কবি অসীম ভট্টাচার্য - জন্মগ্রহণ করেন নদীয়া জেলার রানাঘাটে, তাঁর মামার বাড়ীতে। পিতা পাঁচকড়ি
ভট্টাচার্য এবং মাতা বীণাপাণি দেবী।
কবি ইউনিট থিয়েটারের গণসঙ্গীত রচয়িতা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
ইউনিট থিয়েটরের জন্ম ১৯৬৯ সালে। সত্তর দশকের উত্তাল সময়কে সাক্ষী করে উত্তরপাড়ার বেশ কিছু
নাট্যপ্রেমী তরুণের উদ্যোগেই এই সংস্থার পথ চলা শুরু। সেই সময় রাজ্য রাজনীতির বিরুদ্ধ আবহ তাঁদের
প্রযোজনায় স্বাভাবিক কারণেই বারে বারেই প্রতিফলিত হয়েছে। তবে শাসকের সমালোচনা তাঁদের
প্রযোজনায় উঠে আসায় তৎকালীন প্রশাসকেরা বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি। শৃঙ্খলা রক্ষার যুক্তিতে সেই
সময় ইউনিটের ‘হচ্ছেটা কী’ নাটকের প্রযোজনা শান্তিপুরে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে।
প্রশাসনের ওই ভূমিকা অবশ্য সেই সময় তীব্র সমালোচিত রাজ্য জুড়ে। উৎপল দত্ত-সহ নাট্য জগতের
বিশিষ্টজনেরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে নামেন। প্রশাসন ওই প্রযোজনা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে থানা
ঘেরাও রাস্তা অবরোধও করা সেই সময়। সম্মিলিত প্রতিবাদের সামনে অবশ্য প্রশাসন পিছু হটে।
শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে প্রকাশ - ৪৫ বছর পূর্তিতে সেইদিন
শুরু হয় উত্তরপাড়া গণভবনে ইউনিট থিয়েটারের নাট্যোত্সব। একই সঙ্গে সংস্থার নাট্যোত্সবের ২৫ বছর
পূর্ণ হয়। চার দশকেরও বেশি পুরনো সংস্থার নাট্যকর্মের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সৌমিত্র
বসু।
দু’দিনের এই অনুষ্ঠানে চারটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। প্রথম দিন ইউনিট থিয়েটার পরিবেশিত নাটক ‘হে নব
সভ্যতা’। একটি নাটক পরিবেশন করবে কলকাতার অর্ন্তমুখ। নাম ‘কার কপালে।’ রবিবারে দু’টি নাটক
মঞ্চস্থ হবে ইউনিট থিয়েটরের প্রযোজনায়। নাম ‘আজ খেলাভাঙার খেলা’ এবং ‘পণ্যায়ন।’ ইউনিটের পক্ষে
"অসীম ভট্টাচার্য" জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ত্রিবেণী নট নিকেতনের নাট্যকার, নির্দেশক সুভাষ
বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
আমরা মিলনসাগরে কবি গণসঙ্গীতকার অসীম ভট্টাচার্যর গণসঙ্গীত ও কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে
পৌঁছে দিতে পারলে এই প্রচেষ্টাকে সার্থক বলে মনে করবো।
উত্স - সৌরেন বসু, ইউনিট থিয়েটারের গান, স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধজয়ের গান, এবং জলার্ক
. প্রকাশনী, ১৯৯৭।
. আনন্দবাজার পত্রিকা www.anandabazar.com।
. কবির সঙ্গে চলভাষে যোগাযোগ, ৩.৭.২০১৬ তারিখে।
কবি অসীম ভট্টাচার্যর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ৩০.৬.২০১৬
...