কবি দিলীপ সেনগুপ্ত -  বামপন্থী কবি   গণসঙ্গীতকার।  তিনি  জন্মগ্রহণ  করেন নদিয়া জেলার
কৃষ্ণনগরে। কবি গণনাট্য আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন।

১৯৪৮ সালে তিনি ছাত্র-আন্দোলনের যোদগান করে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন। ১৯৪৮-৪৯ সালে, বন্দি
মুক্তির দাবিতে আন্দোলনে তিনি গ্রেপ্তার হন।  জেল থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণনগরে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের
সাংস্কৃতিক স্কোয়াড তৈরি করেন। ১৯৫০ সালে কলকাতায় ৪৬ নং ধর্মতলা স্ট্রিটে কেন্দ্রীয় গানের স্কোয়াড
তৈরিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

অভিনেতা হিসেবে তাঁর সাংস্কৃতিক জগতে প্রবেশ। গণনাট্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় ব্যালে ট্রুপের নৃত্যশিল্পী
হিসেবে বিভিন্ন স্থানে সাড়া-জাগানো অনুষ্ঠান করেন।  সলিল চৌধুরীর পরিচালনায় কেন্দ্রীয় গানের স্কোয়াডে
নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। ১৯৬৪ সালে পার্টি ভাগ হলে তিনি সি.পি.আই.(এম.)-এ যোগদান করে গণনাট্য সংঘের
পুনর্গঠনের কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

কবি ১৯৬৯ সালে সংগঠনের  কলকাতা  জেলা-কমিটির  সভাপতি  নির্বাচিত  হন।  তিনি  রাজ্য সংগীত
আকাদেমির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তীকালের বিভিন্ন গণ আন্দোলনের প্রতিফলন ঘটেছে
তার গানে। তাঁর লেখা ও সুর-করা জনপ্রিয় গানে মধ্যে রয়েছে “প্রাণের জোয়ারে ভামিয়ে দাও”, “আমরা এই
দুনিয়ায় জীবনের গান শোনাই”, “হারাবার কিছু ভয় নেই”, “তোমার পতাকা তুলেছি উর্ধে”, “আমরা আনব
নতুন দিন”, “ও আমার শহিদ বন্ধু”, “শতবর্ষে শত পদ্ম ফুটছে”, “আমরা কেউ রক্ত দেব কেউ বা কবিতা”, “এ
দেশ আমার এ দেশ তোমার” প্রভৃতি।

আমরা মিলনসাগরে  কবি দিলীপ সেনগুপ্তর কবিতা বা গণসঙ্গীত তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলে এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।



উত্স -
  • সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত গণসংগীত সংগ্রহ, ১৯৯০।
  • অঞ্জলি বসু সম্পাদিত সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, ২য় খণ্ড, ২০০১।


কবি দিলীপ সেনগুপ্তর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ১৮.৮.২০১৬
কবির পরিচিতির সংযোজন - ৪.৭.২০২১।



...