কবি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার - জনমগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার ঢাকায়। পিতা রমদারঞ্জন
মিত্র মজুমদার।

কবি ২১ বছর বয়সে পিতার সঙ্গে মুর্শিদাবাদে গিয়ে ৫ বছর বসবাস করেন। এই সময়ে তিনি “সাহিত্য
পরিষৎ পত্রিকা”, “প্রদীপ” প্রভৃতি পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশিত করতে থাকেন এবং স্বয়ং “সুধা” নামে একটি
পত্রিকা প্রকাশিত করেন।

এরপর ময়মনসিংহে তাঁর পিসিমার জমিদারী দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়ে আসেন। এরপরবর্তী ১০ বছর
সময়কাল ধরে তিনি বাংলার লুপ্তপ্রায় কথাসাহিত্যের সংগ্রহ এবং গবেষণা করেন। এই সংগৃহিত বিপুল
কথাসাহিত্য তিনি ডঃ দীনেশচন্দ্র সেনের উপদেশানুসারে “রূপকথা”, “গীতিকথা”, “রসকথা” ও “ব্রতকথা” এই
চার ভাবে বিভক্ত করে, যথাসম্ভব অবিকৃত রেখে, “ঠাকুরমার ঝুলি (১৯০৮)”, “ঠাকুরদাদার ঝুলি (১৯০৯-১০)”,
“দাদামশায়ের থলে”, “ঠানদিদির থলে (১৯১১)” প্রভৃতি গল্পগ্রন্থে স্থায়ী রূপ দান করেন। মুখের কথ্য ভাষার
ধাঁচে, কাব্যময় ভাষায় সংগৃহিত গল্পগুলি বাংলার সম্পদ।

তাঁর রচিত অন্যান্য শিশু-সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে “খোকাবাবুর খেলা”, “আমাল বই”, “চারু ও হারু” (১৯১২),  
“ফার্স্ট বয়”,  “উত্পল ও রবি”, “কিশোরদের মন”, “বাংলার সোনার ছেলে”, “চিরদিনের রূপকথা”, “সবুজ
লেখা”, “আমার দেশ”, “আশীর্বাদ ও আশীর্বাণী” প্রভুতি। রয়েছে তাঁর অনুবাদ গ্রন্থ “পৃথিবীর রূপকথা”।

দক্ষিণারঞ্জন বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের সহ-সভাপতি ও পরিষদের মুখপত্র “পথ”-এর সম্পাদক ছিলেন এবং
পরিষদের বৈজ্ঞানিক পরিভাষা-সমিতির সভাপতিরূপে বাংলায় বহু পরিভাষা রচনা করেন।

আমরা
মিলনসাগরে  কবি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার-এর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলে এই প্রচেষ্টাকে সার্থক বলে মনে করবো।



উত্স - সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত  ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত সংসদ বাঙালী চরিতাভিধান (পঞ্চম সংস্করণ), ২০১০।
.        
শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩।
          


কবি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার-এর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন



আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ১৫.৭.২০১৬
...