কবি গীতিকার জলি বাগচীর গণসঙ্গীত
*
ঝান্ডা মোদের লাল সাথী ভয় মানি না
কথা - জলি বাগচী
সুর - আমেরিকার লোকগান
We shall not ---We shal not be moved অবলম্বনে।
“গণবিষাণের গান ১৯৭৭ থেকে ২০০১” থেকে নেওয়া। রচনাকাল ১৯৯০।


ঝান্ডা মোদের লাল সাথী                  ভয় মানি না
ঝান্ডা মোদের লাল সাথী                  ভয় মানি না
আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো                 আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো।

আসুক ঝড় বজ্রাঘাত                     বাধা মানবো না
আসুক ঝড় বজ্রাঘাত                     বাধা মানবো না
আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো                 আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো।

ভাঙবো তালা খুলবো দ্বার                আমরা হটবো না
ভাঙবো তালা খুলবো দ্বার                আমরা হটবো না
আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো                  আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো।

ভুখা পেট শুকনো মুখ                     স্ত্রী শিশুদের
ভুখা পেট শুকনো মুখ                     স্ত্রী শিশুদের
আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো                  আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো।

মাথার উপর ছাদ আকাশ                আমরা টলবো না
মাথার উপর ছাদ আকাশ                আমরা টলবো না
আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো                 আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো।

জানি এ পথ কাঁটা ছড়ানো                বাধা মানবো না
জানি এ পথ কাঁটা ছড়ানো                বাধা মানবো না
আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো                 আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো।

ঝান্ডা মোদের লাল সাথী                  ভয় মানি না
ঝান্ডা মোদের লাল সাথী                  ভয় মানি না
আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো                  আমরা দৃপ্ত পায়ে চলবো।


.          
                    ***************  
.                                                                               
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
পোড়া দেশে আইলো যে আকাল রে
কথা ও সুর - জলি বাগচী
“গণবিষাণের গান ১৯৭৭ থেকে ২০০১” থেকে নেওয়া। রচনাকাল ১৯৭৮।


পোড়া দেশে আইলো যে আকাল রে
ঘরে ঘরে দ্যাখ রে কি হাল।

ওরে আষাঢ় গ্যালো শাওন গ্যালো
মেঘ কোথা যে মুখ লুকালো
মাঠের বুক ফুটা ফাটা রে।

হাট বাজারে হাহাকার
অন্ধ বোবা সরকার
দুঃখীজনের দুঃখ সে তো বোঝে না।

জোতদার আজ পুলিশ পোষে
মোরা লড়বো বাঁচার আশে
ঠিক করে ফ্যাল এবার পথের নিশান রে।

মোদের শত্তুর জোতদার সরকার
জোঠ বেঁধে চল লড়বি এবার
কাস্তেটারে জোরসে শানারে
জোট বেঁধে চল লড়বি এবার রে।

.               ***************  
.                                                                               
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
(আমরা) চাইনা মশাই তোমার লাখো লাখো টাকা
কথা ও সুর - জলি বাগচী
“I don’t want your million mister” গানের কথা ও সুর অবলম্বনে রচিত। “গণবিষাণের গান
১৯৭৭ থেকে ২০০১” থেকে নেওয়া।
অনুবাদকাল ১৯৯০।


(আমরা) চাইনা মশাই তোমার লাখো লাখো টাকা
(আমরা) চা
না তোমার ঐ হিরের আংটি
আমরা চাই শুধু বেঁচে থাকার অধিকার
ফিরিয়ে দাও মোদের চাকরি আবার।
শোষণের মুক্তি চাই সবার॥

(আমরা) চাইনা মশাই তোমার রোল্ স রয়েস গাড়ি
আমরা চাইনা তোমার মতো প্রাসাদ বাড়ি
আমরা চাই মুখো হাসি দিতে শিশুদের
শোষণের মুক্তি চাই সবার॥

ফিকে লাল খদ্দর দোস্তি পাতায় ভাই
ফারাক দেখিনা দু-য়ে মিলে এক ঠাঁই
সাচ্চা শ্রমিকের পার্টি গড়ে আজ
শোষণের মুক্তি আনবো সবাই॥

.               ***************  
.                                                                               
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
শুন শুন শুন সবে শুন দিয়া মন
কথা ও সুর - জলি বাগচী
“গণবিষাণের গান ১৯৭৭ থেকে ২০০১” থেকে নেওয়া। রচনাকাল ১৯৭৮-৭৯।


শুন শুন শুন সবে শুন দিয়া মন
শহীদ এক বীরের কথা করিব বর্ণন।
কে সেই বীর, কি নাম তাঁর, কেমন সে মরে
শান্তি যখন দেশ জুড়ে ভাই এমন সাতাত্তরে।
কংগ্রেস গেল, জনতা এল, তবু এ ঘটনা
ঘটিল কেমনে তাহাই করিব বর্ণনা।

বিহার প্রদেশের ভাই পূর্ব চম্পারণে
গম্ভীরা শা ছিল নেতা গরীব চাষীগণের।
কেমনে সে চাষীর প্রিয় নেতা হল ভাই
এবারে সে কথাটিরে বলিবারে চাই।
গম্ভীরা শা পড়তে ছিল কলেজেতে গিয়া
গরীব চাষীর তরে এল কলেজ ছাড়িয়া।

দেখিল রে রক্ত-খেকো জমিদার সকলে
গরীব চাষী পিষে মারে শোষণ-জাঁতাকলে।
এই শোষণের হাত থেকে ভাই মুক্তি পাবার তরে
গম্ভীরা শা ডাক দিল জোট বাঁধিবারে।
‘খেতিহর কিসান মজদুর সংঘ’ যাহার নাম
গম্ভীরা শা গড়ে তোলে পুরতে মনস্কাম।

গরীব-রাজ কায়েম করাই ছিল সংঘের মতি
এই সংঘ ছড়িয়ে পড়ে অতি দ্রুত গতি।
জমিদারের পোষ্য ছিল বন্দুধারী সেপাই
মিলট্রি-পুলিস থাকতো সহায় সদা-সর্বদাই।
গরীব চাষীর ছিল শুধু একটি হাতিয়ার
নিজেদের ঐক্য তারা করে জোরদার।

একদিন দাপড়া গ্রামের জমিদার মশাই
দুশো মজুর জমি থেকে করলো যে ছাঁটাই।
ফুঁসে ওঠে সব মজদুরেরা গম্ভীরার ডাকে
করলো দাবী ফিরিয়ে নিতে হবে সকলকে।
জমিদাররা মতলব করে চাইল দিতে সাজা
বলল, ভুখা রাখলে দেখবো মজুর কেমন থাকিস তাজা।

দিকে দিকে আওয়াজ ছড়িয়ে পড়লো গম্ভীরার ডাকে
জড়ো হল সব, লক্ষ্য সবার এক
যেভাবেই হোক বাঁচাতেই হবে দাপড়া গ্রামের মানুষকে।
দেব না মরতে দেব না
ভুখা আর থাকবো না, মরতে যে দেবো না।
মোরা গড়ে যাবো প্রতিরোধের দূর্গ।

এসব দেখে জমিরাররা ভয় পেল, ভাই
বুঝলো তারা দিকে দিকে উঠছে লড়াই
তাই বাঁচতে হ’লে, সবার আগে গম্ভীরা শা কে
দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া চাই।

একদিন গম্ভীরা শা ঘুমিয়ে ছিল সাথীদের সাথে
জমিদারের পোষা পুলিস গ্রেপ্তার ক’রে আনলো থানাতে।
ঝাঁপিয়ে পড়লো গম্ভীরার ’পরে নেকড়ের জাত
রক্ত-খেকো জমিদার ও পুলিস
হানলো আঘাত (৩)।
হত্যা করলো গম্ভীরাকে গোপন অন্ধকারে
গম্ভীরা শা শহীদ হ’ল গরীব চাষীর তরে।

গম্ভীরা শা মরেনি ভাই মরতে পারে না
মিছিলে তার প্রমাণ দিল হাজার হাজার জনা।
এমন মিছিল চম্পারণে হয় নি কোনদিনই
চলে হাজার কিষান, চলে কিষান রমণী।
জ্বলে তাদের হাজার চোখে ঘৃণার আগুন জ্বলে
পায়ের চাপে পাহাড় কাঁপে পাপের পাহাড় টলে।
শিক্ষা দিল গম্ভীরা শা শিক্ষা দিল ভাই
শক্ত হাতের মুঠোয় ওড়ে রক্ত-নিশান তাই।
মজুর-চাষীর রক্ত নিশান মজুর-চাষীর হাতে
মশাল যেন জ্বলে রে ভাই গহীন আঁধার রাতে।
গরীব-রাজের তরে লড়াই গরীব-রাজের তরে
গম্ভীরা শা রইল হাজার গরীব চাষীর ঘরে॥

.               ***************  
.                                                                               
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
ক্যায়া কহুঁ ভাই ক্যায়া কহুঁ
কথা ও সুর - জলি বাগচী
১৯৯৪-এর মে দিবস উপলক্ষে রচিত হয়েছিল গানটি। সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার পতনের পর শ্রমিকশ্রেণীর
উদ্দেশ্যে উচ্চারিত আহ্বান। রচনাকাল ১৯৯৪। “গণবিষাণের গান ১৯৭৭ থেকে ২০০১” থেকে নেওয়া।


ক্যায়া কহুঁ ভাই ক্যায়া কহুঁ
তুম তো সবসে বড়া সমঝদার হো
ম্যায় তুমসে ক্যায়া কহুঁ।

তুম অপনি আখোঁসে দেখো
ঔর কান ভর কর সুনো
ইস দুনিয়া কা হাল ক্যায়া হুয়া হ্যায়
দেখো ভাই দেখো।

জিসকা নিশান হাঁসুয়া থা
জিসকা নিশান হথওড়া থা
উস দেশ কা হাল ক্যায়া হুয়া হ্যায়
দেখো ভাই দেখো।

যো নমকহরাম হ্যায় উসে পহ্চানো
(ঔর) যো দলাল হ্যায় উসে হলাল করো
ঔর অপনে জমিন পর হিম্মত সে অব সিধা খড়া রহো

ইস দুনিয়ামে তুমসে বড়া
হিম্মতদার কোই নেহি
যো করনা হ্যায় উয়হ তুমহেহি করনা হোগা
ডরো মত্ আগো বঢ়ো (২)
অন্ধেরা ঢল্ যায়েগি
নয়ী রোশনি আয়েগি।




.               ***************  
.                                                                               
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
क्या कहूं भाई क्या कहूं
तुम तो सबसे बड़ा समझदार हो
मैं तुम से क्या कहूं।

तुम अपनी आंखों से देखो
और कान भर कर सुनो
इस दुनिया का हाल क्या हुआ है
देखो भाई देखो।

जिस का निशान हाँसुआ था
जिसका निशान हथौड़ा था
उस देश का हाल क्या हुआ है
देखो भाई देखो।

जो नमकहराम है उसे पहचानो
(और) जो दलाल है उसे हलाल करो
और अपने जमीन पर हिम्मत से अब सीधा खड़ा रहो

इस दुनिया में तुम से बड़ा
हिम्मतदार कोई नहीं
जो करना है वह तुम्हेही करना होगा
डरो मत आगे बढ़ो (2)
अन्धेरा ढल जाएगी
नयी रोशनी आएगी।