হৃদয় কেন ফুঁপিয়ে ওঠে একটু অভিমানে – জানিনা আমি জানিনা। বুঝতে পারিনা অনেক কিছুই ; মনের গহনে কি ছেলেখেলা চলে। তবুও পাল তুলতে ইচ্ছে করে, অকূল দরিয়া-দিকে। কেন এমন হয় ...। জানিনা আমি জানিনা। একটু ভালোবাসার জন্য – পৃথিবী কে খুব ছোট মনে হয়। দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে লাল রুমাল বাঁধতে হয় কবিকে – তবুও কি পাওয়া যায় সব ? জানিনা আমি জানিনা। শহুরে সন্ধ্যায় কালবোশেখীর মেঘ যখন বৃষ্টি ঝরায় – ভালোলাগার আঁচে কি হৃদয় গলে ? জানিনা আমি জানিনা। কবিতা কি ব্যাকরণ মানে ? গদ্য কি সুর খোঁজে ? সবুজ ঘাস কি দুলে ওঠে ? ভালোলাগার ঝড়ে ? জানিনা আমি জানিনা।
শুধু জানি আমি আছি – মেঘ আছে – বৃষ্টি আছে – আর আছে এক চওড়া মন। যে মনে মরচে ধরতে পারে না কিছুতেই... পারে না পারে না পারে না...
যদি কিছুক্ষন - উজ্জ্বল আয়নার দিকে তাখো চোখ তবে কি অনুভব ক’র আপনার অন্তহীন গভীরতা ! সৃষ্টির সৃজনে যা অপরূপ, মহাকালের যাত্রায় যার পরিক্রমা আদি থেকে অনাদির চূড়ায় চূড়ায়, তার কোনো বিরূপতা আছে নাকি ? নাকি, এশুধু দৈনন্দিন জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে না পাওয়ার আদিম তিয়াসা।
বহুক্লেশে পাওয়া যায় প্রকৃতির সুধা। যদি জীবনের ধরাবাঁধা একপাশে ঠেলে রেখে চেয়ে দেখো চারিদিকে – দেখবে অজস্র রং চারপাশে ভীড় করে আছে। তা’দেরি কাছে জমা পড়ে আছে আমাদেরি সাদা-কালো; লাল-নীল জীবনের জটিল মিছিল আজ বাঁধা পড়ে গেছে।
তাই মাঝে মাঝে জীবনের প্রয়োজনে - হয়তো বা আনমনে ক্যামেরার জান্লায় চোখ রাখি। অসীমকে দিয়ে ফাঁকি দিই তারে বেড়ী; যেন জানালার খড়খড়ি ফাঁক করে দেখে নিই রণক্লান্ত সৈনিকের সন্ধ্যার অবকাশ।
মনে ভাবি, আমার এ ছবি হৃদয়ের অস্ফুট আকাঙ্খায় কত ভাবে গান গায় ! অবশেষে হয়ে নিরূপায় বেদনার শিহরণে পারে না চিন্তে আমায়। দূর থেকে দূরে – আরো দূরে চলে যেতে যেতে বাঁধা পড়ে যায়।