মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রহ্মসঙ্গীত ও কবিতা
*
দেহো জ্ঞান --- দিব্য জ্ঞান
কবি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর    
ব্রহ্মসঙ্গীত
দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বাঙ্গালীর গান (১৯০৫) সংকলন থেকে নেওয়া।

॥ আলেয়া, একতালা॥

দেহো জ্ঞান --- দিব্য জ্ঞান,
দেহো প্রীতি --- শুদ্ধ প্রীতি,
তুমি মঙ্গল-আলয়। ( তুমি মঙ্গল-আলয়। )
ধৈর্য দেহো, বীর্য দেহো ---
তিতিক্ষা, সন্তোষ দেহো ---
বিবেক বৈরাগ্য দেহো ---
এ পদ-আশ্রয়। ( দেহ ও পদআশ্রয় )॥

.           ****************                
.                                                                              
সূচীতে . . .     



মিলনসাগর
*
নিম্নে বসুন্ধরা ঊর্দ্ধে দেবলোক
কবি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৪ই আশ্বিন ব্রাঃ সং ৫৪ তারিখে অর্থাত ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে, ব্রহ্মানন্দ কে লেখা একটি পত্রে মহর্ষী এই
কবিতাটি লিখেছিলেন। প্রিয়নাথ শাস্ত্রী সম্পাদিত “মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথের পত্রাবলী” থেকে নেওয়া।
(ব্রাহ্ম সম্বত্সর শুরু হয় ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে,
রাজা রামমোহন রায় দ্বারা ব্রাহ্ম ধর্মের প্রতিষ্ঠার বছরে।)


নিম্নে বসুন্ধরা                           ঊর্দ্ধে দেবলোক
সর্ব্বত্র ঘোষিত মহিমা তাঁর।
আনন্দময়ের                               মঙ্গল স্বরূপ
সকল ভূবন করে প্রচার।

.           ****************                
.                                                                              
সূচীতে . . .     



মিলনসাগর
*
যোগী জাগে ভোগী, রোগী কোথায় জাগে
কবি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্রহ্মসঙ্গীত
দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বাঙ্গালীর গান (১৯০৫) সংকলন থেকে নেওয়া।

॥ কেদার, চৌতাল॥

যোগী জাগে ভোগী, রোগী কোথায় জাগে।
ব্রহ্ম জ্ঞান ব্রহ্ম ধ্যান, ব্রহ্মানন্দ রস-পান,
প্রীতি ব্রহ্মে যার সেই জাগে।
ধন্য সাধু সুখী সেই, যে আপন মনআসনে,
রাখিতে তাঁরে পারে ; ইন্দ্রিয়-নিগ্রহ পাপত্যাগ,
ন্যায় সত্য ক্ষমা দয়া, যাঁর তাঁর লাভ ব্রহ্মধাম॥

.                  ****************                
.                                                                              
সূচীতে . . .     



মিলনসাগর
*
কেন ভোলো, ভোলো চির সুহৃদে? ভুলো না চিরসুহৃদে
কবি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কলকাতার সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ থেকে প্রকাশিত, ব্রহ্ম-সঙ্গীত স্বরলিপি, প্রথমখণ্ড, থেকে নেওয়া।

॥ কুকুভা, আড়াঠেকা॥

কেন ভোলো, ভোলো চির সুহৃদে? ভুলো না চিরসুহৃদে॥
ধন প্রাণ মান সকলি যাঁ হতে, এমন সুহৃদে কেন ভোলো?।
থেকো না থেকো না তাঁ হতে অন্তর
তাঁরে ছেড়ে ত্রাণ কোথায়, কোথা শান্তি বল?
চির জীবনসখা চির সহায়ে, করুণানিলয়ে কেন ভোলো?।

.                  ****************                
.                                                                              
সূচীতে . . .     



মিলনসাগর
*
আরে ভাব তাঁরে, অন্তরে যে বিরাজে
কবি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কলকাতার সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ থেকে প্রকাশিত, ব্রহ্ম-সঙ্গীত স্বরলিপি, তৃতীয়খণ্ড, থেকে নেওয়া।

॥ বেহাগ, একতাল॥

আরে ভাব তাঁরে, অন্তরে যে বিরাজে ;
অন্য কথা ছাড়’ না॥
সংসার-সংকটে, ত্রাণ নাহি কোনো মতে,
বিনা তাঁর সাধনা॥

.                  ****************                
.                                                                              
সূচীতে . . .     



মিলনসাগর
*
কারণ সে যে, তাঁর ধ্যান কর, তিনি জগতের পিতা-মাতা
কবি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কলকাতার সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ থেকে প্রকাশিত, ব্রহ্ম-সঙ্গীত স্বরলিপি, ষষ্ঠখণ্ড, থেকে নেওয়া।

॥ পরজ, আড়াঠেকা॥

কারণ সে যে, তাঁর ধ্যান কর, তিনি জগতের পিতা-মাতা॥
হইবে মঙ্গল তাহারে সাধিলে, জানিলে।
যদি জানিবে, কর সাধু-সঙ্গ একান্তে॥

.                  ****************                
.                                                                              
সূচীতে . . .     



মিলনসাগর
*
কুসুম অক্ষর লিখিত সুন্দর মধুর ব্রহ্মনাম
কবি মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ভারতবর্ষ পত্রিকার আষাঢ় ১৩৪১ (জুন ১৯৩৪) সংখ্যায়
প্রকাশিত নরেন্দ্রনাথ বসুর “মহর্ষিদেবের কবিতা ও পত্র” প্রবন্ধ থেকে নেওয়া। মহর্ষি,
কবিতায় পত্রটি লিখেছিলেন গাজীপুরের রায়বাহাদুর গগনচন্দ্র রায় কে।

প্রিয় গগন,
.                                ওঁ
কুসুম অক্ষর লিখিত সুন্দর মধুর ব্রহ্মনাম---
.        কোন বন হতে এনেছ কুড়ায়ে,
.        হৃদয় নয়ন দিয়েছ জুড়ায়ে,
এমন কোমল এমন বিমল আনন্দ অবিরাম,
তাঁর সুধাময় নন্দন বনের সৌরভ অনুপাম।
.        ধন্য সাধু, ধন্য তব উপহার,
.        এই আশির্ব্বাদ লহ গো আমার,
শোভা করে থাক্ তব কণ্ঠে, তাঁর প্রসাদ পুষ্পদাম---
হৃদয় তোমার হউক্ পূর্ণ, সফল হউক্ কাম।
.                                 ( সাক্ষরিত )

.                  ****************                
.                                                                              
সূচীতে . . .     



মিলনসাগর