কবি লীলা মিত্রর কবিতা
*
সন্ধ্যাকালে
কবি লীলা মিত্র
কেশবচন্দ্র গুপ্ত ও কৃষ্ণদাস চন্দ্র সম্পাদিত “অর্চ্চনা” পত্রিকা, ভাদ্র ১৩৩০ সংখ্যা (অগাস্ট
১৯২৩) থেকে নেওয়া।

কমল বনে মুদলো আঁখি,
.                মলিন হ’ল অরুণ বরণ,
ধূসর আলোয় ধরার পরে
.                সন্ধ্যা-বধু রাখলো চরণ।
সুদূর নভের সুনীল জলে
দীপ্ত তারার দীপ্তি জ্বালে
ছড়িয়ে আঁচল আঁধার আসে
.                ঘনিয়ে আসে আলোর মরণ।
কুমুদ কলি উঠলো হেসে
.                চাঁদের আলোর মধুর ছোঁয়ায়,
শঙ্খ বাজে গৃহে গৃহে
.                শিউলী শাখা মাথা নোয়ায়।
ঐ আঁধারে তুলসী তলে
কার জ্বালানো প্রদীপ জ্বলে
মধুর মুখে ঘরের বধূ
.                তুলসী তলায় মাথা নোয়ায়।

.                    *****************

.                                                                              
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
চরকার গান
কবি লীলা মিত্র
কেশবচন্দ্র গুপ্ত ও কৃষ্ণদাস চন্দ্র সম্পাদিত “অর্চ্চনা” পত্রিকা, জৈষ্ঠ ১৩৩০ সংখ্যা (মে
১৯২৩) থেকে নেওয়া।

পর্ ভাই খদ্দর
ব্রাহ্মণ শূদ্দর,
চরকায় ঘর্ঘর,
কর্ ভাই দিন্ ভর!
বল্ সব্ এক স্বর্
ছোটলোক্, ভদ্দর,
স্বদেশের যাহা কিছু
সব্ চেয়ে সুন্দর্!

বলে সব্ ভাই, ভাই,
জাতিভেদ নাই, নাই,
স্বদেশীর দিন্ আজ্
পূত হোক অন্তর!
সুন্দর্, সুন্দর,
ঘর, দ্বার, অন্দর,
চৌদিকে তাঁত্ হাল্
চরকার ঘর্ঘর!

.     *****************

.                                                                              
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর