জল নেমে গেলে পলি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় “চইচই-চইচই” ( ১৯৮৩ ) কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
দেবতার থানে ধরে দিয়ে পাঁচসিকে কিনে নেব ত্রাণ--- . আমরা নই সে চিজ
হানা দিলে বান . ডেকে তুলে পড়শিকে চলে আমাদের তদন্ত তজবিজ
পেটে পড়ে টান, . পড়ুক--- উঁচুতে টাঙাই শিকে পদ্মপাতায় ভালো করে মুড়ে মাটির হাঁড়ির মুখ . হাতের নাগাল থেকে ঢের দূরে . তুলে রেখে দিই বীজ এ দুর্দৈবে অপূর্ব সব সাধনা ও সাধ যদি . হয় অন্তর্জলি
যদি যায় নিবে . ফুত্কারে দীপাবলি--- ঝেড়ে ফেলে সব স্বখাতে ফিরবে নদী
জল নেবে গেলে পলি . সে ভার বইবে--- ঘটাবে ভাঙা ও গড়ার সপ্তপদী ||
গদির মধ্যে যদি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় “ধর্মের কল” ( ১৯৯১ ) কাব্যগ্রন্থের কবিতা |
গদি তার মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকে জী-হাঁর পিছে লুকিয়ে রেখে হাঁ-কে শান্তশিষ্ট ল্যাজবিশিষ্ট এক পশুরাজ যদি ঘাঁটি যতই কেন আগলে রাখুক সদলে সবলে কথার সঙ্গে কাজের অমিল মাত্রাছাড়া হলে আস্তে আস্তে পায়ের তলায় সরে যাবেই মাটি
হাঁড়ি যেন না ফাটে হাটের মধ্যে হঠাৎ দেখার জন্যে যথাস্থানে দেওয়া হয়েছে বরাত তবুও ভয় কখন কী হয়ে ছেড়ে যেন যায় নাড়ি মালুম হয়না যখন কোন্ খানে ঠিক ফারাক সৎ-অসতের কোথায় থাকছে ফাঁক ঘাড়ের ওপর লাফিয়ে পড়বে হ্যাঁকাচম্ কা হালুম ||
বুড়ি বসন্ত কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় “ধর্মের কল” ( ১৯৯১ ) কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
ফুল থাক ফুলের মতো খাঁড়া খাঁড়ার মতো
ফুল তুলে কেউ যেন আমাকে কাটতে . খাঁড়া তুলে কেউ আমাকে . যেন গন্ধ শোঁকাতে না আসে
যার যে জায়গা . সেখানেই সে যেন
. মাটি কামড়ে পড়ে থাকে জল থাক জলের মতো আগুন আগুনের মতো
এ ওর পা মাড়িয়ে দিয়ে . জল যেন জ্বালাতে . আগুন যেন জুড়োতে না চায়
নুন নিয়ে এখন আমি পাকা ঘরে
এ বড় বাহারে খেলা আমার চারদিকে আল দিয়ে রোখেছে . সময়
আল্ টপ্ কা হয়ে . যেদিকে দুচোখ যায় . যেতে ইচ্ছে করে ছাড়ের মধ্যে বাঁধন . বাঁধনের মধ্যে ছাড় . দিনের মনে দিন থাক . রাত তার মনিহারি জিনিস ফেরি করুক নুন নিয়ে এখন আমি আমার পাকা ঘরে ||