কবি নারায়ণ মুখোপাধ্যায় - জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলার বাগেরহাট মহকুমার,
অধুনা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মাঘিয়া গ্রামে। পিতা ননীগোপাল মুখোপাধ্যায় এবং মাতা সুধাদেবীর
তিনি জ্যেষ্ঠ সন্তান। মাতা, কবির ছয়মাস বয়সেই পরলোক গমন করেন। পিতা পুনর্বিবাহ করেন
অমিয়াদেবীকে। কবির জ্যাঠামশাই পিতার স্থান পূরণ করেন।
শিক্ষা শুরু করেন মাঘিয়া গ্রামের মাইনর স্কুলে। কবির চার-পাঁচ বছর বয়সে তাঁর পরিবার মাঘিয়া ছেড়ে
চলে আসেন বাগেরহাটে। ১৯৫৬ সালে বাগেরহাট এইচ.ই. স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করে, কলকাতায়,
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত চারুচন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক হন।
কর্মজীবন শুরু করেন একাধিক বেসরকারী সংস্থায় কাজ করে। তারপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মধ্যশিক্ষা
পর্ষদের চাকরিতে যোগ দেন ১৯৬২ সালে। ১৯৬২তেই তিনি বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন আভাদেবীর সঙ্গে এবং
কলকাতার বেহালায় বসবাস করতে শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে তাঁর পিতা ও পরিবার তাঁদের সঙ্গে বসবাস
করতে চলে আসেন কলকাতায়।
শৈশবে নকুল কবিয়ালের কাছে কবিগান শিখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কবিয়াল তাঁকে বলেন যে কবিগান
নিজেকে শিখে নিতে হয়, শেখানো যায় না। স্কুলে পড়তে পড়তেই তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত ইত্তেফাক
পত্রিকার কিশোর বিভাগে নিয়মিত কবিতা লেখক হয়ে ওঠেন। কলকাতায় কলেজে পড়ার সময় থেকেই
তিনি বাম ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন। পশ্চিমবাংলায় প্রগতিলেখক সংঘের সঙ্গে যুক্ত হয়েও তাঁর লেখা
বামপন্থার প্রভাব থেকে মুক্ত।
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে বিষুবরেখায় যে নদী (১৯৬৫), পা (১৯৭০), প্রত্ন তার সত্ত্বার আহার (১৯৭৫),
শূন্য ও বৃত্তের বর (১৯৭৮), ছুঁয়ে দেখো (১৯৭৯), আকাশভরা (১৯৯০), রূপ-ডাকঘর (১৯৯৪), বোধ-ই-বৃক্ষ
(১৯৯৭), আনন্দম, (২০০০), সকল দুখের প্রদীপ (২০০১), শান্তিপর্ব (২০০৩), ক্ষেত্র সম্ভব (২০০৫), অপাপরেণু
(২০০৬), অনুধ্যান (২০০৯) প্রভৃতি।
আমরা মিলনসাগরে কবি নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে
এই প্রচেষ্টাকে সফল মনে করবো।
উত্স - কাজল চক্রবর্তী, নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের বংশতালিকা, কবিজীবন, পাণ্ডুলিপি, গ্রন্থপঞ্জী ও ছবি।
. কাজল চক্রবর্তী সম্পাদিত “সাংস্কৃতিক খবর” পত্রিকার এপ্রিল-জুন ২০১১ সংখ্যা।
কবি নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ৩.৮.২০১৬
...