এসো নন্দিন দু-বাহু ছড়ায়ে অমোঘ তোমার সঙ্গ জড়ায়ে ছুঁড়ে দাও সব দূরে। আনো আরো আলো আনো আরো প্রাণ তাড়াও তাড়াও যত ব্যবধান সব রঙ আনো আবার ফিরায়ে আমাদের চার পাশে। দুর্বল হাতে আমরা ছড়াব সাদা খই উল্লাসে।।
আমরা সবাই খুব চালাক হয়ে গেছি। হঠাত বুঝতে শিখেছি – আর সবাই আমার চেয়ে বোকা।
ছোট হতে ছোট আরো ছোট হতে হতে মাথা তুলতেই ভুলে গেছি আজকাল।
প্রাত্যাহিকতার বাইরে আর কিছুতেই যেন মন নেই আর। সেই খাওয়ার পর শোওয়া আর শোওয়ার পর খাওয়া। আর যদি একটু বাড়তি সময় থাকে তাহলে সেই বাড়ীতেই – রঙিন এল-ডি স্ক্রীনের সবকিছু বোকার মত গিলে যাওয়া।
পাড়া গেল হারিয়ে – সব কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে, শুধু নিজের কাছে নিজেকেই বাঁধা দেওয়া। এ কি সময় এল কাছে ?
ভয়াবহ ভূমিকম্পে যখন হাজার হাজার মানুষ মৃত আরো কত শত গৃহহারা- চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আজকাল আর কোনো অভিব্যক্তিই ফোটে না। কাগজের প্রথম পাতায় লাশের রঙীন ছবি – যেন কত খবর পৌঁছে দিয়ে ধন্য করছে আমাদের ! সিরিয়ালে আত্মহত্যার সূত্র – কিংবা খুন-জখমের দৃশ্যকাব্য। সারাটা দিন ধরে চলছে...চলছে...চলছেই, একবার, দুবার, কখনো বা বহুবারও। বিরামহীন। পাব্লিকের খাবার।
এড়িয়ে যাবার কত না নিত্য নতুন কৌশল, ছলাকলা। বাসে, ট্রামে, ট্রেনে, মেট্রোয় মহিলা কিংবা বয়স্কদের সিটে বসে জেগে জেগে ঘুম। কি কষ্টকর ! বুকের গেঞ্জি কিংবা রুমালে বড় বড় প্রিন্ট – ইউনিয়ন জ্যাক কিংবা স্টাচু অফ লিবার্টির । ভুলে যাওয়া না কি অজ্ঞানতার অন্ধকারে চালাকি করে উচ্চকিত আস্ফালন – “দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে...”
রাজনীতি আর সভ্য মানুষ যেন বিপরীত দুই মেরু। অথচ আমরা গনতান্ত্রিক অধিকারের বোতাম টেপার জন্য কত না উৎসুক ! বিপন্ন আমরা আমাদেরই কাছে। তাই পাড়ায় পাড়ায় বহিরাগতের দাপুটে পদধ্বনি । রাজনীতি আজ পণ্য। নেতা-নেত্রীরা বিক্রেতা আমাদের মত গনতান্ত্রিক ক্রেতাদের কাছে। আর কত শত দোকানদার ছেয়ে ফেলেছে বিভিন্ন সাইনবোর্ডে। কখনো হার্মাদ, কখনো বহিরাগত কখনো বা এন্টি-সোশ্যাল। গন্ধ বিলোবেই ওরা... অগুরুর।
বেলোহেরি হারিবোল – কি প্রচন্ড উল্লাসে আমাদের মহাপ্রস্থান ! বিপন্নতা মেখে, বিপন্নতা জড়িয়ে আমাদের পলায়ন। কোনো এক ধূসর পেঁচার কাছে। “অবাক পৃথিবী, অবাক করলে তুমি – জন্মেই দেখি...” বিপন্ন মরুভূমি ।