কবি নফর দাস - এর নিবাস ছিল অবিভক্ত বাংলার বীরভূম জেলার, খয়রাশোন থানার অন্তর্গত বড়রা
গ্রামে।
তিনি আজীবন পাঠশালায় শিক্ষকতা করেছিলেন।
প্রবাসী পত্রিকার আশ্বিন ১৩২০ (অক্টোবর ১৯১৩) সংখ্যায় প্রকাশিত, সংগ্রাহক শিবরতন মিত্রর ১২৩০
বঙ্গাব্দের দামোদর নদের বন্যার বর্ণনা করা, কবি নফর দাসের একটি ছড়া বা গান নিয়ে লেখা “পল্লী কবির
বন্যা সঙ্গীত” প্রবন্ধে এই কবি ও তাঁর কবিতাটির উল্লেখ করেছেন। আমরা সেই প্রবন্ধটি হুবহু তুলে দিলাম .
. .
আমার সংগৃহীত প্রাচীন হস্তলিখিত পুঁথির মধ্যে একখণ্ড টুকরা
কাগজে ‘বান-ভাসীর গান’ শীর্ষক একটি ক্ষুদ্র কবিতা প্রাপ্ত
হইয়াছি। সন ১২৩০ সালে, পঞ্চকোট হইতে অম্বিকার ঘাট
পর্য্যন্ত দামোদর নদের যে দেশপ্লাবী প্রবল বন্যা হইয়াছিল, এই
পল্লী-কবির সঙ্গীতে তাহাই বর্ণিত হইয়াছে। নব্বই বত্সর পূর্ব্বে
রচিত পল্লীকবির এই ছড়া বা গান, এখনও স্থানে স্থানে লোকমুখে
রক্ষিত হইয়া বর্ণিত ঘটনার জীবন্ত সাক্ষ্যরূপে বর্ত্তমান রহিয়াছে---
এতদ্ব্যতীত ইহা অন্য কোনরূপ বিশেষত্ব বা কবিত্বের দাবী করিতেছে
না। এরূপ কবিতা ধ্বংসমুখ হইতে রক্ষা করিবার যে একটা
বিশেষ সার্থকতা আছে, তাহা অস্বীকার করা যায় না।
. কায়স্থ-কবি নফর দাস, বীরভূম জেলার অন্তর্গত খয়রাশোন
থানার মধ্যে বড়রা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। তিনি পাঠশালার
শিক্ষকতা করিয়া সমগ্র জীবন অতিবাহিত করিয়া গিয়াছেন।
অন্যান্য ঘটনাবলম্বনে তাঁহার রচিত আরও ছড়া বা গান এখন
লোকমুখে প্রচলিত আছে।
. শ্রীশিবরতন মিত্র।
কবির একটি ছবি ও তাঁর জীবন সম্বন্ধে আরও তথ্য, প্রমাণসহ, যদি কেউ আমাদের পাঠান তাহলে আমরা,
আমাদের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো।
আমরা মিলনসাগরে কবি নফর দাস-এর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।
উত্স - "প্রবাসী" পত্রিকার আশ্বিন ১৩২০ (অক্টোবর ১৯১৩) সংখ্যায় প্রকাশিত, সংগ্রাহক শিবরতন মিত্রর
. “পল্লী কবির বন্যা সঙ্গীত” প্রবন্ধ।
কবি নফর দাস-এর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ১১.৮.২০১৬
...