কবি গোবিন্দ পান্তি
লিখেছেন কবি জয়ন্ত মণ্ডল ( ইমেল - jayanta.aditi.jayati@gmail.com )
কবি গোবিন্দ পান্তি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ১৭ই জুলাই তাঁর মাতুলালয়ে, অধুনা বাংলাদেশের
যশোহর জেলার শিমুলিয়ায়। পৈতৃক এবং স্থায়ী বাসস্থান উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহাকুমায়
স্বরূপনগর ব্লকের অন্তর্গত গোবিন্দপুর গ্রামে l পিতা স্বর্গত বিশ্বেশ্বর পান্তি, মাতা স্বর্গতা কিরণময়ী দেবী l
সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কবির বাল্য অতিবাহিত l পিতা দক্ষ অভিনেতা ও সুকণ্ঠের অধিকারী, যাত্রা -
থিয়েটারে নিয়মিত অভিনয় করতেন l মামা অমূল্য কুমার বিশ্বাস ততকালীন বিখ্যাত তবলিয়া l
কবি গোবিন্দ পান্তি ১৯৫৩ সালে বিথারী কে.পি.হাই স্কুল থেকে স্কুল ফাইনাল ও ১৯৬৫ সালে পি.ইউ. (প্রি
ইউনিভার্সিটি) পাশ করেন, ১৯৬৮ সালে স্নাতক হন, অত:পর বাংলা ও ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ
করেন l শুধু শিক্ষা জগত নয়, গান-বাজনা ক্ষেত্রেও তার অবাধ বিচরণ l তিনি সংগীত ও ললিতকলা পরিষদ
থেকে মার্গ সংগীতে 'বিশারদ' উপাধি প্রাপ্ত হন l সংগীতাচার্য নরেন্দ্রনাথ তপস্বীর কাছে মার্গ সংগীতে দীর্ঘ
১৬ বছর শিক্ষা গ্রহণ করেন l
কবি গোবিন্দ পান্তির কর্মজীবন বৈচিত্রময় l ১৯৫৬ সালে গোবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ১৯৭১ সালে
বালকী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন l ২০০৩ - ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি স্বরূপনগর ব্লকের
শিক্ষা তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিলেন l আপামর শিশুশিক্ষাকর্মীদের কাছে তিনি আজও পিতা-স্বরূপ l তাঁর
উদাত্ত ও স্নেহাপ্লুত 'মা' ডাক শোনার জন্যে সুদূর প্রান্ত থেকে তারা আজও ছুটে আসেন l
১৯৪৮ সালে, স্বাধীনতার পরের বছর, যেদিন সেই বার বছরের ছোট ছেলেটা প্রায় একক প্রচেষ্টায় 'তরুণ
পাঠাগার' প্রতিষ্ঠা করেন, সেদিন আপামর এলাকাবাসী তার প্রতিভার স্ফুরণ সম্পর্কে অবগত হয় l এরপর
একের পর এক তার লেখনীর সৃষ্টিশীলতা, বৈচিত্র্য ও দক্ষতা দেখে তা-বড়ো কবি-সাহিত্যিকরাও চমকে
ওঠেন l তিনি একাধারে সাহিত্যিক, ছড়াকার, প্রবন্ধকার, সুগায়ক ও ভালো ফুটবলার হলেও কবি হিসেবে
তাঁর প্রশ্নাতীত সাফল্য চূড়ান্ত রূপ পরিগ্রহ করে l
কবি লোকসেবক, পদ্মাগঙ্গা, দিগন্তবলয়, মুক্তপত্র, সোনারতরী, ভগ্নদূত, আমরি বাংলা ভাষা, কফি হাউস,
আগামীকাল, ব্রাত্যবার্তা, বসুধা, টলিউড, সাহিত্যরূপা, নবহিল্লোল, রাজন সপ্তক, সব্যসাচী, মধুচক্র, আকাশ,
কলকাতা তিনশ, চোখ, দেশলোক, একসাথে, মা, ইমন, ইদানিং, সাহিত্য উত্সব, আলো, ক্রান্তিক, দিশারী,
প্রভৃতি কলকাতার পত্র-পত্রিকা ছাড়াও দেশ-বিদেশের নানা পত্র-পত্রিকায় লেখা-লিখি করেন নিয়মিত ভাবে l
শিশু মাসিক 'শুকতারা', 'শিশুসাথী' প্রভৃতি পত্রিকার সাথে কবির গভীর সংযোগে ছিলো l 'শুকতারা'-র
সম্পাদক স্বর্গত মধুসূদন মজুমদার বিভিন্ন পত্রালাপে কবির ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিতেন, উতসাহ দিতেন l ১৯৬৭
সালে প্রকাশিত বিখ্যাত 'শিক্ষক' পত্রিকায় কবির 'ডেকো না' নামক কবিতা প্রকাশিত হয় l সম্পাদক
অধ্যাপক মোহিতোষ রায়চৌধুরীর সাথে কবির ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিলো l
কবির প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ "পাহাড়ে আগুন" বহু গুণী মানুষের প্রসংশায় পেযেছে l এ কাব্যগ্রন্থে কবির
প্রকরণ, শব্দ চয়ন ও চিত্রলতা সৃজনে অনায়াস নিজস্বতা চোখে পড়ে l "পাহাড়ে আগুন" প্রসঙ্গে আলোচনা
করতে গিয়ে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক তারাপ্রনব ব্রহ্মচারী বলেছেন ---
"আমার মনে হয় কবি গোবিন্দ পান্তির পাহাড়ে আগুন কাব্যগ্রন্থ কবি জীবনানন্দ দাসের কাব্যমূল্যের সমান
অংশীদারী l কবি গোবিন্দ পান্তি আধুনিক কবিদের অগ্রগণ্য l কাব্যের imagery diction এবং scansion
অতিমাত্রায় প্রাণবন্ত"।
এরপর কবির অন্য একটি কাব্যগ্রন্থ ২০১২ সালে তাঁর বহু গুণমুগ্ধ ছাত্র-ছাত্রী, কবি, লেখকদের দ্বারা প্রকাশিত
"গন্ধ ছোঁয়া রোদ্দুর" বহু বিদগ্ধ মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করে নেয় নিজ গুণে l
আধুনিক কাব্য-সাহিত্যের অধিকাংশ লেখকরা বোধহয় কলকাতায় স্থায়ী বসবাসের সূত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন
করেছেন l এক্ষেত্রে গোবিন্দ পান্তি একজন ব্যতিক্রমী স্রষ্টা l নিজ পরিচিতির কথা বিন্দুমাত্র না ভেবে, শুধুমাত্র
কবিতার প্রতি একান্ত অনুরাগকে মূলধন করে তিনি প্রত্যন্ত গ্রাম গোবিন্দপুরেই আ-জীবন নিরলসভাবে কাব্য
সাধনা করে গেছেন l তাঁর সম্পাদিত ১৯৮৬ সাল থেকে প্রকাশিত 'জাগৃতি' ও ১৯৯১ সাল থেকে প্রকাশিত
'অনুরাগ' পত্রিকা সাহিত্য-প্রেমী এলাকাবাসীর কাছে এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা l 'অনুরাগ' সাহিত্য গোষ্ঠীর হাত
ধরে অগুনিত কবি-সাহিত্যিক-ছড়াকারের আবির্ভাব ঘটেছে বাংলা সাহিত্যে l জীবনের সবটাই তিনি নি:স্বার্থ
ভাবে উত্সর্গ করেছেন কাব্য সাধনায় l শিক্ষানবীশ কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতী লেখক-লেখিকারা মধুর
সন্ধানে ধাবমান মৌমাছির মতো আজও ছুটে আসে তাঁর সান্নিধ্য লাভের আশায় l তাদের কাছে কবির ছোট্ট
বাড়িটি গোবিন্দপুরের “গোবিন্দ ধাম” l
কিছু বিদগ্ধ মানুষের মতামত না তুলে ধরলে আত্মপরিচয়-বিমুখ এ কবি সম্পর্কে সঠিক মূল্যায়ন অধরা
থেকে যায় l
ড: শুদ্ধসত্ত্ব বসু তাঁর 'একক 'পত্রিকায় লিখেছেন ---
"গোবিন্দ পান্তির কাব্য ভাষায় যে সব অলংকারাদির প্রয়োগ তা সবই পল্লী জীবন ও পল্লী প্রকৃতি থেকে
আহৃত তাই এঁর কবিতায় স্নিগ্ধ একটি মেদুরতা - পাঠককে পরিতৃপ্তি দেয় l আলপথকে মেয়ের বাঁকা-সিঁথি
মনে হয়েছে, ফলন্ত ধান যেন পোয়াতি মেয়ে l এঁর কবিতায় চিন্তা আছে, প্রতিশ্রুতিও আছে l"
মহিলা কবি মিতালী মিত্র তাঁর 'রাজন সপ্তক' পত্রিকায় লিখেছেন -
"কবি গোবিন্দ পান্তি পাঠক-পাঠিকার অন্তরে অবলীলায় কাব্য-ঝড় তুলে দিতে সক্ষম l তাঁর লেখনী নি:সৃত
প্রতিটি কবিতাই বড়ো আন্তরিক ভাবে দাগ কাটে নিভৃত প্রাণে l প্রকৃত কণ্ঠ-শিল্পীর কণ্ঠে যেমন সাত সুর,
সাত পোষা পাখির মতো খেলা করে ; প্রকৃত যন্ত্র-শিল্পী যেমন নিপুণ হাতের স্পর্শে শ্রোতৃমন্ডলীকে আবিষ্ট
করে ; প্রকৃত নৃত্য-শিল্পীর অঙ্গ-সৌষ্ঠব যেমন দর্শক-চোখ মুগ্ধ করে ; প্রকৃত সাহিত্য-শিল্পীর সৃজন-কর্ম তেমনি
আন্দোলিত করে সাহিত্য-পিপাসু পাঠক সমাজকে l আর সেদিক থেকে তিনি সত্যিই সফল l"
কবি, বিশিষ্ট সমালোচক ও ভাষাবিদ শুদ্ধসত্ত্ব বসুকে পিতার মতো স্নেহ করতেন l ড: বসুর ছত্রছায়ায় কবির
কাব্য-প্রতিভা পদ্মকলির মতো ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে l বাংলা কাব্য-জগতে মাধবীলতার মতো লতিয়ে
ওঠা গোবিন্দ পান্তিকে তিনি বটবৃক্ষের স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলেন l প্রত্যাশা মতো সে মাধবীলতার ফুল
ছড়িয়ে পড়েছে বাংলা কাব্য জুড়ে l কবিকে ড: বসু অসংখ্য পত্র লিখেছেন l 'পাহাড়ে আগুন' এর ভূমিকায়
শুদ্ধসত্ত্ব বসু লিখেছেন -
"আজকের জটিল জিবনাবর্তে যে ঘূর্ণি চলছে এ গ্রন্থের বহু কবিতায় সেই বিপন্নতার সংকেত আছে l এমনকি
প্রেমের স্থৈর্য ও মাধূর্যের কথা বলতে গিয়ে কবির মনে অসহ এক বেদনার স্পন্দন অনুভূত হয়েছে l এদিক
থেকে গোবিন্দ পান্তি আধুনিক কবি l প্রকরণে তিনি নিজস্ব একটি ভঙ্গি বজায় রেখেছেন যা প্রচলিত নয়, বা
অন্য কোনো দেখানো পথ নয় l শব্দ ব্যবহারে কবির নিজস্বতা পাঠক মাত্রেই লক্ষ্য করবেন l তত্সম ও
তত্ভবের তুল্য-মুল্য সমাবেশে কবিতার পংক্তিগুলি যেন বাড়তি জোর পেয়েছে l অলংকার ব্যবহারে কবি
অকৃপণ ও অকুণ্ঠিত হতে না পারলেও প্রায় প্রতি কবিতায় ইঙ্গিতময়তার দুরাবগাহ ভাব-সম্মোহ সৃষ্টি
করেছেন l সহজেই বোঝা যায় - এ কবি অনুশীলনের মাধ্যমে কালক্রমে বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারে কাব্য-
লক্ষ্মীর যথার্থ সেবক হবেন l"
কবি গোবিন্দ পান্তির পুরষ্কার প্রাপ্তির তালিকাও কম নয় l কবি "সোনার তরী" ও "আহুতি" পত্রিকা থেকে
বিশেষ সম্বর্ধনা পেয়েছেন l "গঙ্গা- পদ্মা" পত্রিকা থেকে "এপার বাংলা ও ওপার বাংলা" কবিতা
প্রতিযোগিতায় বর্ষসেরা কবি হিসেবে ১৯৯২ সালে শিশির মঞ্চে কলকাতার শেরিফ সনৎ দাস ও
বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের উপস্থিতিতে পদক প্রাপ্ত হয়েছেন l "ব্রাত্য বার্তা", "রাজন সপ্তক"
প্রভৃতি পত্রিকা থেকে সম্বর্ধনা পেয়েছেন l বাংলা ১৪০৭ সালে জীবনানন্দ সভাঘরে মহশ্বেতা দেবীর হাত থেকে
"চোখ" সম্মান পেয়েছেন l "ইদানিং নাট্য গোষ্ঠী" ২০০১ সালে মধুসূদন মঞ্চে তাঁকে বিশেষ সম্বর্ধনা দেয় l
কবি গোবিন্দ পান্তির জীবনী লিখলেও বাংলা কাব্য-সাহিত্যে তাঁর উজ্জ্বল অবদানের মূল্যায়ন করার ধৃষ্টতা
আমার নেই ; তবু তাঁর স্নেহধন্য হয়ে তাঁর সহকর্মী হিসেবে কাজ করতে পেরে, তাঁর অবদান ও অগাধ
পাণ্ডিত্যের পরশে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি ধন্য হয়েছি l ওনার 'গন্ধ ছোঁয়া রোদ্দুর' আমার কাছে সাক্ষাৎ
শব্দকোষ-স্বরুপা l
কবির অসংখ্য কবিতায় মা-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রভাতী রৌদ্রচ্ছটার মতো প্রতিভাত হয়েছে l
প্রেমের বিষয়ে তিনি শাশ্বত চিরসবুজ মননের অধিকারী l শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের
মতো তাঁর লেখনীতে পরকীয়া প্রেমের গন্ধ ছোঁয়া রোদ্দুরের সুঘ্রাণ পাওয়া যায় l বাংলা কবিতায়
জীবনানন্দের হাত ধরে যে পরাবাস্তব চেতনার আবির্ভাব ঘটে তা গোবিন্দ পান্তির লেখনীতে আধুনিকতার
ছোঁয়ায় নতুন স্বাদের জন্ম দিয়েছে l বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণের সমুদ্র-সম পাণ্ডিত্য নতুন নতুন কাব্যিক শব্দ
সৃষ্টিতে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে l তাঁর আবৃত্তি মূলক কবিতাগুলো সামাজিক অবক্ষয়ের স্পষ্ট চলচ্চিত্র l
উপমা প্রয়োগে তিনি তুলনাহীন! বাদুড়ের পাখার মমতা, আকাশ মাপা রাত, পাতার মুকুট পরা প্রেম, পদ্ম
গন্ধের মতো বিশ্বস্ত দৃষ্টি, ওড়া ধুলোর মতো বিদায়, পাহাড়ি ঝরনার মতো অনুরাগ, কপাট খোলা সিন্ধুকের
মতো নিটোল শূন্যতা, নিরাপদ জ্যোছনার মতো মুহূর্ত - এমন অসংখ্য উপমা প্রয়োগে কবি তাঁর প্রতিভার
যোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন l কবির অধিকাংশ কবিতাই দীপ্তি কবিতা, যেখানে ব্যঞ্জনা প্রয়োগের মৌলিক দক্ষতা
প্রতিটি পংক্তিতে লক্ষ্যনীয়। অলংকারের মাধুর্যেও কবিতাগুলো হয়ে উঠেছে সুন্দরী নারীর মতো অপরূপা l
অনেক প্রতিষ্ঠিত কবির মতো কবি গোবিন্দ পান্তি সূর্যালোকে আলোকিত চাঁদের মতো ধারকরা জোছনা
বিতরণ করেননি, বরং দূর নক্ষত্রের মতো প্রত্যন্ত গ্রামের কোণে থেকেও সুদীর্ঘ কাল ধরে নিজস্ব আলো
ছড়িয়ে গেছেন। বিজ্ঞাপনের উপেক্ষা তাঁকে এতটুকু বিচলিত করেনি, কারণ তিনি প্রকৃত কাব্য সাধক l তাঁর
"গন্ধ ছোঁয়া রোদ্দুর" (২০১২) নতুন লেখক-লেখিকার কাছে অমূল্য সম্পদ l এই মহান কবির জীবনী ও সৃষ্টি
সম্ভার তুলে ধরার বিরল সুযোগ দেওয়ার জন্যে মিলনসাগর কতৃপক্ষের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো l
ইতি
কবি জয়ন্ত মণ্ডল (স্বরূপনগর, ইমেল - jayanta.aditi.jayati@gmail.com )
কৃতজ্ঞতা স্বীকার - সাহিত্য চেতনা ও অনুরাগ সাহিত্য সংস্থা, কবি জয়দেব বিশ্বাস ও সরবত আলী মণ্ডল l
*****************************************
আমরা মিলনসাগরে কবি জয়ন্ত মণ্ডলের কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ কবি গোবিন্দ পান্তির পরিচিতি, তথ্য,
ছবি ও কবিতা বাংলায় টাইপ করে পাঠানোর জন্য। এই পাতাটি তৈরী সম্ভব হয়েছে কবি জয়ন্ত মণ্ডলের
একান্ত চেষ্টার ফলেই।
কবি গোবিন্দ পান্তির কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।
উত্স - কবি জয়ন্ত মণ্ডলের পাঠানো কবি-পরিচিতি, তথ্য, ছবি ও কবিতা। কবি জয়ন্ত মণ্ডলের সঙ্গে
যোগাযোগের ইমেল - jayanta.aditi.jayati@gmail.com
কবি গোবিন্দ পান্তির মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
কবির সঙ্গে যোগাযোগ -
ইমেল - jayanta.aditi.jayati@gmail.com
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২৪.০৯.২০১৫
...