কবি তারাপীড় সেনগুপ্ত - জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার, কুমিল্লা জেলায়, অদ্বৈত
মল্লবর্মণ
, উত্পল দত্ত আর ঋত্বিক ঘটকের সৌজন্যে সুখ্যাত, তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শহরে। পিতা অধ্যাপক দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্ত  ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার,  উজানচর গ্রামের কংসনারায়ণ  
হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাতা সুরবালা দেবী।

কবির শৈশব ও কৈশোর কাটে গ্রামবাংলার সবুজ প্রকৃতির মাঝে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার সময়ে
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দেশভাগ হয়। অধুনা বাংলাদেশ, পূর্ব পাকিস্তান হয়ে আত্মপ্রকাশ করে।
দেশভাগ পর্বের পরেও কবির পরিবার পাকিস্তানেই থেকে যায়। কিন্তু ১৯৫০ সালে সেখানে সংঘটিত
এক গণ হত্যায়, কবির পিতাকে হত্যা করা হয়। যার ফলে পরিবারে নেমে আসে এক অনিশ্চিতের অন্ধকার
। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় প্রাণবন্ত একটি যৌথ পরিবার।

জন্মভূমিকে হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে তাঁরা চলে আসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। নানা প্রতিকুলতার মধ্য
দিয়ে কবি বিজ্ঞানের স্নাতক হয়ে বর্ধমান জেলার কুলটিতে অবস্থিত, ইণ্ডিয়ান আয়রন অ্যাণ্ড স্টীল  
কোম্পানিতে, শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে কর্মরত থেকেই সমাপ্ত করেন মেটালার্জিকাল
ইঞ্জিনিয়ারিং ( চার্টার্ড ) এর উচ্চশিক্ষা। তারপর সেই কোম্পানিতেই অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পদে
উন্নীত হয়ে অবসর গ্রহণ করেন।

প্রায় সমগ্র কর্মজীবন স্টীলপ্ল্যান্টের রুঢ়, রুক্ষ, বাস্তব পরিবেশের ব্যস্ততা ছাপিয়ে স্মৃতি-শিশুদের কলরব
মননে বেঁধে রেখেছেন নিরন্তর --- তারই প্রতিফলন ঘটে তাঁর লেখায়।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে পিতৃ স্মৃতি তর্পণ “যে দিন ভেসে গেছে”
(২০১৪)

আমরা  
মিলনসাগরে  আনন্দিত যে কবি তারাপীড় সেনগুপ্ত তাঁর কবিতা এখানে প্রকাশিত করার অনুমতি
দিয়েছেন ।   



উত্স - কবির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাত্কার। মিলনসাগরের পক্ষে সাক্ষাত্কার নিয়েছেন মিলন সেনগুপ্ত।  
  


কবির সঙ্গে যোগাযোগ -
ঠিকানা -
বি আর ২৭/৬ স্বরণিকা কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি, বিরেন রায় রোড ওয়েস্ট,
.           কলকাতা ৭০০০৬১

দূরভাষ -   +৯১৩৩২৪৯৮২৯২৪
চলভাষ -   +৯১৮৩৩৪৮৫৬৫৮০

ফেসবুক পাতা -
https://www.facebook.com/tarapir.sengupta        


কবি তারাপীড় সেনগুপ্তর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।    


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     

এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ১৬.৪.২০১৬
...