ঘুমন্ত এক শব্দ কবি প্রদীপ চৌধুরী মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
পৃথিবী নিঃস্তব্ধ, যানবাহনের শব্দ নেই কোথাও.. গভীর রাতে ঘুমিয়ে পড়েছে সবাই| ঘুমের মাঝেই যেন ভেসে আসছে, ঘুমন্ত এক শব্দ| গাছের পাতা নড়ছে না, প্যাঁচার কান্না নেই রাতে... সবই যেন ভেসে গেছে, অন্ধকারের স্রোতে| কখন রাত্রি শেষে ভোর নামে বোঝা যায় না.... টহলদারেরা গান গায়না আর| সকালে উঠে দেখি, গ্রামে মানুষ নেই, অন্ধকারের স্রোতে তারাও ভেসে গেছে| ঘুমন্ত শব্দটা তবে কি তাদেরই হা হা কার ছিল? তবে আমি ভাসিনি কেন সেই স্রোতে? তবে কি আমার কলমে, এদের কথা.. লিখবো বলে স্রোত কি আমায় স্পর্শ করেনি!!
ধোঁয়ার ধোঁয়াশা কবি প্রদীপ চৌধুরী মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
মানুষের কোলাহলে পাখিদের গান শোনা যায় না কখনো বা ভিড়ে হাওয়ার আসা যাওয়া থমকে যায় দম বন্ধ কষ্ট ঘনিয়ে আসে| তখনো দেখি সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ে কেউ| এ যেন গোদের উপর বিষ ফোঁড়া| তবু তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না উত্তর তাদের একটাই আমার বাপের পয়সায় খায়, তোমার কি? তাই নিরুত্তর থাকতে হয় আমাদেরই আমরাই যেন দোষি, প্রশ্ন করে| নাকে রুমাল দিয়ে চলতে হয় রাস্তায় বাড়ি ফিরে দেখি রোমালও ভিজে গেছে ধোঁয়ার গন্ধে|
ছিঁড়ে ফেলো আমায় কবি প্রদীপ চৌধুরী মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
আমাদের সাথে কাগজের সেই লুকোচুরি খেলা হৃদয় কোণে এখনো স্বপ্ন হয়ে ফোটে বড্ড দুঃখ দিয়ে যায় সেই কথাগুলো তোমার আমার আজ ভিন দিকে পথ চলা| পথের কাঁটাতার বিঁধছে আমার বুকে বুকের কলিজাটার পথ চলাও স্তব্ধের দিকে প্রায় মাঝে মাঝে শূন্যতা হৃদয় ভেজায় উষ্ণ স্রোতে কাগজ বলে ছিঁড়ে ফেলো আমায় তোমার দুঃখে| আমি আজও কাগজের পথ চেয়ে বসে থাকি বিকেলের হাওয়ায় যদি উত্তর ভেসে আসে গোধূলি পেরিয়ে যায়, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে উত্তর আসে না তখনও, বাসায় ফিরে আসে সব পাখি| আমার লিখা কাগজও দেওয়া বাকি রয়ে গেলো এখন আমরাই লুকোচুরি খেলি, কাগজ খেলেনা আর আমি লুকাই ঘরের কোণে, সে আকাশের তীরে কাগজও বলে বন্ধু..বৃথায় রাখছো ছিঁড়ে ফেলো আমায়|
অরিন্দম আর নেই কবি প্রদীপ চৌধুরী মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
প্রতিদিনের একই রুটিন, আর ব্যস্ত জীবন... অরিন্দম চাইনি সেটা | শান্তির খোঁজে, সাগরের তীরে তার সাথে শেষ দেখা| তারপর হঠাৎ একদিন ফোন... কাঁদো কাঁদো গলায় কে যেন বললো অরিন্দম আর নেই | সেই শেষ কথা | তার শেষ কথা মনে আছে আমার, অরিন্দম তুমি উদাস কেন? উত্তর আসে, জানিনা, হয়তো এমনি | আমি চিৎকার করে ডাকি, অরিন্দম, আকাশ থেকে উত্তর আসে অরিন্দম তো নেই |
মূল্যহীন কবি প্রদীপ চৌধুরী মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
চারিদিকে আজ শুধুই রক্ত নয়তো মৃত্যু-স্তুপ, সময়ের ভারে সয়ে গেছে সব ধরিত্রী তাই চুপ| হত্যা লীলায় মেতেছে জগত রক্ত বানে ভাসছে, না জানি এ কোন অভিশাপ আসছে, ধেয়ে আসছে| জীবনের কোনো দাম নেই আজ বালির বাঁধের মতো, এই যেন আছে, এই আর নেই ভাঙবে, গড়বে যত| চারিদিকে সব লাল হয়ে গেছে নামছে গোধূলি বেলা, হয়তো আবার সূর্য্য উঠবে থামবে, মৃত্যু-খেলা|
জীবনের জলছবি কবি প্রদীপ চৌধুরী মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
জীবনে চলার পথটায়,ট্রাফিক জ্যাম শহরের অলিগলি রাস্তা যেমন... বাইকের এক্সিলেটারের মতো রক্তের আনাগোনা| বুঝি খুব তাড়া তার.. নিচের গলি থেকে উপরের দিকে ছুটছে| হঠাৎ কখন রাস্তা মাঝে ব্রেকফেল| আর্তনাদের শব্দে যমের গাড়ি এসে হাজির| নিয়ে যেতে চায়, অচেনা এক আর্তনাদের জায়গায়|
ক্ষুধিত মানুষ কবি প্রদীপ চৌধুরী মিলনসাগরে প্রকাশ ১১.৭.২০১৬
ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছে মানুষ কোথাও থাকার জায়গা নাই| কান্না ভরা চোক্ষু দুটি হারিয়ে যেতে চাই|| এদের কথা কেউ ভাবে না ব্যস্ত সবাই কাজে| রাগের মাথায় কেউ বা বলে এরা ভীষণ বাজে|| হৃদয় হীন সমাজ এখন নেইকো মায়া দয়া| ক্ষুধিতরা ক্ষুধায় মরুক হারাক মাথার ছায়া!! পরিস্থিতি বড়োই কঠিন কেউ নইতো কারো| ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছে মানুষ তোমরা তবুও মারো|| সভ্য মানুষ ধন্য তুমি তোমায় করি সেলাম| তোমরা না হয় সুখেই থাক আমরা হব গোলাম||