কবি রজনীকান্ত সেন-এর গ্রন্থ বহির্ভূত গান ও কবিতা
|
কত দূরে আছ প্রভু, প্রেম পারাবার
কবি রজনীকান্ত সেন
গানটি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত “বাঙলির গান” সংকলন থেকে
নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে কবি জীবিত ছিলেন।
এই গানটি কবির "বাণী" কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০২ সালে।
তা দেখতে এখানে ক্লিক্ করুন . . .
॥ মিশ্র গৌরী, কাওয়ালী॥
কত দূরে আছ প্রভু, প্রেম পারাবার ?
শুনিতে কি পাবে মৃদু বিলাপ আমার ?
তোমারই চরণ-আশে, ধীরে ধীরে নেমে আসে,
ভকতি-প্রবাহ দীন ক্ষীন জলাধার।
কঠিন বন্ধুর পথ, পলে পলে বাধা শত
অচল হইয়া প্রভু পড়ে বার বার!
নীরস নিঠুর ধরা ; শুষে লয় বারিধারা,
কেমনে দুস্তর মরু হয়ে যাবে পার ?
বড় আশা ছিল প্রাণে, ছুটিয়া তোমারি পানে
এক বিন্দু বারি দিব চরণে তোমার।
পরিশ্রান্ত পথ হারা, নিরাশ দুর্বল ধারা ---
করুণা কল্লোলে তারে ডাকো একবার॥
. ************************
রজনীকান্তের অন্যান্য কবিতা ও গানের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের শেষ দান কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের সদ্ভাব কুসুম কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের আনন্দময়ী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের গানের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের বাণী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের অভয়া কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের কল্যাণী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের বিশ্রাম কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের অমৃত কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
মিলনসাগর
সূর্যমুখী ফুল
কবি রজনীকান্ত সেন
কবিতাটি ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত, প্রমথনাখ বিশী এবং ডঃ তারাপদ মুখোপাধ্যায়
সম্পাদিত, “কাব্যবিতান” সংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে।




(তুই) পূজার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখিস হৃদয়-দেউল মাঝে
পূজার প্রদীপ
কবি রজনীকান্ত সেন
কবিতাটি আমরা পেয়েছি শ্রী শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রী অরুণকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদিত ও সংকলিত “উনবিংশ শতকের গীতিকবিতা সংকলন” (১৯৫৯) থেকে। তাঁরা
লিখেছেন যে তাঁরা কবিতাটি পেয়েছেন আনন্দময়ী কাব্যগ্রন্থ থেকে। গানটি কবির কোন
কাব্যগ্রন্থেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০০ সালে সাহিত্য সংসদ থেকে প্রকাশিত দেবজ্যোতি
দত্তর, রজনীকান্ত কাব্যগুচ্ছ, গ্রন্থেও এই কবিতাটি নেই। তাই কবিতাটি এখানে
তুলে দেওয়া হলো।
(তুই) পূজার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখিস হৃদয়-দেউল মাঝে।
ভক্তি প্রেমের ধূপটি জ্বালাস, নিত্য সকাল সাঁঝে।
পাবি যেদিন দুঃখ ব্যথা, দেবতারি পায় নোয়াস মাথা,
বলিস্ “তোমার ইচ্ছা ফলুক, আমার জীবন মাঝে”॥
আপনাকে তাঁর ভৃত্য রাখিস্, তাঁরে করিস্ রাজা,
তাঁর তরে তুই আসন পাতিস্, ফুলের মালা সাজা।
তবু যদি দেখা না পাস্, চোখের জলে বেদন জানাস্
বলিস্ “প্রিয়! তোমার তরে এ দেহে প্রাণ আছে॥”
. ************************
রজনীকান্তের অন্যান্য কবিতা ও গানের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের শেষ দান কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের সদ্ভাব কুসুম কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের আনন্দময়ী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের গানের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের বাণী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের অভয়া কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের কল্যাণী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের বিশ্রাম কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের অমৃত কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
মিলনসাগর
অনুতাপ
কবি রজনীকান্ত সেন
কবিতাটি আমরা পেয়েছি সরলা দেবী চৌধুরাণী সম্পাদিত, “ভারতী” পত্রিকার বৈশাখ
১৩১১ (এপ্রিল ১৯০৪) সংখ্যা থেকে।
মোরে কে ডাকে “আয়রে বাছা আয় আয়!”
. বহুদিন পরে যেন মায়ের কথা শুনা যায়!
মা তোমার করুণ স্বরে, আপন জনে মনে পড়ে,
. যাদের ফেলি ধূলি পরে, আছি রত নিজ সেবায়!
. বহুদিন পরে যেন মায়ের কথা শুনা যায়!
মা ও সুধাবাণী মরমে পশি, পড়্ছে মনে স্নেহরাশি,
. আপন দেশে পরবাসী থাকিতে মন নাহি চায়!
. বহুদিন পরে যেন মায়ের কথা শুনা যায়!
মা তোমারে করি অপমান, লভেছি বহু যশমান,
. লাজে অতি ম্রিয়মাণ এ মুখ দেখাতে তোমায়!
. বহুদিন পরে যেন মায়ের কথা শুনা যায়!
মা ডাকিলে যদি স্নেহভাষে, রাখিও সদা তব পাশে,
. তুচ্ছ ধন পদ আশে আর না যেন দিন যায়!
. বহুদিন পরে যেন মায়ের কথা শুনা যায়!
. ************************
রজনীকান্তের অন্যান্য কবিতা ও গানের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের শেষ দান কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের সদ্ভাব কুসুম কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের আনন্দময়ী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের গানের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের বাণী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের অভয়া কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের কল্যাণী কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের বিশ্রাম কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
রজনীকান্তের অমৃত কাব্যগ্রন্থের সূচিতে . . .
মিলনসাগর