আমরা শিল্পীসেনা মুক্তমনা, সূর্য ছুঁতে চাই কথা ও সুর -- অসীম ভট্টাচার্য স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “যুদ্ধজয়ের গান” থেকে নেওয়া
আমরা শিল্পীসেনা মুক্তমনা, সূর্য ছুঁতে চাই কুন্ঠা বিহীন কন্ঠে রণতুর্য বাজে তাই লক্ষ হাজার বছর ধরে এ গান হাজার প্রাণে ভয়ের মুখে পা রেখে তাই সাহস খুঁজে আনে
. নিকষকালো আঁধার রাতে . ঝড় তুফান আর হতাশাতে
দিক ভোলানো কুয়াশাতে নির্ভয়ে গান গাই | মোরা শিল্পী নিখাদসোনার সন্ধানে চঞ্চল এই প্রাণের গানে নিদ্রা ভাঙে শহর গ্রামাঞ্চল শিল্পী সেনার গানে সেখানে দ্বিধায় পাহাড় ভাঙে চোখের জল আর রক্ত ঘামে যেথায় মাটি রাঙে
. তাই প্রতি প্রাণ প্রতি ঘরে . সাম্যবাদের স্বপ্ন ভরে
সূর্য তুমিও লজ্জা পেয়ে মেঘেতে লুকালে মুখ কথা ও সুর -- অসীম ভট্টাচার্য স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “যুদ্ধজয়ের গান” থেকে নেওয়া “চলা শুধু চলা” ক্যাসেটের গান, ১৯৯৮। ইউনিট থিয়েটারের গান। রচনাকাল - অক্টোবর ১৯৮৫। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবিদ্বেষী বোথা সরকার সে দেশের বিদ্রোহী কবি বেঞেজামিন মোলায়েজকে মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের অনুরোধ উপেক্ষা করে ১৯৮৫-র ১৮ই অক্টোবরে কবিকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
বেঞ্জামিন ভাই আমার বেঞ্জামিন মৃত্যুঞ্জয়ী শহীদ কবি বেঞ্জামিন যারা কেড়ে নিল তোমার চোখের আলো যারা কেড়ে নিল তোমার বুকের আশা এদেশেও তারা অন্য পোষাক পরে কেড়ে নিতে চায় আমার মুখের ভাষা . বেঞ্জামিন |
জাত দিয়ে ভাষা দিয়ে ধর্ম দিয়ে বর্ণ দিয়ে কথা ও সুর -- অসীম ভট্টাচার্য স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “যুদ্ধজয়ের গান” থেকে নেওয়া
জাত দিয়ে ভাষা দিয়ে ধর্ম দিয়ে বর্ণ দিয়ে যতই তুমি সোনার শিকল গড়ো সে শিকলে বাঁধতে আমায় পারবে না রাষ্ট্র দিয়ে প্রদেশ দিয়ে বন্দী থাকার আদেশ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া প্রাচীর যতই গড়ো তার ভিতরে রাখতে আমায় পারবে না |
আকাশটাকে ঠাঁই দিয়েছি বুকে বাতাস আমার পথ চলবার সাথী সাগর আমায় হাতছানিতে ডাকে শিকল ভাঙার আনন্দে তাই মাতি পথ বলছে আয়রে আয় ডাকছে নদী আয় বিশ্ব মায়ের আঁচল পাতা মুক্ত দুনিয়ায় | না না বন্ধঘরের অন্ধকারে থাকবো না |
ফুলের গন্ধে আকাশ মাতোয়ারা ভোরের আলোয় দশ দিকই তো রাঙে আর জাত ধর্মের সোনার বেড়ি পায়ে মানুষ কেন মহামিলন ভাঙে মেঘ ডাকছে আয়রে আয়, ঝর্ণা বলে আয় সবুজ প্রাণের বাঁধন হারা প্লাবন ছুটে আয়, না না ক্ষুদ্রতার এই নিষেধ বাধা মানব না |
যখনই তোমার প্রতিবাদী মন গর্জে উঠতে চায় কথা ও সুর -- অসীম ভট্টাচার্য স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত “যুদ্ধজয়ের গান” থেকে নেওয়া। “চলা শুধু চলা” ক্যাসেটের গান, ১৯৯৮। ইউনিট থিয়েটারের গান। রচনাকাল - মে ১৯৯৬। বিবেকবান শিক্ষিত মানুষের কথাবার্তায় বোঝা যায় তাঁরা দেশের এই দুর্বিসহ অবস্থাকে মেনে নিতে পারছেন না। কিন্তু প্রতিবাদে দু’পা এগোতে গেলেই বুঝতে পারেন এক অদৃশ্য শিকলে পা দুটি বাঁধা। এই উপলব্ধি থেকে গানটির সৃষ্টি।
দেরে দেরে কথা ও সুর - কবি অসীম ভট্টাচার্য শিল্পী - গণেষ সেনাপতি “চলা শুধু চলা” ক্যাসেটের গান, ১৯৯৮। ইউনিট থিয়েটারের গান। রচনাকাল - এপ্রিল ১৯৯৮। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঘন ঘন নির্বাচনী প্রহসনে, দাদা ঠাকুর শরৎ পণ্ডিততের “ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়” কবিতাটি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এই গান রচনায়।
স্বপ্ন দেখি কথা ও সুর - কবি অসীম ভট্টাচার্য শিশুশিল্পী - তিথি দত্ত, তমা দত্ত, করুণা সাহা এবং আরও তিন শিশু শিল্পী। “চলা শুধু চলা” ক্যাসেটের গান, ১৯৯৮। ইউনিট থিয়েটারের গান। রচনাকাল - মে ১৯৯৮। শিক্ষার নিষ্করুণ শৈশব হারিয়ে যায় অকালে। এই অমানবিকতার প্রতিবাদে এই গান।
স্বপ্ন দেখি আহা স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন দেখি এক নতুন দিন
আলোছায়া লুটোপুটি গাছের তলায় বাবুই পাখীর দল মত্ত খেলায় সেইখানে আমাদের পাঠশালা চলছে মার নেই বকা নেই তাক্ ধিনাধিন্ স্বপ্ন দেখি আহা স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন দেখি এক নতুন দিন
ব্যকরণ মোহিনী নট্ খট্ স্বপ্ন আমার সাগা নিপা ধামা পামা লেখা আছে সেখানে অঙ্ক বইটা আর কল্যাণী রত্ন আমার সমাধান হয়ে যায় পাখীর গানে সমাধান হয়ে যায় পাখীর গানে ইতিহাস কথা বলে কানে কানে বিজ্ঞান পড়া হয় গানে গানে সত্যি হবে কবে সত্যি হবে বলো আমাদের দুচোখের স্বপ্ন রঙীন স্বপ্ন দেখি আহা স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন দেখি এক নতুন দিন
লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে আমাদের মনটা শিক্ষক রক্ষক কেউ ভালবাসেনা খাঁচার পাখীর মত হায় রে জীবনটা নদী তারা ফুল ডাকে তাই আর হাসে না বলে দাও কে আনবে সুখের সে দিন যে স্বপ্ন আমরা দেখি প্রতি দিন পৃথিবীটা আমাদের পাল্টে দিতেই হবে আয়রে আয়রে রাম আয়রে রহীম স্বপ্ন দেখি আহা স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন দেখি এক নতুন দিন
স্বপ্ন দেখি আহা স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন দেখি এক নতুন দিন আলোছায়া লুটোপুটি গাছের তলায় বাবুই পাখীর দল মত্ত খেলায় সেইখানে আমাদের পাঠশালা চলছে মার নেই বকা নেই তাক্ ধিনাধিন্ স্বপ্ন দেখি আহা স্বপ্ন দেখি স্বপ্ন দেখি এক নতুন দিন
যাচ্ছো কোথায় লাল সেনানী ভাবানুবাদ - কবি অসীম ভট্টাচার্য সুর - পেরুর “সাইনিং পাথ” দলের সাংস্কৃতিক শাখা শিল্পী - সমবেত কণ্ঠে গণেশ সেনাপতি, সুদেষ্ণা দাসাধিকারী, পার্থপ্রতীম সার, অসীম ভট্টাচার্য “চলা শুধু চলা” ক্যাসেটের গান, ১৯৯৮। ইউনিট থিয়েটারের গান। রচনাকাল - মে ১৯৯৭। পেরুর “সাইনিং পাথ” দলের সাংস্কৃতিক শাখার গান। মূল সুর অক্ষুন্ন রেখে বাংলায় ভাবানুবাদ।
লাখো লাখো লাল সেলাম মাও সে তুং লাখো লাখো লাল সেলাম লাল গনজালু লাখো লাখো লাল সেলাম লাল বিশিডি যারা এই দেশের ঘুম ভাঙ্গালো যারা স্বপ্ন আমার রাঙালো
ছুটে ছুটে যাচ্ছো কোথায় গেরিলা দল থর থর কাঁপছে বোঠিং জেলখানা জেগে আছি মুক্ত পেরু দেখবো বলে হাতে পায়ে ডাণ্ডা-বেড়ীর ঝঞ্ঝনা তবু মুক্ত হওয়ার দিন গোণা শুধু মুক্ত পেরুর দিন গোণা
চলা শুধু চলা কথা ও সুর - কবি অসীম ভট্টাচার্য শিল্পী - সুদেষ্ণা দাসাধিকারী “চলা শুধু চলা” ক্যাসেটের গান, ১৯৯৮। ইউনিট থিয়েটারের গান। রচনাকাল - মার্চ ১৯৯৫। কখনও মনে হয়েছে প্রগতি শিবিরের মানুষ জন থমকে গেছেন, চলমান সংগ্রামের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছেন---এই ভাবনা থেকেই রচিত হয়েছে এই গানটি।