কবি গিরিজা কুমার বসুর কবিতা
|
পাশাপাশি
কবি গিরিজাকুমার বসু
নরেন্দ্র দেব সম্পাদিত পাঠশালা পত্রিকার কার্তিক ১৩৪৭ ( নভেম্বর ১৯৪০ ) সংখ্যা থেকে
নেওয়া।
অভিমান না থাকিলে, স্নেহের গরব
. রহিত কোথায় ?
হাসিতে কে হোত খুসী, রোদন সৃজন
. না হ’লে ধরায় ?
মরুভূমি না রহিলে, সলিলের কভু
. হোতো কি আদর ?
শাত যদি না থাকিত, কোথা বসন্তের
. হইত কদর ?
বৃথা কিছু এ জগতে হয়নি রচিত
. সকলি সার্থক,
থাকে হেথা পাশাপাশি মুকুতা, সিকতা
. কুসুম, কণ্টক।
সকলেরই দাম আছে, যেওনা ভুলিয়া
. কেহ নহে হেয়,
সবারে সোনার চোখে দেখিতে শিখিও
. লাভ হবে শ্রেয়।
বাণী-বন্দনা
কবি গিরিজাকুমার বসু
নরেন্দ্র দেব সম্পাদিত পাঠশালা পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১৩৪৭ ( ডিসেম্বর ১৯৪০ ) সংখ্যা
থেকে নেওয়া।
মরমের প্রেমমধু ছন্দে
. শ্রদ্ধা আনত কবি চরণ বন্দে,
. ওই রাঙা পায়ে তার
. ঠাঁই হোক অনিবার
. বীণা তব
. অভিনব
. তুলি সুর ঝঙ্কার
. রাখে যেন বাঁধি তারে পূত প্রীতি-বন্ধে।
নিরুপমা তনু দেহ কান্তি
. তোমারি প্রতিমা ধ্যানে, মনে চিরশান্তি
. কোমল নয়ন নীলে
. যে মাধুরী আসি মিলে
. তারি আলো
. সব কালো
. শুভ্র করিয়া দিলে
. নিমেষে সে নিল হরি শত দুখ শ্রান্তি।
নেই লোভ যশে আর বিত্তে
. তুমি হলে অকরুণ বড়ো বাজে চিত্তে
. তোমার প্রসাদ যাচি
. তোমারেই চাহিয়াছি
. সুখে, দুখে
. তোমারেই বাখিয়াছি,
. জীবনের তুমি সার আর মানি মিথ্যে।
বরাভয়-ভরা তব পাণিগো
. হিয়া-শতদলাসনা সঙ্গীত-রাণী গো
. তোমারেই ভালবাসি
. নিও তুমি নিও আসি
. মরমের
. অর্ঘের
. পুষ্পমালিকা রাশি
. সেবকের আরাধিতা সুধাময়ী বাণীগো
কেলোর কীর্তি
কবি গিরিজাকুমার বসু
শ্রীপ্রিয়দর্শী সম্পাদিত, দক্ষভারতী দ্বারা প্রকাশিত, “ছন্দে ছন্দে” শিশুদের ছড়ার বই থেকে
নেওয়া।
কলা কিনে বাঁদরকে খেতে দেব মা গো!
একটি পয়সা তুমি দেবে মোরে হ্যাঁ গো ?
মা দিলেন পয়সাটি, চট করে কেলো
বাজারেতে গিয়ে দুটি কলা নিয়ে এলো।
মা দেখেন ছাতে বসে ফুলাইয়া, মুখ,
কেলো পায় পাকা কলা চোখে জাগে সুখ।
এর নাম বাঁদরকে কিনে দেওয়া কলা,
কোথা হতে শিখেছিস মিছে কথা বলা ?
কেলো বলে --- ভুলে গেছ ? রাগের মাথায়,
কাল তুমি বলেছিলে বাঁদর আমায়,
বুঝে দেখ তার আর আমার খাওয়ায়
রহিল তা হলে আর তফাত কোথায় ?