ভোকাট্টা কবি নির্মল ঠাকুর মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
আকাশে উড়ছে ঘুড়ি আমার হাতে লাটাই সুতো আর দুচোখে মুগ্ধ উল্লাস দু চোখে স্বপ্ন, আরও আরও অনেক উঁচুতে আমার একতেল , নীল সাদার মাঝে রাজকীয় গরিমায় ... ওপাশের বাজ পাখির মতো ছোঁ মেরে নেমে আসা পেটকাটিটা কে লক্ষ্যই করিনি .. . ********************* . সূচিতে . . .
আলোর ঠিকানা কবি নির্মল ঠাকুর মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
যা হারিয়ে যায়, তা কি জোর করে আর ফেরানো যায় ? স্মৃতির ঝাঁপি বন্ধ করে কুলুঙ্গীতে তুলে রাখাই ভালো, তারপর ..জ্বালাও আলো , বেলোয়ারী ঝাড় থেকে ঠিকরে পড়ুক আনন্দ ঝর্ণা, এসো নীপা শিখা অপর্ণা নাচ সবে ঘিরি ঘিরি হাতে হাত ধরি ধরি শিখিয়ে গেছেন তো কবি , এই সবই এখন কাজে লেগে যায়, ধরতাইটা কোথায় আর কখন তালটা সমে এসে হারায় ... রাতের চতুর্থ যামে ভৈরোঁর সুর, ঊষার আলো বন্ধ চোখের পাতায়, বধির কানে,নতুন অচেনা সুর, আলো অন্ধকারে কে যেন বলে, দ্যাখো চোখ খুলে আমি নতুন ঊষা নতুন দিশা নতুন প্রাণে ভরপুর .. নতুন সুর আর ছন্দে বাজে আমারই পায়ের নূপুর .. . ********************* . সূচিতে . . .
এক্সচেঞ্জ কবি নির্মল ঠাকুর রচনা শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬ মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
মোবাইলটা খুব গন্ডগোল করছিল / বেশ কিছুদিন ধরে / কখনো কথা কেটে যায় / কখনো বেজে ওঠে বিচিত্র সুরে / কখনো মূক বধির .. হয়তো কিছু পাঠাচ্ছি একজনকে / বোতামের কেরামতিতে সেটা চলে যায় অন্য ঠিকানায় / শুরু হয় নতুন যন্ত্রণা এই দুর্ঘটনায় / আবার হয়তো কখনো ভীষণ সুন্দর মুহূর্তে যোগাযোগ হয়ে যায় ছিন্ন / এই সব বিভিন্ন যন্ত্রণা ক্ষোভ জমে যাচ্ছিল কিন্তু প্রাণে ধরে ছাড়তে পারছিলাম না কিছুতেই / তারপর তো একদিন চলতে চলতে বলতে বলতে বলার মাঝপথেই হ্যাং হয়ে গ্যালো / এরপরই শুরু হলো মাঝে মাঝেই সমস্ত নিভে গিয়ে কালো পর্দার নিথর বোবা দৃষ্টি / অভিজ্ঞ জনেরা বললে .. ভাইরাস / বহির্শত্রু যা মিত্ররূপী ছদ্মবেশে এসে বাসা করে আর ধীরে ধীরে ভেতর থেকে পুরনো সমস্ত লিংক ( সম্পর্ক) গুলোতে দেয় গোলমাল পাকিয়ে / যেই বোতামটাতে এতদিন সপ্তসুর বেজেছিলো সেগুলোতে এখন কর্কশ ধ্বনি / যোগাযোগের মাধ্যমে ঘোরতর বিভ্রান্তি / মোবাইলের কারিগর বলে ফরম্যাট কর / সেটা কিরকম হবে ? না যা কিছু ভিতরে আছে সব মুছে যাবে/ অবশেষে পরে থাকবে শুধু সাধারণ কেজো একটা যন্ত্র যা প্রায় ওই নতুনের মতোই হবে / আবার একটা একটা করে একটু একটু করে ভরে তুলতে হবে/ তবে নিশ্চিত নয় কিছুই/ পুরনোটা যদি বেশিই বিগড়ে থাকে বা সেই ছিদ্রান্বেষী ভাইরাস সমস্ত কিছু এতই লন্ডভন্ড করে দিয়ে থাকে তবে আর কিছুই করার নেই / জীবনের , যোগাযোগের ও জীবিকার বড় দায়/ শপিং মলে যাই অগত্যা নিরুপায় / একটা মোবাইল কিনতে হবে / দোকানি বললে এক্সচেঞ্জ করবেন ? পুরনো মোবাইলটার দিকে আবার ভালো করে তাকাই / তার কোণাগুলো রঙ চটে গেছে কিন্তু মাঝের জায়গাগুলো কোথাও কোথাও এখনো উজ্জ্বল / একটা কোণায় একটু ডেবে যাওয়া চিহ্ন / একদিন রাগ করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো / পেছনে একটা গভীর আঁচড় / কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে চুড়ির ঘষায় হয়েছিলো / একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে বলি/ হ্যাঁ করবো / এর থেকে ভালো একটা নতুন মোবাইল দিন .. . ********************* . সূচিতে . . .
যে ছিলো আমার স্বপনচারিনী..... কবি নির্মল ঠাকুর রচনা বুধবার, ২৭এপ্রিল ২০১৬ মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
চেষ্টা তো অনেক করলাম / সমস্ত দরজা জানলা বন্ধ করে দিলাম / আকাশকে নির্বাসনে পাঠালাম / বাতাসকে বন্দি করলাম হাতের মুঠোয় / প্রতিটা নিঃশ্বাসকে প্রবল শাসন / বিশ্বাস নেই সে দীর্ঘশ্বাস ফ্যালে কখন / আশাকে পাঠালাম পাতালের অন্ধপুরীতে / শামুকের খোলে পুরে দিলাম হৃদয়টাকে / কিন্তু সেই খোলের মধ্যে কেন শুনি আজও সুনামির গর্জন / নাহ এভাবে হয় না / হলো না .. . ********************* . সূচিতে . . .