কবি কেদারানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
|
উত্সর্গ পত্র
শ্রীশ্রীবাবা বিশ্বনাথ শ্রী পাদপদ্মেষু
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার "কাশীর কিঞ্চিৎ" থেকে নেওয়া।
কে নেবে আর এমন জিনিষ, কার চড়ে না হাঁড়ি,
কোপ্ নি কাঁথাও জোটেনিক’--- চাল-চুলো না বাড়ী ;
যা কিছু অস্পৃশ্য আর---যা কিছু জঞ্জাল্, ---
জমিকা
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার "কাশীর কিঞ্চিৎ" থেকে নেওয়া।
ভগবানকে দেওয়া যেমন, গুণের সার্টিফিকিট্,---
ব্রাহ্মণ বোলে বশিষ্ঠের--- ভালে মারা টিকিট্,
কাশীর গুণ ব্যাখ্যা করাও--- সেইরূপ ধৃষ্টতা,লস
সঙ্কল্পের কারণ
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
অনেক দিনের জড়ো করা অগাধ পাপের রাশি---
নিয়ে ভাবলুম কোথা যাই, ---মনে পড়্ লো কাশী।
কাশীর চুঙ্গী
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
ইষ্টিশনের বাইরে, এসে না ফেল্ তে শ্বাস---
দেখি আর এক ক্ষুধার্ত্ত জীব পেতে আছে গ্রাস!
পরে, এক্কায় বোসে ধাক্কা খেয়ে, হিঁদুর মক্কায় আসি---
হেরিলাম বিশ্বনাথের পুরী অবিনাশী।
. **************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এক-নজরে কাশী-দৃশ্য
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
দেখি, --- কাশী কি কাঁটালপাড়া বুঝে ওঠা ভার,
সর্ব্বাঙ্গে মন্দিরগুলো কাঁটা যেন তার।
বিচি চাও, চাও পাবে---প্রত্যেকের মাঝে,
শিবলিঙ্গ হোয়ে তারা ভিতরে বিরাজে!
. **************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
রাস্তা ও গলি
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
বিশ্বনাথ কাঁকড়া যেন --- মধ্যে আছেন বোসে,
রাজ্য জুড়ে, ঘুরে ঘুরে, ডিম পেড়েছেন কোসে!
দাড়া দুটি মস্ত রাস্তা --- গেছে দুদিক্ চলি,
বিদেশ না বাংলা দেশ
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
বাংলা কি বিদেশে এলাম্ --- কিছু বুঝতে নারি,
যে দিকে চাই --- বাংলা দেশের মেয়েমদ্দের সারি।
দোকানে চাই --- নেড়ির মা ভেন্ খোলা খুলেচে,
বাঙ্গালীর বিষয়কর্ম্ম
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
পুরুষদের ব্যাসাতের অন্ত দেখি নাই,---
সেতো, পাণ্ডা, চা, চপ্, সকল তাতেই পাই।
স্বর্ণকার, কর্ম্মকার, ময়রা, মনিহার,
ঘড়ি-সাজ, চিত্রকর---মায় ফটোগ্রাফার ;
বে-ওয়ারিস্ ভাঙ্গা-কূলো --- বাংলা দেশের মাল,---
যাদের উপর --- বক্তা, লেখক, ঝাড়েন যত ঝাল,---
চাকরী ছেড়ে তারা যেন’ কাস্তে নিলেই হাতে---
ভারতের সকল দুঃখ ঘুচবে এক রাতে!
. **************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
বৌমার ব্যবস্থা ও বিচক্ষণতা
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
মেয়ের ভাগই অধিকাংশ --- প্রৌঢ়া বৃদ্ধাই বেশী,
খোপে যেন পায়রা আছে --- কোরে ঘেঁশাঘেঁশী।
গরীব থেকে আছেন হেথা লক্ষপতির মা,
পাঁচ, সাত, দশ, মাসোহারা --- বৌ করেছেন যা।
দৈববাণী
সাবধান, --- তুমিও ত’ বউ এনেছ ঘরে,
এসব কথা তুলে তিনি রাখছেন তোমার তরে!
তুমি যখন কাশী যাবে --- বৌ ব্যবস্থা করি ---
তিনটি টাকা মাসোহারা দিবেন তোমায় ধরি!
দিন থাকতে বলি তাই --- মনে কোরে রেখো ---
এখনও সে পরের মেয়েয় আপন কোরতে শেখো।
. **************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
বাঙ্গালীর বাড়ী
কবি কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দি শর্মার “কাশীর কিঞ্চিৎ” থেকে নেওয়া।
পঞ্চক্রোশী কাশীর মাঝে রাস্তা কি গলিতে ---
বাড়ী দেখে হয় না আর পরিচয় নিতে।
যাইনা কেন অলি গলি কিম্বা সোনারপুরে,