একটি নতুন বই- কেনা হলো, চেনা হলো শব্দের ঘ্রাণ তোমাকে পত্রলেখা, তোমাকে আমার অভিমান...
তোমায় কতো পত্র লিখি এবং ছিঁড়ি। হাতের লেখা- কী বিচ্ছিরি। আবার লিখি... দেই মিশিয়ে ফুলপাঁপড়ি, চুম্বনদাগ আবার ছিঁড়ি জলে ভাসাই, জলফোঁটা দেই আবার লিখি।
ঘাসের কাছে পাতার কাছে নতুন কত্তো শব্দ শিখি তোমার জন্য সবই লিখি...
যত্নে আবার খাতা খুলেই, শুকনো ফুলের ধুপ মেখে যেই লিখতে বসি- বৃষ্টি নামে, মেঘ ডাকে খুউব পথ ডুবে যায়, দিক ভুলে যায় ছোট্ট সারস তার কথাটি তোমায় লিখি। চোখের তারায় খানিকটা মেঘ মেঘ উড়ে যায় দূর পরবাস, তোমায় ডাকি...
মায়ের অসুখ, বোনের ছোট্ট আবির মাখা কপোল জুড়ে আশির্বাণী; হঠাৎ দেখা- সড়ক জুড়ে এক বনফুল ধুলোয় হাসে আর ভাসমান এক তরুণীর কান্নার দাগ মুছিয়ে দিচ্ছে আরেকটি হাত বৃক্ষ যেমন রোদের ছায়া সে মূর্তিমান। তোমায় লিখি...
যতটুকু খালি পড়ে আছে,যতটুকু সীমান্তের হাত সর্বস্ব দিয়ে রক্ষা করো, সবটৃকু আমার সম্পদ। যতটুকু- দরিদ্র মানুষ, আগলে আছে জীবন বেঁচেনি, সেটুকুও- দলিল-পর্চা আর চৌকাঠখানি। দখল নাও দখল নাও দখল নাও। পারো যদি- মৃত্যুকেও সীমানায় আটকাও অবশিষ্ট আছে যা, আত্মাও, সমস্ত আমাকে বেঁচে দাও।