দাঁড়াবার জায়গা হয়নি কী করে ফুল ফুটবে শস্যক্ষেতে? কৃষকের বাড়ি বাড়ি হাওয়া ফিরছে ভিখিরির মুখে প্রত্যয়ভিশান জলদাগ এঁকেবেঁকে নদী বয়ে গেছে আকাশ ছাপিয়ে গেছে সান্ধ্যমোহে সব পথ আছে পথ পানে চেয়ে
একটু নিরভিমান আলো দুর্গার মতন নিরুক্ত প্রতিমা অসমাপ্ত খণ্ডৎ ত নিয়ে শহর ছুটছে — শহরের কয়েকটি শৃগাল নিয়ত সাধুভাষা জানে
দেহাতি নদীর চরে অঙ্ক ভুল করে রোদনবিলাসী একা দাঁড়িয়ে আছি
নীল ঊরুর দিন এই ফাঁকে ফ্রক খুলে হাসে বিষন্নকাল কান্না মোছে মনমাটির ঘাসে তবু এক গ্রাম্য ঢেঁকি ভেনে চলে অলৌকিক ধান কৌশল্যা একাকী শোনে বিরহী ঘুঘুর গান
আমরা দুপুর চিনি , আর চিনি দুপুরের লোক নির্বোধ পাড়ায় হাঁটে সুবোধ শোলোক দ্বার বন্ধ হাহাকার ঘামগন্ধ আসে তার . পাড়ায় পাড়ায় ছোটে নষ্ট খবর
তখন বিকেল যায়, আকাঙ্ক্ষার গায়ে জ্বর আত্মবিশ্বাস মৃত্যুগন্ধে ভরে দেয় সংসার হাঁটু অবধি গামছা পরা, হলুদ পা, রক্তহীন গুলিবিদ্ধ শরীর দেখায়, মৃত সব ঘোড়সওয়ার
রাষ্ট্র আইন কোথায় কারা, দিশেহারা সভ্যতায় অস্থিহীন বস্তিতে নিদেন ঝুপড়ি অগ্নিলীলায় শহর ঘুরে একই সুরে হর্ন বাজায় ভ্রমের গাড়ি গাড়ি চড়ে আসে রাত, কী সুন্দর শুভ্র শাড়ি
তাঁর দাঁতে দাঁত, লুকোনো দংশক মধুর কথা স্বপ্ন মেদুর উড়ছে বহুদূর সব ভস্মেই ওড়ে ছল - চতুর সব সুখে লেখা অসুখের গুঞ্জন
তবু মৌচাক খুলে খুলে মধু দেয় মৃত্যু ঠেলে নৌকার হাসি চাঁদ একা তুলে নেয় জোর কদম , কিন্তু পা কই? হাতের আঙুলে কুষ্ঠ , কল্পনার সিঁড়ি . বাতাসের মই . এখনও বয়ে ফিরি
দাঁড়াও কালের সড়ক, . শব্দ দিয়ে তৈরি করা আমার সরণি . তোমরা দ্যাখোনি . পথের দুপাশে শুধুই মড়ক
লেজ দুলিয়ে কে যায় বচন? শুনব না আর মনভুলানো পাড়াজুড়ানো . খাজনা দেওয়ার বাণী . ছড়াগুলি কুলোর বাতাস শিশুর সিম্ফনি
দুয়ার যারা খুলছে দুয়ারবিহীন ঘরে হৃদয় তারাই দেখাচ্ছে হৃদয়হীন শরীরে তাদের কাছেই ঘোড়াগুলি বাঁধা আমরা সব পদলেখা জীব চণ্ডীদাসের রাধা
একটু ধীরে বাঁশি বাজাই , জোরে বাজানো মানা রাজার দেশে ভোটনহবৎ , সন্ত্রাসের হানা আমরা সবাই চোখের জলে সাঁতার কাটা মাছ যখন ইচ্ছে বধ্ করে খায় রাজনৈতিক সমাজ
দেখতে দেখতে সুবর্ণ দিন পেরিয়ে চলে যায় দিনের শেষে একমুঠো চাল যদিও ভাত হয় ভাতের গল্প থাক না হয় ঘর নেই কো , দুয়ার নেই কো, ঘোড়া তবু . চেয়ে থাকে জানালায়
মেঘ ওঠে খুব , লাল ঈশানে , ঝড় ওঠে তো উঠুক অপ্রাকৃত বোধের সাথে খড়কুটো সব উড়ুক উড়তে উড়তে এসংগ্রামে লিখুক পরাজয় জয়-পরাজয় মিথ্যে সবই , মনে মনে যদিও সব বাসর সাজাই
টক ফলের স্বর্গরাজ্যে ব্যাঘ্র করে বাস নেহাৎ নিরীহ আমরা তাই খেতে থাকি ঘাস ঘাস ফুরোলে পাড়া জুড়োলে উপোস দেওয়া রীতি রীতির ভেতর বাল্যকাল ঘুমিয়ে থাকে স্মৃতি
ইতিহাস চেঁচিয়ে ডাকে , জন্ম তবু জন্মান্তরে যায় হয়তো সে এক কাঠুরে, বনে সোনার কুড়ুল পায় রূপকথায় আর সততায় ধর্ম এসে নামে কে যে কাকে চিঠি পাঠায় সাদা মেঘের খামে!
কমলবরণ শোভায় ফোটে রাতের তারাগুলি তারার ভেতর লুকিয়ে রাখি হারানো ডাংগুলি কখন যে আবার খেলা হবে ভাবে আগুনশিশু বুকের ভেতর গোপন থাকে রক্তঝরা যিশু
ঘোড়ার মুখে ফুটে ওঠে মনুষ্যচরিত আয়নাওয়ালা আয়না দেখায় একান্ত নিভৃত লাল আলো , নীল আলো অজস্র সংকেতে হুইসল আর কলিংবেলে বাজতে থাকে রাতে
চেনা যায় না কে কোন্ দ্বীপ, কে কোন্ স্বরলিপি নির্বাসিত হতে হতে ইশকাপনের বিবি গোলাম রাজা সবাই থাকে, থাকতে থাকতে চোর সুযোগ পেলেই দাঁও মারে সব এমন হারামখোর