কবি চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
*
ধরণী
কবি চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
সরলা দেবী সম্পাদিত ভারতী পত্রিকার ফাল্গুন ১৩১০ (মার্চ ১৯০৪) সংখ্যা থেকে নেওয়া।

ধরণী মাঝে যে দিকে দেখি সকলি হেথা সুন্দর,
সকলি হেথা নয়ন-মন-মোহিনী ;
ভূধর, তরু, নিঝর, মরু, কোমল শষ্প, কঙ্কর ;
জলধি বেলা, তরঙ্গ ফেন-নাচনি।


.      **********************     

.                                                                                      
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
জ্যোত্স্নায়
পল ভ্যার্লেনের মূল ফরাশী হইতে অনুবাদ
কবি চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকার বৈশাখ ১৩১৯ (মে ১৯১২) সংখ্যা থেকে
নেওয়া। এই কবিতাটিতে কবির নাম ছিল চারু বন্দ্যোপাধ্যায়।


রজত শশধর
হাসিছে বন ’পর,
প্রতিটি শাখে শাখে
পাতার ফাঁকে ফাঁকে
উঠিছে গুঞ্জন,
.        হে হৃদি-রঞ্জন!
সরসী সুবিমল
মুকুর অবিতল,
তমাল-কালোকায়
তাহাতে মূরছায়
বায়ুর ক্রন্দনে,
.        ডুবি এস স্বপনে!
গভীর কোমলতা
নিবিড় নীরবতা
রঙিন আলিপন
হতেছে বরিষণ,
গগন নিমগন,
.        এই ত সুলগন!

.      **********************     

.                                                 
                           সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
পারস্য পুষ্পমালা
কবি চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকার ভাদ্র ১৩১৩ (সেপ্টেম্বর ১৯০৬) সংখ্যা
থেকে নেওয়া।
ফারসী থেকে অনুবাদ।


.                ১
“আমদ্ বাহারে হরকস্, নামদ্ বাহারে মা,
গুল্ দর্ কেনারে হরকস্, ঘম্ দর্ কেনারে মা।”
.                 *    
সবার বসন্ত এল, এল না আমার।
পুষ্পাঞ্চল সবাকার, দুঃখই আমার॥


.                 ২
“উরফি আগর্ বগরিয়া ময়স্ স্ র্ শুদে বিশাল,
সদ্সাল্ নেসস্তা বতমন্না মিতআঁ গিরিস্তন্।”
.                 *
কাঁদিলে তাহারে যদি ফিরাইয়া পাওয়া যেত,
রে উর্ ফি, ইচ্ছা করে’ কাঁদিতাম বর্ষ শত।


.                 ৩
“মান্দে আম্ আজ্ ইয়ার্ দূর্ ও জেন্দে আম্।
জি গুণাহ্ তা জেন্দে আম শর্ মেন্দা আম্॥”
.                 *
বন্ধু হতে বহু দূরে তবুও জীবিত।
এ দোষে যাবৎ প্রাণ রহিব লজ্জিত॥


.                 ৪
দরদ্ সরে দোস্তান্ আহ্ ও ফেগাঁ মনস্ত্
কাহেসে জান্ তবিব্ দর্ দ্ নেহা মনস্ত॥
.                 *
প্রিয়দের শিরঃপীড়া ও মম মনস্তাপ
গুহাগুপ্ত ; চিকিত্সক কেমনেতে পাবে মাপ।


.                 ৫
“বিগুজর্ আয় নসিম্ সবা সুবেহ্ দম্ বকরফ্ চমন্
নুকহতে বেয়ার্ আজাঁ গুল্এজার ঘুঞ্চয়ে দহন্।”
.                 *
প্রাতের শীতল বায়ু বাগানের দিকে ছুট,
মুখগন্ধ বহু যার পুষ্পগণ্ড পুষ্পপুট।


.                 ৬
“আবর্ বাহার গিরিআঁ, ও বুনে চশম্ খুঁ ফেশাঁ হাম্।
বুল্ বুল্ ববাঘ্ নালা, আশক্ বসদ্ ফেগাঁ হাম্”
.                 *
বসন্তের মেঘ বর্ষে ধারা, চক্ষুকোণে শোণিত বর্ষণ,
বাগানে বুলবুল কাঁদিছে, প্রেম করে সহস্র ক্রন্দন।


.                 ৭
“রোজ্ মারা সাখত্ চুঁ শবে তীরা আঁ মাঃ আজ ফেরাখ্।
চন্দ্ সোজম্ আজ্ ফেরাখ্, আহ্ আজ্ ফেরাখ্, আহ্ আজ্ ফেরাখ্॥”
.                 *
প্রেমচন্দ বিরহেতে মোর দিন অন্ধকার---
রাত্রি হল জ্বালাময়, বিচ্ছেদে তাহার, ওগো বিচ্ছেদে তাহার।


.                 ৮
“কম্ জর্ফ্ অগর্ বুজুর্গ শবদ্ ইজাদেহদ্ দোস্তরা।
আনার্ অগর্ পোক্ত ববদ্ পারা কুলদ্ পোস্তরা।”
.                 *
ক্ষুদ্র যদি বড় হয় বন্ধুজনে নাশে,
সুপক্ক ডালিম ত্বক্ বিদরে অনা’সে।


.                 ৯
“হর সোখ্তা জানি কে বকাশ্মীর্ দর আয়েদ্
গর মোর্গ্ কবাব্ আস্ত্ কে বা বাল্ ও পর্ আয়েদ্।”
.                 *
যে সকল দগ্ধ প্রাণী কাশ্মীরেতে যায়---
মোরগ হ’লেও ভাজা পালক গজায়।

.     
          **********************     

.                                                                            
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
স্বপ্নরাজ্যের গান
সুইনবর্ণের কবিতার ভাবানুবাদ।
কবি চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকার ভাদ্র ১৩১৫ (সেপ্টেম্বর ১৯০৮) সংখ্যা
থেকে নেওয়া। এই কবিতাটিতে কবির নাম ছিল চারু বন্দ্যোপাধ্যায়।


লুকায়ে রেখেছিলাম হৃদয় আমার
.                    ববি-দৃষ্টি হতে দূরে গোলাপের নীড়ে,
দুগ্ধ-ফেন হতে সেই অতি সুকোমল
.                    গোলাপের অন্তরালে মোর মনটিরে!

.               **********************     

.
                                                                               সূচীতে . . .    




মিলনসাগর