কবি দেবকুমার রায়চৌধুরীর কবিতা |
অদৃষ্ট কবি দেবকুমার রায়চৌধুরী সরলা দেবীচৌধুরাণী সম্পাদিত ভারতী পত্রিকার ভাদ্র ১৩১০ (অগাস্ট ১৯০৩) সংখ্যা থেকে নেওয়া। (১) প্রত্যূষ হতে সন্ধ্যা অবধি,--- শৈশব হতে মরণে, তব বিচিত্র বিধানে বিশ্ব লুণ্ঠিত তব চরণে! |
আবেশ কবি দেবকুমার রায়চৌধুরী সরলা দেবীচৌধুরাণী সম্পাদিত ভারতী পত্রিকার ভাদ্র ১৩১০ (অগাস্ট ১৯০৩) সংখ্যা থেকে নেওয়া। ঘুমঘোরে ছিনু অচেতন ; সহসা কোকিলকণ্ঠ জানাইয়া দিল মোরে বসন্তের শুভ আগমন। |
সাগর উদ্দেশে কবি দেবকুমার রায়চৌধুরী স্বর্ণকুমারী দেবী সম্পাদিত ভারতী পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১৩১৬ (মে ১৯০৯) সংখ্যা থেকে নেওয়া। সামাহীন ওগো পারাবার, বহু বর্ষ পরে আজি হ’ল যদি দেখা, শোন তবে একবার, শুধু একবার, |
অন্বেষণ কবি দেবকুমার রায়চৌধুরী স্বর্ণকুমারী দেবী সম্পাদিত ভারতী পত্রিকার চৈত্র ১৩১৭ (মার্চ ১৯১১) সংখ্যা থেকে নেওয়া। একি বিশ্বের মাঝে বিয়াকুল প্রাণ নিয়ত কাহারে চাহে? কাহার লাগিয়া, মরে সে কাঁদিয়া দারুণ মর্ম-দাহে |
পূর্ণিমায় কবি দেবকুমার রায়চৌধুরী স্বর্ণকুমারী দেবী সম্পাদিত ভারতী পত্রিকার বৈশাখ ১৩১৮ (এপ্রিল ১৯১১) সংখ্যা থেকে নেওয়া। সুখ-সূপ্ত এ ধরায় মৃদু-মন্দ মধু-বায় আবেশ বহিয়া আনে ধীরে---অতি ধীরে ; বাসন্তী পূর্ণিমা নিশা পরিপূর্ণ দশদিশা। কি আনন্দ,---কি আনন্দ! সুগন্ধি সমীরে দূর হ’তে আসে বহি’ ‘কুহু’ ধ্বনি রহি রহি’ ; বিশ্ব কোথা মুছে গেছে,---নাহি যায় দেখা! জ্যোত্স্না-স্নাত বসুন্ধরা নিবিড় স্তব্ধতা ভরা ; আর কোথা কিছু নাহি, শুধু আমি একা! অনন্ত অম্বর পরে ভাব-সমীরণ ভরে অসীম অমৃত-সিন্ধু আনন্দে মথিয়া, অশ্রান্ত এ “কুহু”-তান, তা’র সনে এহি প্রাণ, ---দুইটি প্রার্থনাসম চলিল ভাসিয়া! |
কন্যার প্রতি কবি দেবকুমার রায়চৌধুরী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১৩১৩ (নভেম্বর ১৯০৬) সংখ্যা থেকে নেওয়া। ধে’য়ে, নেচে’ নেচে’ আয় ওরে দুলালী আমার! হাসি হাসি মুখখানি তোর হেরিলে, নয়ন আমি ফিরা’তে না পারি আর ; তোরে পেলে হইরে বিভোর! আয়রে সোনার যাদু, বুকে করে’ রাখি তোরে ; গণ্ডে দেই শত চুমা আয় ; দিব আয় রাঙা ফুলে রাঙা দুটি মুঠো ভরে’ আলতা পরা’য়ে দিব পায়। |