শুনে হাজার মানুষের কলতান কথা ও সুর -- নীতীশ রায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।
শুনে হাজার মানুষের কলতান কেউ বা গেয়ে ওঠে গান গান শুনে ফির হাজার বুকে জেগে ওঠে প্রাণ | . গাও গান--- . জাগাও প্রাণ--- গানে প্রাণে প্রাণে গানে হোক না আজ . গতিহীন জীবনের অবসান || শুনে হাজার --- || শুখা নদীর বুকে নাও যদি বা ঠেকে কপালে হাত দিয়ে কি মাঝি থেমে থাকে হেঁই মারো মারো জোর বলে মাঝি লগি ঠেলে বুক বেঁধে ফির শুরু করে সে . সমুদ্র অভিযান || সূর্য ওঠার আগে ঐ পাখী যেমন জাগে পাখীর কুহু কুহু সুর প্রভাত অনুরাগে রাতের আঁধার ভেঙ্গে প্রভাত ওঠে রেঙে সূর্য উঠে জানায় নয়া . সৃজনের আহ্বান || . শুনে হাজার --- ||
বলতে পারো কোথায় আছি কথা ও সুর - কবি নীতীশ রায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া।
বলতে পারো কোথায় আছি বেঙ্গলে না জঙ্গলে . আমরা কি স্বাধীন নাকি . নাকি বাঁধা শৃঙ্খলে || বলতে পারো --- বনেতে রাজা যেমন রয়েল বেঙ্গল টাইগারো আমাদেরও তেমনি রাজা ফন্টো বাম সরকারো দু’জনাই বেজায় তেজী --- দু’জনাই মাংস ভোজী প্রতিবাদী মুখ দেখিলেই ওদের চক্ষু জ্বলে || . আমরা কি স্বাধীন নাকি----- ||
কারখানা বন্ধ করে মালিক করে লক আউট পুলিশে শ্রমিক ঠ্যাঙায়, মালিককে দ্যায় রেড স্যালুট নেতাদের তপ্ত ভাষণ পুলিশের বেজায় শাসন দুই-এ মিলে মালিক তোষণ . ওদের মুখোশ যায় খুলে ||
[ লোনটোন পাইয়ে দেবো, রাস্তা ঘাট করে দেবো | জিনিসের দাম কমিয়ে দেবো, বেকারকে চাকরি দেবো | বলা যেতে পারে --- ]
রাজবন্দী মুক্তি পাবে বলে ওরা ভোট বাগায় ভোটে যখন মিলল গদী তখন রামা উল্টো গায় রাজনীতি করতে রাজা প্রজা হবে কর্তাভজা ( বলেন রাজা ) এদিক ওদিক হলে পরে, লাঠি গুলি দুই চলে || . আমরা কি স্বাধীন ------ ||
[ সি ত বুঝলাম, কিন্তু মেইয়া কাজ-কাম জান্যে ত ? ] ( আরে) রান্নাবান্নায় ভাল সে যে কাঁথা সিলাইতে পারে ( আর ) আইলপনা দিয়া ঘর সাজাইয়ে, মুর্গী পাল্যে ঘব়্যে . বাঁশির সুরে গাইতে পারে লাচতে পারে ভাল্য . সত্যি কথা বইলতে কি ভাই --- ( মেইয়াটা না ) হমায় বাসে বড় ভাল |
[ আরে শুধু ভালবাইসলেই চইলবেক লাই, মেইয়া দেখতে-সুইনতে কেমন ? ] ( আরে ) দেখতে-সুইনতে মোটামুটি লয়কো আহামরি (তবে ) মাথা উঁচা কইব়্যা চলে ত্যাজে বলিহারি . এই তো সিবার একদিন জমি দখল করার দিনে . উহার ত্যাজ দেখিয়া রঙ লাইগ ল--- . হমার পুরা মনে | [ ত যেদিন তুমার পুরা মনে রঙ লাইগ্ ল, সিদিনকার ঘটনা সবাইকে বুল--- ] . এই তো সিবার দখল করি জোতদারের খাসজমি ( তাই ) সবাই মিল্যা চললাম লিয়া লাঠি-বল্লম-টাঙি ( হেই ) জোতদার শালো হমার বুকে বন্দুক তাক্ করে ( আর ) ছায়ারাণীর হাতের হেঁসো ( পড়ল ) ঐ জোতদারের ঘাড়ে |
[ সি তো বুঝলম, কিন্তু বিহাকে টাকা-পয়সা লিচ্ছ ত ? ] ( আরে ) ট্যাকা-পয়সা লিয়া বিহা না করিব আমি . সেও যেমন বহু আমার আমিও হব্য স্বামী . গরীব ঘরে আমি খাটব, সেও খেট্যে খাবে . ট্যাকা লিলে ছায়ারাণীর কাছ্যে--- ( হমার ) ইজ্জত চল্যে যাবে |
[ ত ট্যাকা-পয়সা লাই লিলে | গ্রাম উজাড় কইব়্যে ত বুলছ খাওয়াইবা কি ? মাংস-পুলাও হব্যে ত ? ] ( আরে ) মাংস-পুলাও না হব ভাই, না হব মিঠাই ( তবে ) আইরেট চাইলের ভাত হব, ডাল হব কলাই . গাছের বেগুনভাজা দিব আর দিব ঝাল ( এই ) ভোজ খেইয়ে সাথী কেও ( হমায় ) দিও না কো গাল |
আমরা নওজোয়ান নওজোয়ান নওজোয়ান কথা ও সুর – কবি নীতীশ রায় সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত গণসংগীত সংগ্রহ থেকে নেওয়া
আমরা নওজোয়ান নওজোয়ান নওজোয়ান কালো রাত্রির বুকে তীব্র ঘোষণা নওজোয়ান আটটা-নটার সূর্য সোনালী দীপ্ত প্রাণ কালবৈশাখী দারুণ আবেগ ঝড় তুফান
চলো একছুটে পাহাড়ে উঠে লাথি মেরে ভাঙি পাহাড়টা মোদের হিম্মৎই সমুদ্রের গতি পালটে দিতে পারে হাঃ হাঃ হাঃ জীবন যখন দীপান্তরে পথহারা আমরা তখন ভবিষ্যতের ইশারা
ভায়ের খুন দেখে মায়ের কান্নাতে হৃদয় যখন গুমরে ভেঙে যায় তখন এই বয়স দেখায় দুঃসাহস রুখে দাঁড়াই দারুণ দৃঢ়তায় ( হয় ) শত্রুর হাত পাঞ্জা লড়ে দিই ভেঙে ( নয় ) আমার খুনে মায়ের আঁচল যাক রেঙে শ্রমিক-কৃষাণে জীবন সংগ্রামে ( কিংবা ) মুক্তিযুদ্ধে যখনই দিয়েছে ডাক মোদের দৃপ্ত প্রাণ ধরে লাল নিশান দিয়েছি জীবন আমরা ঝাঁকে ঝাঁকে ( ঐ ) নকশালবাড়ি তেলেঙ্গনার প্রান্তরে কাকদ্বীপ আর বোম্বাইয়ের বন্দরে