কবি শশাঙ্ক শেখর রায় - জন্মগ্রহণ করেন অধুনা উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের গোপালপুর গ্রামে।
পিতা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় এবং মাতা সৌদামিনী দেবী। গ্রামের গোপালপুর হাই স্কুল থেকে পাশ করে বসিরহাট
কলেজ থেকে
I.Com. পাশ করে সেখানে আর পড়াশুনা চালাতে পারেন নি। পারিবারের চাপ আসে পড়াশুনা
ছেড়ে চাকরি-বাকরির জন্য।

কবি চলে আসেন কলকাতায়।  আত্মীস্বজনের সহায়তা  পাবেন আশা ছিলো  কিন্তু তা বেশীদিন পাওয়া
যায়নি। কিছু প্রাইভেট টিউশানির উপর ভরসা করে, বস্তিতে ১১টাকায় ভরভাড়া করে, চারুচন্দ্র (নাইট)
কলেজে ভর্তি হলেন। ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেদানন্দ স্বামীজির সহায়তায় দু’বেলা আহারের ব্যবস্থা আর
গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ডে স্টুডেন্টস হোমে চারঘন্টা পড়াশুনার পরিবর্তে অল্প পয়সায় আমিষ
বৈকালিক টিফিনের সংস্থান হয়েছিল।

এরই মধ্যে চেতলা রোডের খ্যাতনামা চিকিত্সক ডঃ কানাই সরকারের সৌজন্যে, তখনকার
A.B.T.A.-এর (All
Bengal Teacher's Association)
সেক্রেটারি শ্রী শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে চেতলা বয়েজ হাইস্কুল-এ ৬০টাকা
মাইনের ক্যাজুয়াল টিচারের কাজে নিযুক্ত করেন। সেখানে তাঁকে সংস্কৃত থেকে শুরু করে সব বিষয়ের
ক্লাসই নিতে হোতো। যখন যে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকতেন, তাঁর সেই ক্লাসটি নিতে হোতো কবি শশাঙ্ক
শেখরকে।  

এই চেতলা বয়েজ হাইস্কুলে চাকরিরত অবস্থায় কবির সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হয়
কাস্তে কবি দিনেশ  দাস,
কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়, কবি আশিস সান্যাল, প্রখ্যাত আইনবীদ অশোক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট
ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে।

পড়াশুনা শেষ করে স্থায়ী চাকরি পান কেন্দ্রীয় সরকারের জেনারেল ইনসিয়োরেন্স সংস্থায় অডিট ও
ভিজিলেন্স বিভাগের আধিকারিকের পদে।  এই  সংস্থায় দীর্ঘ  ৩৬বছর চাকরির পরে কবি অবসর গ্রহণ
করেন। তিনি বর্তমানে সন্তোষপুরে বসবাস করছেন।

কবি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে সর্বদাই নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। সেই সুবাদে ত্রৈমাসিক
সাহিত্য পত্রিকা “সবুজ আঙিনার” প্রধান উপদেষ্টা ডঃ রমারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য হতে পেরেছেন।
ষাঠের দশকের শেষ দিকে কবি বেহালা থেকে প্রকাশিত “কৃষক-মজদুর” নামের একটি বামপন্থী পত্রিকার
সহসম্পাদক হিসেবে কাজ করেন কিছুদিন। এরপরই তিনি গৌহাটিতে বদলি হয়ে চলে যান।

গ্রাম্যজীবনের দুঃখ, দারিদ্র, বঞ্চনা, অবহেলা, জীবনের চড়াই-উতরাই, কবির জীবনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত
করেছে। চেতলা বয়েজ হাইস্কুলে চাকরিরত অবস্থায়
কাস্তে কবি দিনেশ দাস, কবি শশাঙ্ক শেখরের লেখা
কবিতার প্রশংসা করেছিলেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম “মেঘ ভাঙা রোদ্দুর” (২০১৩) এবং “এক মুখ
অনেক মুখোশ” (২০১৮)।

কবি শশাঙ্ক
শেখর রায়ের প্রাপ্ত সম্মাননার মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালে, "আকাশ বলাকা" ষাণ্মাসিক সাহিত্য
পত্রিকার, "বিশ্ব কবিতা দিবস-২০১৭-কবিতা সংকলন" উপলক্ষ্যে প্রদত্ত সাহিত্য সম্মাননা সূচক শংসা পত্র।

আমরা  
মিলনসাগরে  কবি শশাঙ্ক শেখর রায়ের কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই
এই প্রয়াসের সার্থকতা।



উত্স -
  • কবির সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কার। মিলনসাগরের পক্ষে, ১৮.৬.২০১৬ তারিখে, সাক্ষাত্কারটি নিয়েছিলেন
    মিলন সেনগুপ্ত।           


কবির সঙ্গে যোগাযোগ -
চলভাষ -   +৯১ ৯৪৩৩০৮৮৪৫৭


কবি শশাঙ্ক শেখর রায়ের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২২.৬.২০১৬।
৫টি নতুন কবিতা ও তথ্য সহ এই পাতার পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১৭.১.২০২১।




...