কবি শুভাশিস আচার্য্যর কবিতা
*
বৃষ্টি
কবি শুভাশিস আচার্য্য

গ্রীষ্মের দুরন্ত দুপুরে
বৃষ্টি নেমেছে আকাশ জুরে।
শুকনো মাটি ভেজা মনোরম সুগন্ধে
নেচে উঠেছে মাটির বুকের প্রাণ!
শিশিরে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু জলকণা
প্রকৃতির রূপে বিভোর হয়ে ধরেছে গান।
তপ্ত দুপুর তপ্ত বেলা শেষে
নব লাবণ্যে আকাশ ভরেছে
কমলা রঙের বেসে।
কমলা দীঘির জলে ধনুর প্রতিচ্ছবি
অন্ধকারে ভরেছে শীতল মাটি
নতুন দিনে উঠবে জগে রবি।
ব্যস্ত শহর বিলাস বহুল ঘর
রাস্তায় জমেছে জল
ঠাণ্ডায় কাঁপে থরথর।
দিন নাই রাত নাই সর্বদা ব্যস্ত
বৃষ্টি দুঃখদায়ী কেউ না ভালোবাসতো।
গ্রাম বাংলায় বৃষ্টির আশায় বাঁধে ঘর
তোমার ছোয়ায় সবুজ ফলে তুমি সৃষ্টিধর তুমি . . .

.            ***************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর
*
সীমা
কবি শুভাশিস আচার্য্য

সীমাবান চক্ষু সীমা ছিন্ন নাহি করে
দিনের বেলায় স্বচ্ছ আলো রাতে অন্ধকারে ভরে।
স্থান হয়না পরিবর্তন তবে আলো কি তার সীমা
ভিতরে আছে আঁধার আলো কি নমুনা।
ঈশ্বরকে চক্ষু নাহি মাপে হৃদয় গহনে বাস
ভাব বিশ্বাস তারে কাছে ডাকে।
চক্ষু যা দেখে তা সব সত্য তবে রাজ প্রাসাদ কেন নেই
যা ছিলো সময়ের নিয়মে আজ সব তুচ্ছ।
বাতাস আলো কভু দেখিনি
তবে নাকি তা সব সত্য।
চক্ষু সীমাবান অনুভব যা জাগায় চেতনা
চেতনা রূপবান চক্ষু তুচ্ছ।

.            ***************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর
*
চেতন
কবি শুভাশিস আচার্য্য

কাগজের ঢিপি তে জ্বলন্ত আগুন
সুন্দর দেহ তার
ক্ষুধাই খাই আঁধার।
রূপে কহিলাম তারে নাও মোরে
বাড়িয়ে দিলো হাত হৃদয় গভীরে।
আঁধার গেলো দূরে সরে
শুদ্ধ হলুম আমি
কি সুন্দর কি সুন্দর সব লাগে।

.            ***************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর
*

কবি শুভাশিস আচার্য্য

সাত রং মিশে থাকা ধনু
একাকার এক দেহে।
জাগরিত মুক্ত চেতনার ভাবে
সুন্দরতম প্রকৃতির মাঝে
প্রেমের স্বরূপ তোমাতে সাজে।
তুমি তো  কভু করনি কোন বিচ্ছেদ
জন্ম দিয়েছ নবীন আলোর দিশা;
তোমার রঙের ছোঁয়ায় তুলির ভাষা
উষ্ণ হৃদয় শীতল তব আশা তব আশা।

.            ***************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর
*
ফিরে যদি আসি মাগো
কবি শুভাশিস আচার্য্য

জীবন নদীতে গতিশীল বয়ে চলা স্রোত
ছুটে চলে মোহনার টানে অবিরত।
মায়ের অনিদ্রা ভরা চোখের কোনে  বিরহের ব্যথা
বহু যতনে গরা এ মাটির পুতুল
দিনে দিনে বহু রূপে হয় সজ্জিত।
বহু হাঁসি মুখে হাজারো কান্না ঢেকে
পাগলিনী ছুটে চলে নির্মম সমাজের কাছে কিছু অর্থের আশায়।
বহু পথ ঘুরে দেশে লাঞ্ছিত অবশেষে
ফেরে শূন্য হাতে
অসুস্থ শিশু বলে ওঠে মা একটু জল দাও
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে।
সাত বছরের বাপ মরা শিশু
মায়ের অমূল্য রতন হৃদের স্পন্দন।
বহু রাতের সুখ স্বপ্নের ধ্রুব তারা
উজ্জ্বলতা হীন রাতের অন্ধকারে একাকৃত।
ভাঙা দেওয়ালের মাঝে প্রবেশ কৃত চাঁদের স্বচ্ছ আলো
ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি আঁকা মায়ের হৃদয়।
শিশুর জীবননাশক কান্নার সুরে পাগলিনী মা
ছুটে চলে হসপিটালের পানে।
ব্যথায় শিশুরে দেখে রক্ত আঁখি কাঁদে
ঘুমের ঘোরেতে  শিশু বহু স্বপ্নে আঁখি সাজে।
নিস্তব্ধে এসে চুম্বন করে ললাট!
শেষ আশীর্বাদ ;
তোর মুখে হাঁসি না ফুরাক।
দিন দিন শিশু সুস্থ হয়ে উঠে
দিন শুরু মায়ের খোঁজে  এ ভাবে রাত্রির আলো নিভে।
দুটি আঁখি খুঁজে মা।
হৃদয় মা পরিপূর্ণ
মায়ের হৃদয় মোর দেহে আমি নয়কো  মা ভিন্ন
নয়কো মা ভিন্ন।

.            ***************************  
.                                                                                
সূচিতে . . .    


মিলনসাগর