কবি গীতিকার নীতীশ রায়ের গান ও কবিতা
*
যত হামলা করো
কথা ও সুর - কবি নীতীশ রায়
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।

যত হামলা করো
সব সামলে নেবো
চ্যালেঞ্জ তোমায় যদি মারতে পারো

অনেক মেরেছ তবু
মরিনি আজো
বিছন হয়ে গেছি আজ ---
.                  তাই ছড়িয়ে যাবো |

ছড়িয়ে গেছি আমি অনেক দূরে
পাখির মুখে মুখে গানের সুরে
মাঠ-ঘাট-নদ-নদী গ্রাম পেরিয়ে
মাটির গভীর থেকে গভীরে যাবো |
.                  বিছন হয়ে গেছি --- ||

ডাক হয়ে উত্তর পাহাড় থেকে
শন শন কিষানের তীরের মুখে
বসন্তে বজ্রের নয়া ঘোষণায়
জীবনের স্রোত হয়ে সাগরে যাবো ---
.                  বিছন হয়ে গেছি ---

.             ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
তোমাকে সাজাই মা, জন্মভূমি মা
কথা ও সুর - কবি নীতীশ রায়
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।

তোমাকে সাজাই মা, জন্মভূমি মা
শিল্পী মোরা  শিল্পী মোরা  শিল্পী সেনা ||
.          সুর ঝংকারে, ভাষার অলংকারে
.          পাথরের বুকে ছেনির সোহাগে
.                তুলির আঁচড়ে
তোমাকে সাজাই মা, জন্মভূমি মা
শিল্পী মোরা শিল্পী মোরা শিল্পী সেনা --- ||
.   নদী ফুল পাখী নারী দেহ নিয়ে
.         ইনিয়ে বিনিয়ে খেলা
কল্পিত কথা শিল্পিত করে
.         আর নয় পথ চলা
হাজার প্রাণের ছন্দে
মাগো, এযুগের নয়া দ্বন্দ্বে
তোমার প্রাণেতে এঁকে দেবো মাগো
.          মুক্তি আলপনা
.          তোমাকে সাজাই--- ||

ধানকাটা শেষে কিষাণীর বেশে
তোমার সোনালী হাসি
রাত্রির বেশে কারা যেন এসে
কেড়ে নিল নিঃশেষি
.           যদি তোমার ঐ হস্তে
.           মাগো, তুলে নাও তুমি কাস্তে
সেই কাস্তের গানে কিষাণের প্রাণে
আগুন জ্বালাবো মা
.           তোমাকে সাজাই --- ||

.                 প্রথম দিনেতে হাতুড়ি পেটাও
.           রাত্রে স্বপ্ন দেখো
.           ভোর হবে বলে পূবের দিকের
.           জানালাটা খোলা রাখো
.           মেঘে ঢাকে যদি সূর্য
.           মোরা বাজাবো যে রণতুর্য্য
( মোরা ) জনতার সণে রণাঙ্গণে
.           শিল্পী ও সেনা ||
.                তোমাকে সাজাই --- ||

.             ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
শুনে হাজার মানুষের কলতান
কথা ও সুর -- নীতীশ রায়
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।

শুনে হাজার মানুষের কলতান
কেউ বা গেয়ে ওঠে গান
গান শুনে ফির হাজার বুকে
জেগে ওঠে প্রাণ |
.         গাও গান---
.         জাগাও প্রাণ---
গানে প্রাণে প্রাণে গানে হোক না আজ
.    গতিহীন জীবনের অবসান ||    শুনে হাজার --- ||
শুখা নদীর বুকে নাও যদি বা ঠেকে
কপালে হাত দিয়ে কি মাঝি থেমে থাকে
হেঁই মারো মারো জোর বলে
মাঝি লগি ঠেলে
বুক বেঁধে ফির শুরু করে সে
.                  সমুদ্র অভিযান  ||
সূর্য ওঠার আগে ঐ পাখী যেমন জাগে
পাখীর কুহু কুহু সুর প্রভাত অনুরাগে
রাতের আঁধার ভেঙ্গে
প্রভাত ওঠে রেঙে
সূর্য উঠে জানায় নয়া
.           সৃজনের আহ্বান ||
.                      শুনে হাজার --- ||

.             ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
ডিং রাঙা ডিং রাঙা ড্রিং ড্রিং ড্রিং
কথা ও সুর - কবি নীতীশ রায়
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।

ডিং রাঙা ডিং রাঙা ড্রিং ড্রিং ড্রিং ( ২ )
ডিং রাঙা ডিং রাঙা ড্রিং--- ( ২ )
দোতারা ভেঙে ধরেছি স্প্যানিসের ষ্ট্রীং
বাজিয়ে চলেছি আমি ড্রিং রাঙা ড্রিং
ঢোলকের তাল কেটে জ্যাজ সেট ড্রাম
বাজিয়ে চলেছি আমি ঢি-ঢি-ঢি-ঢিম্ ঢ্রাম্
সুর ছেড়ে সুরা পানে হয়েছি দড়ো
আমায় ঘৃণা করো
.    আমায় ঘৃণা করো ঘৃণা করো
ছুড়ে ফেলে দাও
.    সামনে খোলা ঐ ডাষ্টবিন্
হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হা ( হাসি ) জানি পারবে না
পারবেনা, পারবে না তা কোনদিন
কারণ, তোমরা বাবারা মাথা বেচে বসে আছো
নিয়েছো  I. M. F ঋণ || ডিং রাঙা---
.              ডিং রাঙা ডিং রাঙা ---  ||
বাপ যার দেউলিয়া ভিক্ষা করে
মান বেঁচে অপমান আনলো ঘরে
কাঁড়ি কাঁড়ি করে দেনা-মায়ের গায়ের সোনা
বন্ধক রাখলো বিদেশের ঘরে
আনে বাবা উপহার ছাঁটাই আর ক্লোজার
বেকার বানাবার আজব মেসিন্
তাই বেকার ভাইয়েরা শুনে নিন্
.     হতাশায় আমি আলাদীন
.     আমার কাছে পাবে ব্রু, জুয়া, সাট্টা
.     স্বর্গীয় অমৃত সুধা হেরইন্
.              আমায় ঘৃণা করো ---  ||

পশ্চিমী জংগলের শিয়ালের দল
ডেকে এনে উঠোনটা দিয়েছি দখল
হুক্কা হুক্কা তার সুরে   বসন্ত গেছে দূরে
উড়ে গেছে কুহু ডাকা কোয়েলের দল
ঈগলের পিছু ধরে বাতাসে বারুদ ছুঁড়ে
বাজারে আগুন জ্বেলে গাও প্রতিদিন
শোন খোকা, সংকটে হও উদাসীন
প্রতিবাদে করো মিন্ - মিন্
মায়ের বুকের দুধ ছেড়ে গেলো
এনেছি শক্তিমান বেবি ফুড টিন্
.         আমায় ঘৃণা করো ঘৃনা করো - ছুড়ে ফেলে দাও
.          সামনে খোলা ঐ ডাষ্টবিন্ --- হাঃ  হাঃ    হাঃ

.             ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
রাত্রির ছায়া বাংলার বুকে
কথা ও সুর - কবি নীতীশ রায়
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।

রাত্রির ছায়া বাংলার বুকে
জীবন কি যাবে থেমে
অবক্ষয়ের এ বাংলাতে আঠারো আসুক নেমে
.        আবার আবার আরো বার বার
.                      আঠারো আসুক নেমে ||

আঠারো মানে গড়ার স্বপ্ন
ভাঙার সাহসী ভাষা
দারুণ আবেগে হৃদয় পুড়িয়ে
জীবনকে ভালবাসা
.        আঠারো মানেই প্রথম প্রেমের
.        বেকসুর অভিমান
.        প্রথম প্রেম আর দেশপ্রেমের
.        নতূন এক অভিধান  |     রাত্রির ছায়া ---- |

আঠারো মানে ঝক্ ঝকে চোখে
বিশ্বাসী এক দৃষ্টি
প্রখর ভুলের গ্রীষ্মের বুকে
কালবৈশাখী সৃষ্টি
.       আঠারো মানেই মিছিলের মুখ
.       মুখোস ছেঁড়ার খেলা
.       মিছিলের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে
.       শ্লোগানেই কথা বলা ||    রাত্রির ছায়া --- ||

.             ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
বলতে পারো কোথায় আছি
কথা ও সুর - কবি নীতীশ রায়
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।

বলতে পারো কোথায় আছি
বেঙ্গলে না জঙ্গলে
.          আমরা কি স্বাধীন নাকি
.          নাকি বাঁধা শৃঙ্খলে ||      বলতে পারো ---
বনেতে রাজা যেমন রয়েল বেঙ্গল টাইগারো
আমাদেরও তেমনি রাজা ফন্টো বাম সরকারো
দু’জনাই বেজায় তেজী --- দু’জনাই মাংস ভোজী
প্রতিবাদী মুখ দেখিলেই ওদের চক্ষু জ্বলে ||
.               আমরা কি স্বাধীন নাকি-----  ||

কারখানা বন্ধ করে মালিক করে লক আউট
পুলিশে শ্রমিক ঠ্যাঙায়, মালিককে দ্যায় রেড স্যালুট
নেতাদের তপ্ত ভাষণ পুলিশের বেজায় শাসন
দুই-এ মিলে মালিক তোষণ
.                 ওদের মুখোশ যায় খুলে ||

[  লোনটোন পাইয়ে দেবো, রাস্তা ঘাট করে দেবো | জিনিসের দাম কমিয়ে
দেবো, বেকারকে চাকরি দেবো | বলা যেতে পারে --- ]

রাজবন্দী মুক্তি পাবে বলে ওরা ভোট বাগায়
ভোটে যখন মিলল গদী তখন রামা উল্টো গায়
রাজনীতি করতে রাজা প্রজা হবে কর্তাভজা ( বলেন রাজা )
এদিক ওদিক হলে পরে, লাঠি গুলি দুই চলে  ||
.                            আমরা কি স্বাধীন ------ ||

.                    ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
মরা গাঙে তোলরে তুফান, কিষাণ জোয়ারে
কথা ও সুর - কবি নীতীশ রায়
স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।

মরা গাঙে তোলরে তুফান, কিষাণ জোয়ারে
.           নৌকার পাল তুলে দে
.           নৌকার পাল তুলে দে ||

কিষাণের মুখে আজ উঠিছে খুন
বুকে তাই ধিকি ধিকি ক্রোধের আগুন---
.                 জ্বলে ক্রোধের আগুন
জহ্লাদের তলোয়ারে আর মোরা মরবোনারে
এ আগুন হোক না দ্বিগুন দাবানলে ||       নৌকায়---

খাঁ খাঁ মাঠে তুলি মোরা ফসলের জোয়ার
আলোর জোয়ার তুলে ঘুচাই জমাট অন্ধকার
.                         ঘুচাই জমাট অন্ধকার
জোয়ার তোলে প্রাণে প্রাণে আটপৌরে এ জীবন
হতাশার ডোবাখানা দে ভাসিয়ে দে ||        নৌকায়---

তিতুমীর আর সিধু কানু বীর বাবুলাল
খুনের জোয়ার তুলে ভাসায় মাটি লালে লাল
.                 ভাসায়, মাটি লালে লাল
তাদের ঐ তাজা খুনে লড়াই-এর বীজ গেল বুনে
সোনালী ধান খুন মেখে তাই ডাকে কিষাণে ||
.                                   নৌকায় পাল---

.                    ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
দেরে নানা দেরে নানা দেরে নানা নিয়া
কথা ও সুর – কবি নীতীশ রায়
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত গণসংগীত সংগ্রহ থেকে নেওয়া

.          দেরে নানা দেরে নানা দেরে নানা নিয়া
.          আইসছে মাসের দশ তারিখে হইব আমার বিয়া
( হেই )   লিমন্তইন্ন কইরলাম মুখে যাইও না ভুলিয়া
.           ভাই বন্ধু এস তোমরা সকলে মিলিয়া
( হেই )  নানা আস সাথী আস দাদা আস হ
.          বিহাতে ফুরতি করব |

[ বিহা ত কইরবা, ত মেইয়া কুথাকার বট্যে ? ]
.          পাশের গাঁয়ে পুবের পাড়া লদীর বাঁক্যের কাছে
.           যেইখানেতে দেইখবা কয়খান কুইরা ঘর আছে
.          আদিবাসী বিঙরু সর্দার জনমজুরী খাট্যে
.          তাহার মেইয়া ছায়ারাণীর সাথে---
.           হমার বিহা হইব বট্যে |

[ সি ত বুঝলাম, কিন্তু মেইয়া কাজ-কাম জান্যে ত ? ]
( আরে)  রান্নাবান্নায় ভাল সে যে কাঁথা সিলাইতে পারে
( আর )  আইলপনা দিয়া ঘর সাজাইয়ে, মুর্গী পাল্যে ঘব়্যে
.          বাঁশির সুরে গাইতে পারে লাচতে পারে ভাল্য
.          সত্যি কথা বইলতে কি ভাই ---
( মেইয়াটা না ) হমায় বাসে বড় ভাল |

[ আরে শুধু ভালবাইসলেই চইলবেক লাই, মেইয়া দেখতে-সুইনতে কেমন ? ]
( আরে ) দেখতে-সুইনতে মোটামুটি লয়কো আহামরি
(তবে )   মাথা উঁচা কইব়্যা চলে ত্যাজে বলিহারি
.           এই তো সিবার একদিন জমি দখল করার দিনে
.           উহার ত্যাজ দেখিয়া রঙ লাইগ ল---
.           হমার পুরা মনে |
[ ত যেদিন তুমার পুরা মনে রঙ লাইগ্ ল, সিদিনকার ঘটনা সবাইকে বুল--- ]
.           এই তো সিবার দখল করি জোতদারের খাসজমি
( তাই )   সবাই মিল্যা চললাম লিয়া লাঠি-বল্লম-টাঙি
( হেই )   জোতদার শালো হমার বুকে বন্দুক তাক্ করে
( আর )  ছায়ারাণীর হাতের হেঁসো
( পড়ল ) ঐ জোতদারের ঘাড়ে |

[  সি তো বুঝলম, কিন্তু বিহাকে টাকা-পয়সা লিচ্ছ ত ? ]
( আরে )  ট্যাকা-পয়সা লিয়া বিহা না করিব আমি
.            সেও যেমন বহু আমার আমিও হব্য স্বামী
.            গরীব ঘরে আমি খাটব, সেও খেট্যে খাবে
.            ট্যাকা লিলে ছায়ারাণীর কাছ্যে---
( হমার )  ইজ্জত চল্যে যাবে |

[  ত ট্যাকা-পয়সা লাই লিলে | গ্রাম উজাড় কইব়্যে ত বুলছ খাওয়াইবা কি ? মাংস-পুলাও
হব্যে ত ? ]
( আরে ) মাংস-পুলাও না হব ভাই, না হব মিঠাই
( তবে )  আইরেট চাইলের ভাত হব, ডাল হব কলাই
.           গাছের বেগুনভাজা দিব আর দিব ঝাল
( এই )    ভোজ খেইয়ে সাথী কেও
( হমায় )  দিও না কো গাল |

[ মাংস-পুলাওত হবেক লাই, কিন্তু আদিবাসীর বিয়া--- একটু তাড়ি মদের সাঁঝান দিবা
ত ? ]
( আরে )  তাড়ি মদের হাড়ি সেদিন উল্টাইয়া রাখিব
( আর )   ঝুমুর লাচের তালে গণসঙ্গীত গাহিব
.            মাতাল হইলে কারো মাথায় বুদ্ধি থাকে লারে
( এমন )   সুহাগ রাতটা মাতাল হইয়ে
( হামি )    লষ্ট করি কেমন করে ?

[ বড় তো চেটাং-চেটাং বইলছ, বহুত দেখেছি যে শালো বিহা করেছে, উ শালোয়
লঢ়াই ছেড়ে দিছে | তুমিও কি সি মতলব ভাবছ গা ? ]
( আরে )   লঢ়াই কইব়্যে পেলাম জমি, পেলাম ছায়ারাণী
( সেই )     লঢ়াই যদি দিই ছাড়িয়া হবে যে বেইমানি
.             বেইমান মরদ কুন মানুষ / মাইয়া ভালবাসে লারে
( তাই )     বেইমান হইয়ে বাঁচার চেয়ে
(হামি )      বাঁচব লঢ়াই করে |

.                    ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
আমরা নওজোয়ান নওজোয়ান নওজোয়ান
কথা ও সুর – কবি নীতীশ রায়
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত গণসংগীত সংগ্রহ থেকে নেওয়া

আমরা নওজোয়ান নওজোয়ান নওজোয়ান
কালো রাত্রির বুকে তীব্র ঘোষণা নওজোয়ান
আটটা-নটার সূর্য সোনালী দীপ্ত প্রাণ
কালবৈশাখী দারুণ আবেগ ঝড় তুফান

চলো একছুটে পাহাড়ে উঠে
লাথি মেরে ভাঙি পাহাড়টা
মোদের হিম্মৎই সমুদ্রের গতি
পালটে দিতে পারে হাঃ হাঃ হাঃ
জীবন যখন দীপান্তরে পথহারা
আমরা তখন ভবিষ্যতের ইশারা

ভায়ের খুন দেখে মায়ের কান্নাতে
হৃদয় যখন গুমরে ভেঙে যায়
তখন এই বয়স দেখায় দুঃসাহস
রুখে দাঁড়াই দারুণ দৃঢ়তায়
( হয় ) শত্রুর হাত পাঞ্জা লড়ে দিই ভেঙে
( নয় ) আমার খুনে মায়ের আঁচল যাক রেঙে
শ্রমিক-কৃষাণে জীবন সংগ্রামে
( কিংবা ) মুক্তিযুদ্ধে যখনই দিয়েছে ডাক
মোদের দৃপ্ত প্রাণ ধরে লাল নিশান
দিয়েছি জীবন আমরা ঝাঁকে ঝাঁকে
( ঐ ) নকশালবাড়ি তেলেঙ্গনার প্রান্তরে
কাকদ্বীপ আর বোম্বাইয়ের বন্দরে

.                    ***************  
.                                                                                
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর