কতশত মুখের ভীরে হঠাৎ করে সেদিন চেনা একটা মুখের আদল,হাসিটি- অমলিন, উঠল ভেসে মানসপটে।বহু বছর পরে জীবনটাকে পিছনফিরে দেখতে ইচ্ছা- করে। কত স্বপ্ন-আশা ভালোবাসার প্রগাঢ়তা- নিয়ে দিনগুলো সব থাকত ভরে।আঁধার রাস্তা- দিয়ে ভয়ে ভয়ে হেঁটে যেতাম,হাতটা ধরে একটু- উষ্ঞতায় সারা শরীর রোমাঞ্চিত,শ্রান্তি সকল ধুয়ে- মুছে যায়। স্বপ্নময় দিনগুলো সব হারিয়ে গেল কঠিন- বাস্তবতায় রুজি-রুটির টানে।মনের অতল গহ্বরে- হারিয়ে হারিয়ে যায়। হঠাৎ সে সব সুখের স্মৃতি একটা মুখের- আদল হয়ে আসে, জীবন নদীর স্রোতের টানে ভালোবাসা- মুখ লুকিয়ে হাসে।
মৃত্যু তুমি কি কালো?নাকি রঙ্গমঞ্চের শেষ যবনিকাপাত, মৃত্যু তুমি কি কঠোর?নাকি বাস্তবতার নিষ্ঠুর আঘাত। তুমি কি শীতল গঙ্গোত্রীর হিমবাহের মত! জীবনের ব্যস্ততা থেকে মুক্ত, স্নিগ্ধ,সমাহিত। তুমি কি বেদনাময়,জীবনযুদ্ধের পরাজিত- মুখ! রোগক্লিষ্ট জীর্ন দেহে রোগমুক্তির নির্মল- সুখ। তুমি কি বাঁধনহারা,নতুন পথে চলার- খুশিতে! চিরচেনা জগৎ থেকে বিচরণে অঞ্জাত- অপরিচিতে। রুপ যাই হোক না কেন তুমিই চিরন্তন- জগতে, আগমন তোমার তাই- অতর্কিতে,নিঃশব্দে,নিভৃতে।
ফোন নম্বর পাল্টাবেনা বলে কথা দিয়েছিল নীলাকে, সে কথা রেখেছে সমীরন। প্রথম প্রথম ভালোবাসে বলে পাল্টায়নি, কিন্তু পরে এত জায়গায় নম্বর দেয়া হয়েছে যে পাল্টাতে পারেনি। দিন গড়িয়ে বছর গেছে অনেক, মনের কোনায় এক চিলতে আশা ঝিলিক দিত মাঝে মাঝে। হয়তো নীলার ফোন আসবে,কিন্তু আসেনি। বহুদিন বাদে বাদে অজানা নম্বরের কোনো মিসকলে জেগেছে আশা। কিন্তু কথা দিয়েছিল নীলাকে কোনোদিন বিরক্ত করবেনা তাই উল্টে ফোন করেনি কোনোদিন। আজ তার ভরা সংসার,ভালোবাসার অভাব নেই।তবুও মনের মাঝে চোরাগোপ্তা আশা বেঁচে থাকে।হয়তো কোনোদিন ফোন করবে নীলা,করেনি। হয়তো ভালো আছে,সুখে আছে নীলা।
সময়টা যে বড়ই অস্থির ছুটছে সবাই অলীক তাড়নায়, পাল্লা দিয়ে চলে সবাই-সবায় কেউ জানেনা কখন হবে স্থির। কি আছে এই অসাড় অস্থিরতার, সত্যিই কি এর আছে প্রয়োজন? মনের কাছে প্রশ্ন করে মন উত্তরটা হয়না পরিস্কার। বিবেক বুদ্ধি সব যেন আজ রুদ্ধ স্বার্থসিদ্ধিই মূলমন্ত্র আজ, ভ্রস্টাচারে পঙ্কিল সমাজ সততা আজ নিজেই অবরুদ্ধ। চলছে যত ভোজবাজির খেলা ব্যাস্ত সবাই আখের গোছানোয়, মানবতা স্তব্ধ মূঢ়তায় অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার পালা। . ******************
সারা রাতের ঝড়-ঝাপটা,ছিটেফোঁটা বৃষ্টি কাটিয়ে ভোরের সূর্য উঠল নতুন বার্তা নিয়ে। দাবদাহে দগ্ধ ধরনী শান্তি পেল আবার। কিন্তু চারিদিকে চলছে যেসব অসভ্য বর্বরতা, তার থেকে সে কবে পাবে নিস্তার? মানবতা আজ আক্রান্ত জান্তব পশুর আস্ফালনে, দন্ত-নখরে,কামড়ে-আঁচরে আজ সে রক্তাক্ত। যার পাশবিকতা থেকে রক্ষা পায়না শৈশব, তার কি শাস্তি হবেনা? ব্যভিচারিদের চরিত্রে লাগাম পরাবে কে? এদের জন্য আসবেনা কোনো যুগাবতার! প্রয়োজনও নেই।কারন এদের জন্য যথেষ্ট আমরাই। দাঁড়াও জনতা মানব প্রাচীর গড়ে,বিবেক-বাণে বিদ্ধ কর এদের। এরা সব ব্রহ্মানন্দের দল,আমরা সবাই বিক্রম! আমাদের নিঃস্পাপ দৃষ্টিতে এরাও চলে যাবে রসাতলে। নতুন সূর্য উঠবে,মানবতা-ভালোবাসা-শিষ্টাচার-সহনাগরিকতার নতুন বার্তা নিয়ে। . ******************
জীবনটা কাটছিল বেশ মসৃন ভাবেই। হঠাৎই ছন্দপতন ! বিচিত্র এক টানা-পোড়েনে সম্পর্কগুলো কেমন মোচড়াতে শুরু করল। হয়তো কবেই শুরু হয়েছিল ভাঙ্গন,কিংবা আজও তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র ! সব প্রিয় সম্পর্করা জটিল হয়ে দলা পাকিয়ে গেল।জানিনা এভাবেই চলতে থাকবে নাকি এটাই হবে নতুন কোন সম্পর্কের সমীকরণ।পিছনে তাকালেও দেখি সমান্তরাল,ত্রিভুজ বা বৃত্তাকার সম্পর্কের জাল,এই জালে জড়িয়েই মানুষের হাল বেহাল। কিন্তু আমি তো সম্পর্ক চাই ; আসুক তা নতুন আঙ্গিকে,নতুন পরিপ্রেক্ষিতে। যেভাবেই আসুক তা যেন হয় সত্য-সুন্দর। জীবন আবারও চলুক মসৃন ভাবেই। . ******************