আমার প্রিয় শব্দ মা তার পর কমরেড শব্দটি প্রিয় কমরেড শব্দটা বড় সাহসী উচ্চারণ করলেই বুকটা স্ফীত হয় মা শব্দটা মমতার পরম পরশ এ দুটো শব্দই আমার পকেট ভরে থাকে আমার জন্মের সময় মা ছিলেন জীবন যোদ্ধা কমরেড শিশু জন্মের বেদনার চেয়ে আর কোন বড় যুদ্ধ নেই পৃথিবীতে মৃত্যুকে একদিন ফিরে আসার আশ্বাস দিয়ে ফের আড় মোড়া খেয়ে বেঁচে ওঠা প্রত্যেক মাকেই আমি কমরেড পদবীটা দিতে চাই একাত্তরে কমরেড মায়েদের প্রসব যন্ত্রণায় ভূমিষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ যা আমাকে জড়িয়ে রাখে লাল সবুজ বৃত্তে শ্যামল মখমল দুর্বা সতেজ আদরে সারাবেলা এখন আমার প্রিয় শব্দ মা, কমরেড আর বাংলাদেশ।
লিখতে হলে নীরব থাকা খুব দরকারী কবি রীনা তালুকদাররে লিমেরিক
লিখতে হলে নীরব থাকা খুব দরকারী লেখার জন্য মনে মন পুড়ছে অনাহারী বড় বাসা হয় না তবু কাঙ্ক্ষিত জাগা স্বাধীনতা শব্দ সবার আগুন লাগা বাসাটা কবিতা নয় লোকালয় সরকারী।
১। শীত এসে মনে করিয়ে দেয় হারানো দিন দুধ চিতই রস; মুড়ি মুড়কি মুষ্ঠি পিঠা আহা ভুলতে কি যায় পারা এসব; লেপ মুড়িতে তোমার বুকে খেলতো পাগলা হাওয়া।
২। মাওসেতুং বলেছেন-‘‘গণতন্ত্র শুয়োরের খোয়াড়” হরতাল খেয়ে পেট ভরেছে লিংকনী গণতন্ত্র বঙ্গদেশের শুয়োর গুলো ইমানদার বটে ধর্মের বাইরে মানুষের জন্য এক পা-ও নড়ে না।
৩। নিরামিষ সময়ে ভাল লাগে না জীবন যাপন আইবলে দুটো উন্মাতাল চোখ দিশেহারা সময়কে উপভোগ্য করে দেয় জানো উচ্ছসিত চোখ দুটো কার?- তোমার।
৪।
কাটা ঘুড়ির খোঁজে দৌঁড়ায় যে কৈশোর সে লাভ ক্ষতি বুঝে দৌঁড়ায় না মনে চিরকাল কৈশোর লুকিয়ে থাকে ; কেনো জানো ? তোমার ভালোবাসায় এখনো পাগলামী আছে।
হিমালয় দেখার ইচ্ছে চিল ... হিমালয় দেখিনি ... কিন্তু এখন আর আমার হিমালয় দেখার ইচ্ছে নেই... কারন আমি মুজিবকে দেখেছি - ফিদেল কাস্ত্রো
হয় না মানুষ আকাশ সমান আকাশ অতিক্রম করে মহাবিশ্বের শনি বুধ বৃহস্পতি, শুক্র ও ইউরেনার্স, নেপচুন, প্লুটোর খোঁজে লাল গ্রহ মঙ্গলের লবন সাগরে মানুষ ফেলছে নিঃশ্বাসের কোমলতা হিমালয় এক অহংকার সফেদ গিরি সবার চাওয়া হয় না এক সত্য অহংকার অর্জন করতে হয় অহংকারও এক শিল্পীত যোগ্যতা কেউ কেউ ধারণ করেন এমন যোগ্য গুণ মহান গুণের সেই মহৎ মানুষ শেখ মুজিবুর ছিলেন যাকে দেখেছে যারা করেছে অনুমান মানুষ ও সৃষ্টির রহস্য প্রকৃতির রহস্য মানবতার রহস্য যে নাম নিলে মিছিলে শক্তি আসে ফিরে যে ছবি কথা বলে কবিতার কবিতা তার জন্যই হয় কবিতা মাতৃভাষার সাবলীল চরণে আসে সূর্য আলো ধেয়ে যায় দূর সীমানা ছেড়ে সুদূরে হিমালয় ম্লান হয় ব্যক্তিত্বের আত্মবিশ্বাসে যারা হিমালয় দেখেছে সে জন জানে আত্মকথন মুজিবকে দেখেছে যারা জানে অমরতা কাকে বলে।
তর্জনীর কী শক্তি থাকে তর্জনী আছে সব মানুষেরই শক্তি কী এক সব তর্জনীর? কারো কারো নাক্ষত্রিক তর্জনী ভীষণ শক্তিশালী একটি দেশ স্বাধীন হলো বিশ্বে তর্জনী নির্দেশে পৃথিবীর মানচিত্রে নাম বাংলাদেশ কেউ চোখের ভাষায় কেউ মুখের ভাষায় অস্ত্রের ভাষায় কেউ কেউ বীর বাহাদুর তর্জনীর ইশারায় শাসন করে অন্যায় অত্যাচারকে হয় না সবার সব্যসাচী তর্জনী ত্যেজোদীপ্ত তর্জনীর মালিক ছিল যে নাম তার শেখ মজিবুর রহমান।