নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু - ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের রাজনৈতিক মন্ত্র শিষ্য।  

তাঁর বিশাল রচনা সম্ভারে কোথাও তিনি কবিতা লিখেছিলেন কি না তা এখন পর্যন্ত আমাদের জানা নেই।
এমন কি তাঁর কোনো রচনাকে নিজেই কবিতা বলেছেন বলেও আমাদের জানা নেই। তবুও আমরা এই
পাতাটির প্রয়োজন অনুভব করেছি কারণ ১৯৮৮ সালে স্বাধীনতার ৪০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে, কবি শান্তি সিংহ
সম্পাদিত এবং নিউ বেঙ্গল প্রেস দ্বারা প্রকাশিত, বাংলা কাব্যে ভারত-বিষয়ক কবিতার অতি গুরুত্বপূর্ণ
সংকলন -"স্বদেশ আমার" কাব্যগ্রন্থে আমরা নেতাজীর দুটি লেখাকে কবিতার আকারে পাই। এই সর্বকালের
নিরিখে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালী তথা ভারতীয় ব্যক্তিত্বের লেখাকে কবিতা হিসেবে এখানে দিতে পেরে আমরা
নিজেদের ধন্য মনে করছি।   

নেতাজী, কবিতা বা গান নিজে না লিখে থাকলেও, তাঁকে কেন্দ্র করে হিন্দুস্তানী ভাষায়, ক্যাপ্টেন রাম সিং
ঠাকুরের সুরে, আজাদ হিন্দ ফৌজের যে গানগুলি রচিত হয়, তা আজও ভারতবর্ষের অন্যতম জনপ্রিয় গীত,
যা শুনে এখনো ভারতবাসী উদ্দীপিত হয়। এই গানগুলির মধ্যে রয়েছে "কদম কদম বড়ায়ে যা", "হাম দিল্লি
দিল্লি জায়েঙ্গে", "নেতাজী হঁসতে হঁসতে জীনা", "উঠো সোয়ে ভারত কে নসীব", "সুভাসজী সুভাসজী" প্রভৃতি |

এই বিখ্যাত জনপ্রিয় গানগুলির কথার জন্য মিলনসাগরে
ক্যাপ্টেন রাম সিং ঠাকুরের আজাদ হিন্দ ফৌজ কে
গীত হিন্দী কবিতার পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন

নেতাজী সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে আমাদের তর্ক-বিতর্কের পাতায় যেতে
এখানে ক্লিক করুন । সেখানে
আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য লিখে রেখে যেতে পারবেন যা তত্খনাৎ ইন্টানেট-এ প্রকাশিত হয়ে
যাবে। নেতাজী অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান কল্পে গঠিত মহামান্য বিচারপতি মুখার্জী কমিশনের রিপোর্ট বার
হবার পর ভারতের তথা বাংলার নানা রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে মিলন
সেনগুপ্তের একটি লেখা পড়তে
এখানে ক্লিক করুন

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে থাকা,
নেতাজী সংক্রান্ত ৬৪টি (সব ক'টি) গোপন ফাইল উন্মুক্ত করে দেন। সম্ভবত এটাই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের
সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান হিসেবে মনে রাখা হবে। যদিও এই ফাইলের তথ্যাদি তে মনে হয়েছিল যে নেতাজী ১৯৬০
সালের পরেও জীবিত ছিলেন, কিন্তু তা প্রমাণ করা যায়নি।

শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কাজের ঠ্যালায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাধ্য হন, কেন্দ্রীয় সরকারের
ঘরের কিছু গোপন নেতাজী ফাইল উন্মুক্ত করতে। কিন্তু তিনি ঝানু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরিচয় রাখেন
এইভাবে, যে তিনি সব ফাইল একবারেই উন্মুক্ত করতে দেননি। তিনি টিভি সিরিয়ালের মতো প্রতি মাসে
কিছু কিছু ফাইল উন্মুক্ত করা শুরু করেন। আমাদের সন্দেহ এই যে এতে তিনি একদিকে নেতাজীকে মাথায়
তোলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন আবার অন্য দিকে লোক লাগিয়ে এটাও দেখার সময় হাতে পেয়ে গেলেন যে
এমন ফাইল তিনি ছাড়বেন না যাতে আর.এস.এস. এর বহু সরকারী গুহ্যতথ্য এবং নেতাজী সংক্রান্ত প্রকৃত
সত্য বহনকারী ফাইল না প্রকাশিত হয়ে পড়ে। ফলে বর্তমানে নেতাজী ফাইল নিয়ে সাধারণ মানুষের
আগ্রহেই ভাটা পড়াতে সাহায্য করলেন শ্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদী!

২০১৬র সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনের সাংবাদিক আশিস রায় জানিয়েছেন যে জাপান সরকার নাকি তদন্দ করে
প্রমাণ করেছিল যে নেতাজীর মৃত্যু বিমান দুর্ঘটনাতেই হয়েছিল। তিনি অবশ্য আদাজল খেয়ে লেগেছেন
রহস্যের এই দিকটা তুলে ধরতে। অন্য দিকে অনুজ ধরের মতো মানুষরা এখনো মনে করেন  নেতাজী
আরও অনেক দিন বেঁচে ছিলেন সোভিয়েত রাশিয়ায় এবং গূঢ় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চক্রান্ত
ছিল নেতাজীকে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত প্রমাণিত করার পেছনে। আশিস রায়ের মত সাংবাদিকরা কি সেই
চক্রান্তেরই উত্তরসূরী?


ইন্টারনেটে নেতাজীর জীবন ও কাজ সম্বন্ধে পড়তে এই সাইটগুলি উল্লেখযোগ্য |
নেতাজী রিসার্চ ব্যুরো     মিশন নেতাজী     উইকিপেডিয়া     তামিলনেশন     পিটিশন অনলাইন   


আমরা
মিলনসাগরে  কবি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলে এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।



উত্স -
শিশিরকুমার দাশ সম্পাদিত সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, ২০০৩।



কবি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     




এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ২০০৫
এই পাতার পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১৬.৯.২০১৬





...