রস-সাগর কবি কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ীর সমস্যা পূরণ কবিতা
|
. *******************
[ ব্যাখ্যা – রস-সাগর এই কবিতায় নিজেকে চাতক পাখীর সাথে ও মহারাজকে মেঘের
সাথে তুলনা করেছেন। পর্জ্জন্য = মেঘ। চাতক পাখী যেমন মেঘের জল ছাড়া অন্ন কোন
জল খায় না, রস-সাগরও সেরকম ভাবে মহারাজ গিরীশ চন্দ্রের কৃপা ছাড়া অন্যের
কৃপাপ্রার্থী হতে চান না। ধারাবর = প্রবল বৃষ্টি। ধরণী = পৃথিবী ( পৃথিবী হইতে প্রচুর বাষ্প
উঠিলে মেঘ উত্পন্ন হয় ) ; পক্ষে, রামমোহন মজুমদারের এক বন্ধু ( তার পরামর্শেই
মজুমদার লোকের পাওনা টাকা কড়ি দিয়ে থাকেন )। পাপিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ = সর্ব্বপ্রধান মহাপাপী।
কুজপৃষ্ঠ = ইন্দ্রধনু। ইন্দ্রধনু নব-ঘনের উপর প্রকাশিত হয়ে মেঘকে সরিয়ে দেয়, --- বৃষ্টি
হতে দেয় না ; পক্ষে, কলেক্টর সাহেব। ইনি মহারাজের নিস্কর জমির উপর কর বসাতে
আরম্ভ করে মহারাজকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন। নাথ = ঈশ্বর ; পক্ষে, মহারাজ
গিরীশচন্দ্র। ]
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
আর সয় না
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
রস-সাগর মহারাজ গিরীশ চন্দ্রের সভা-পণ্ডিত হিসেবে মাসিক ত্রিশ টাকা বেতন পেতেন।
তিন মাস বেতন না পাওয়াতে সংসার চালাতে তার অত্যন্ত কষ্ট হচ্ছিল। একদিন সকালে
তিনি রাজবাটীর প্রধান কর্ম্মচারী রামমোহন মজুমদারের কাছে তাগাদা করতে গেলেন।
মজুমদার তাকে নানা রকম কথা বলে সন্তুষ্ট করতে না পেরে অনেক অপমান-সূচক কথা
বললেন। একে প্রচন্ড অর্থকষ্ট তার উপর এই অপমান! এরপর রস-সাগর অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ণ
হয়ে মহারাজের সভায় এসে বললেন, মহারাজ! “আর সয় না”। তখন মহারাজও দুঃখিত
হয়ে বলেন, রস-সাগর! “আমারও আর সয় না।”
সমস্যা --- “আর সয় না।”
সমস্যা পূরণ ---
. *******************
[ ব্যাখ্যা – বৃন্দাবনে নন্দ এবং অন্যান্য গোপগণ প্রতিবছর নানা উপাচারে ইন্দ্রের পূজা
করতেন। এক বছর শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শে ইন্দ্র-যজ্ঞ বন্ধ করে গোবর্দ্ধন-গিরির যজ্ঞ করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণরূপী ভগবানের মায়ায় গোবর্দ্ধন-গিরি মূর্ত্তিমান হয়ে সব পূজা সামগ্রী খাওয়ার জন্য
প্রবৃত্ত হন। ইন্দ্র ভীষণ রাগ হয়ে, এর উপর অসহ্য শিলাবৃষ্টি এবং বৃন্দাবন প্লাবিত করার
জন্য মুষল-ধারায় বৃষ্টিপাত করার জন্য মেঘকে আদেশ দেন। শ্রীকৃষ্ণ গরু-বাছুরদের নিয়ে
সব গোপগণকে গোবর্দ্ধন পাহারের গুহায় আশ্রয় নিতে আদেশ করেন। এরপর তিনি
গোবর্দ্ধন পাহারকে নিজ হাতে তুলে ধরলেন। ইন্দ্র এত চেষ্টা করেও গোবর্দ্ধন ও
বৃন্দাবনবাসীদের কোন অনিষ্ট-সাধন করতে না পেরে লজ্জিত হয়ে নিজের ভবনে ফিরে
এলে শচী উপহাস করে তাকে বলেছিলেন “আসতে আজ্ঞা হোক।” সেই ঘটনা লক্ষ্য করেই
এই সমস্যা পূরণ করা হয়েছিল। কাছের মানুষ = শ্রী কৃষ্ণ, পক্ষে, মহারাজ গিরীশচন্দ্র।
সর্ব্বাঙ্গেই চোক = ইন্দ্রের সহস্র লোচন ; পক্ষে, দেওয়ানজীর সকল বিষয়েই প্রখর দৃষ্টি। ]
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
আসতে আজ্ঞা হোক
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
এক তহশীলদার মহারাজ গিরীশ চন্দ্রের খুব কাছের লোক ছিলেন। তিনি যা বেতন
পেতেন তাতে তার সংসার চলত না। এর জন্য খাজনার টাকা ভেঙে খরচ করতেন।
রাজ-সরকারে কোন টাকাই জমা দিতেন না, দেওয়ানজীর কড়া আদেশও তিনি কানে
তুলতেন না। একদিন রাজসভায় তহশীলদারের অবাধ্যতার বিষয়ে কথা উঠতেই
দেওয়ানজী তার লোক নিয়ে তহশীলদারকে গ্রেপ্তার করে আনবেন বলে মহারাজকে
জানান। মহারাজও তাকে সম্মম্তি দিলেন এবং গোপনে তহশীলদারকে সাবধান হতে বলেন।
দেওয়ানজী তহশীলদারের কিছু করতে না পেরে লজ্জায় মহারাজের সাথে দেখা করেন নি।
এই খবর মহারাজের কানে আসতেই তিনি দেওয়ানজীকে উপস্থিত হবার জন্য আদেশ
করলেন। দেওয়ানজী রাজসভায় উপস্থিত হলেন, ওখানে রস-সাগরও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি দেওয়ানজীকে আসতে দেখে স্মিতমুখে বললেন “আসতে আজ্ঞা হোক।” মহারাজ এই
সমস্যা পূরণ করার জন্য রস-সাগরকে অনুরোধ করলেন।
সমস্যা :---- “আসতে আজ্ঞা হোক।”
সমস্যা পূরণ ---
আসতে আজ্ঞা হোক
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
একদিন মহারাজ গিরীশচন্দ্র রস-রাজ ও দু-এক জন পণ্ডিতকে সাথে নিয়ে আনন্দময়ীর
চরণ-দর্শন করতে গেলেন। পথে তারা একজন পাদ্রীকে খৃষ্ট ধর্ম প্রচার করতে দেখেন।
তখন একজন পণ্ডিত বলেন যে ইনিই আবার বড় লোক। এটা শুনে মহারাজ স্মিত হেসে
রস-সাগরকে বলেন, “ইদুর বড় সাঁতারু, তার মার্গে খুদের পরো।” রস-সাগর সাথেসাথেই
ইহা পূরণ করে দিলেন |
সমস্যা --- “ইদুর বড় সাঁতারু, তার মার্গে খুদের পরো।”
সমস্যা পূরণ ---
ইস্ ইস্
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
একদিন রস-সাগরের এক বন্ধু তাকে “ইস্ ইস্” এই সমস্যাটি পূরণ করতে বলেন। রস-
সাগর এটা এভাবে পূরণ করেন |
সমস্যা --- “ইস্ ইস্।”
সমস্যা পূরণ ---
ঈশ্বর গুপ্তের নাম লুপ্ত নাহি হবে
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
এরকম একটা প্রবাদ আছে যে, কলকাতার অন্তর্গত হোগলকুঁড়িয়ার প্রসিদ্ধ গুহবাবুদের
বাড়িতে কোন এক অনুষ্ঠানে রস-সাগর মহাশয় নিমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন। গুহবাবুদের
প্রতিবেশী কবিবর ঈশ্বর গুপ্ত মহাশয়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রস-সাগর ঈশ্বর গুপ্তের
চেয়ে ২০ বছরের বড় ছিলেন। কবি ঈশ্বর গুপ্ত আগে থেকেই রস-সাগরের উপস্থিত
কবিত্বের কথা শুনেছিলেন। দুজনই কবি জেনে গুহ বাবু উভয়ের মধ্যে আলাপ ও পরিচয়
করিয়ে দিলেন। রস-সাগর ঈশ্বর গুপ্তের নাম শুনেই তাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, “ঈশ্বর
গুপ্তের নাম লুপ্ত নাহি হবে”। তখন ঈশ্বর গুপ্ত মহাশয় বিনীত ভাবে বলেন, রস-সাগর
মহাশয় আপনি আমার চেয়ে বয়সে বড় এবং একজন সুকবি। আপনার ছোট ভায়ের
মতো, আপনার সাথে কথা বলে আমি ধন্য হয়েছি। তখন গুহবাবু ঈশ্বর গুপ্তের নাম লুপ্ত
নাহি হবে – এই সমস্যাটি পূরণ করতে বলায় তিনি এভাবে পূরণ করেছিলেন।
সমস্যা --- “ঈশ্বর গুপ্তের নাম লুপ্ত নাহি হবে।”
সমস্যা পূরণ ---
রস-সাগরের রচনায় নিজের প্রশংসার কথা শুনে, কবি ঈশ্বর গুপ্ত রস-সাগরের প্রশংসা
করে বলেন, “রস-সাগরের রস শুষ্ক নাহি হবে।” এটা শুনেই গুহ বাবু রস-রাজকে এই
সমস্যাটিরও সমাধান করতে বলেন, এবং তিনি পূরণও করে দিলেন।
সমস্যা --- “রস-সাগরের রস শুষ্ক নাহি হবে।”
সমস্যা পূরণ ---
ঈশ্বরের মত পাপী কেবা আছে আর
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
একদিন যুবরাজ শ্রীশচন্দ্র রস-সাগরকে একটি অদ্ভুত সমস্যা পূরণ করতে দিয়েছিলেন, ---
“ঈশ্বরের মত পাপী কেবা আছে আর!” রস-সাগর শাস্ত্র মেনে এই সমস্যাটি পূরণ
করেছিলেন।
সমস্যা --- “ঈশ্বরের মত পাপী কেবা আছে আর!”
সমস্যা পূরণ ---
উপাধি বিষম ব্যাধি স্কন্ধে চাপে তার
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
যখন মহারাজ গিরীশচন্দ্র, কবি কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ীকে রস-সাগর উপাধি দান করেন, তখন
ভাদুড়ী মহাশয় মহারাজকে ঠাট্টা করে বলেন, “উপাধি বিষম ব্যাধি স্কন্ধে চাপে তার!” এটা
শুনেই মহারাজ বলেন “আপনার সমস্যা আপনিই পূরণ করে দিন।”
সমস্যা --- “উপাধি বিষম ব্যাধি স্কন্ধে চাপে তার।”
সমস্যা পূরণ ---
. *******************
[ ব্যাখ্যা – একদিন দুপুরবেলা দুর্ব্বাসা মুনি, নন্দর বাড়ীতে অতিথি হয়ে এসেছেন। নন্দ ও
যশোদা যথাযত সম্মানের সাথে তার দেখাশোনা করছেন, তার রান্নার জিনিসপত্রের
ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। দুর্ব্বাসা রান্না শেষ করে তার ইষ্ট দেবতার উদ্দেশে নিবেদন
করছেন, এমন সময় বালক শ্রীকৃষ্ণ এসে মুনির নিবেদিত অন্ন গ্রহণ করলেন। দুর্ব্বাসা এটা
দেখেই যশোদাকে চিত্কার করে ডাকলেন। তখন দুর্ব্বাসার রাগ হয় এই ভয়ে যশোদা
শ্রীকৃষ্ণকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখলেন। দুর্ব্বাসা পুনরায় ইষ্টদেবতাকে স্বরচিত অন্ন
নিবেদন করা মাত্রই শ্রীকৃষ্ণ আবার তাহা খাবার জন্য চেষ্টা করতে লাগলেন। মুনি আবার
যশোদাকে ডাকলেন। অবশেষে তিনি ধ্যানযোগে জানতে পারলেন যে, বালক শ্রীকৃষ্ণই
তার ইষ্ট-দেবতা। যাহাকে অন্ন নিবেদন করছি তিনি যখন নিজে এসে তা গ্রহণ করছেন
তখন তার দোষ কি! এটা ভেবেই দুর্ব্বাসা মুনি অপ্রতিভ হয়ে রইলেন! ]
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এই আছিস, এই নাই, বাপ্ রে বাপ্
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
একদিন রসসাগর ও তার এক বন্ধু রাজবাড়ী যাচ্ছিলেন, দুজনেই দেখতে পেলেন এক
দুঃখিনী নারী সারাদিন ভিক্ষা করে বাড়ি এসে তার পুত্রকে ডাকছেন। পুত্রকে বাড়িতে
দেখতে না পেয়ে রাগে সে বলতে শুরু করল “এই আছিস, এই নাই, বাপ্ রে বাপ!”
রসসাগর তার বন্ধুর অনুরোধে এভাবে পূরণ করেছিলেন।
সমস্যা --- “এই আছিস, এই নাই, বাপ্ রে বাপ্!”
সমস্যা পূরণ ---
এক জন করে দোষ, অন্যে পায় সাজা
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
একদিন মহারাজ গিরীশচন্দ্র রস-সাগরকে এই সমস্যাটিকে আদি রসে পূরণ করতে বলেন।
তখন রস-সাগর এভাবে পূরণ করেছিলেন।
সমস্যা --- “এক জন করে দোষ, অন্যে পায় সাজা!”
সমস্যা পূরণ ---
যত কিছু অপরাধ করিল নয়ন,
কিন্তু কি আশ্চর্য্য, শেষে বন্দী হ’ল মন!
একি অরাজক দেশ, --- নাই কি রে রাজা
‘এক জন করে দোষ অন্যে পায় সাজা।’
. *******************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এক জন করে দোষ, অন্যে শাস্তি পায়
কবি রসসাগর কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী
কবিভূষণ শ্রী পূর্ণচন্দ্র দে কাব্যরত্ন উদ্ভটসাগর সংগৃহিত ও সম্পাদিত, "রসসাগর কবি
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী মহাশয়ের বাঙ্গালা-সমস্যা-পূরণ" গ্রন্থ থেকে নেওয়া, (১৯২০)।
একদিন যুবরাজ শ্রীশচন্দ্রের সভায় সমস্যা উঠেছিল, “একজন করে দোষ, অন্যে শাস্তি
পায়!” রস-সাগর এভাবে পূরণ করেছিলেন।
সমস্যা --- “এক জন করে দোষ, অন্যে শাস্তি পায়”!
সমস্যা পূরণ ---