সংসার কবি নারায়ণ মুখোপাধ্যায় কাজল চক্রবর্তী সম্পাদিত “সাংস্কৃতিক খবর” পত্রিকার এপ্রিল-জুন ২০১১ সংখ্যা থেকে নেওয়া।
সেই আদিকাল থেকে উঠে এসেছে জগতের সমস্ত উপকরণ সংক্ষেপিত করে ধারণ করেছ | পরিজনকে অন্ন, পাখিকে শাবক, গোরু-বাছুরকে খড় যুবতীকন্যাকে বর, নদীকে পূজা, প্রদীপে সলতে ভরা থাক ! তোমাকে প্রদিক্ষণ করতে করতে আমার পাঠশালা থেকে শ্মশান |
আমাদের নায়ে আছে হিন্দু মুসলমান, বঙ্গভাষা, সর্বনাশা, জাতীয় উজান | বিশ্বাসে ধরেছে চিড়, বৈঠা তাই কাঁপে জলস্রোত বহে যায় দুর্বোধ্য সংলাপে | মানুষ বেহুঁশ যেন জ্যান্ত এক স্মৃতি কারও কন্ঠে সুর নাই, জীবন বিকৃতি |
হে জীবন হা জীবন কোথা যাও নিয়ে নৌকা ছেড়েছি বটে কল্পনা সাজিয়ে | জীবনানন্দের নামে তুলিয়াছি পাল স্থাপিয়াছি পূর্ণঘট, দুয়ারে কাঙাল | শিয়ালে আখের ক্ষেতে ঢুকে যায় রস যে-তারুণ্য চির-আশা, হয়েছে অবশ | তবু চলি ভেসে চলি লবঙ্গের দেশে ধান্যমাতা শুভ্রব্রতা অবিনাশী বেশে দাঁড়িয়ে রয়েছে দূরে যশোদার চোখ পারি যদি, দেখা যাক, হতেছি অ-শোক |
রূপচর্চা কবি নারায়ণ মুখোপাধ্যায় অজিত বাইরী সম্পাদিত “দুই বাংলার শ্রেষ্ঠ লেখকদের ১৫০ বছরের প্রেমের কবিতা” ২০০৪, কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া।
রূপচর্চায় ব্যাস্ত ছিলাম শব্দরূপ ধাতুরূপ এবং দুঃখরূপের সঙ্গে জগত্চন্দ্রহার সাজিয়ে যেই নিজের একটা হদিস মিলেছে অমনি রূপবাণী : এ বন ছাড়ি হহু ভান্তো! কাহারও রূপের নাহি শেষ--- এই কি সত্য হরিণী? কহ মোহে কহ আমি ভূতলে পড়ি যাই গড়াগড়ি রূপচর্চান্তে সেই আবহমান নাগরদোলা বিচ্ছেদিত সব সখি একদা আছিল এরা বস্ত্রে গন্ধে প্রেমে লীলায় আজও ডাকে : কাছে এস