয়াময় তুমি, তব দয়া মাগি, তোমার করুণা যাচি,
ভ্রান্ত পথিক ফিরে সারা ঠাঁই, সদা আছ কাছাকাছি!