কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় - জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার হুগলী জেলার বাকুলিয়াতে।
 পিতা রামনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুগলী মোহসীন কলেজ থেকে পাশ করে বার হবার আগে থেকেই
তাঁর কবিতা
ঈশ্বর গুপ্তের পত্রিকা “সংবাদ প্রভাকরে” প্রকাশিত হতে শুরু হয়েছিল।

১৮৬০ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ছয় মাস পড়ানোর পর তিনি ইনকাম ট্যাক্স এসেসর,  
কালেকটার, ডেপুটি কালেক্টর পদে যোদ দেন। ক্রমে তিনি ১১.৪.১৮৮২ তারিখে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদে
অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি বাংলা, ইংরেজী, সংস্কৃত এবং উড়িয়া ভাষায় বিশেষ দক্ষতা লাভ করেন। কর্মসূত্রে কটকে  
থাকাকালীন তিনি উড়িয়া ভাষাতে “উত্কল দর্পণ” নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন যাতে প্রত্নতত্বের উপর
কিছু প্রবন্ধও ছিল।

তিনি “রস সাগর”, “বার্তাবহ”, প্রভৃতি পত্রিকার সম্পাদনা করেন। “এডুকেশন গেজেট” পত্রিকার তিনি সহ-
সম্পাদক ছিলেন ১৮৫৫ সালে। তাঁর উল্লেখনীয় রচনার মধ্যে রয়েছে "পদ্মিনী উপাখ্যান" (১৮৫৮), "কর্মদেবী"
(১৮৬২), "শূরসুন্দরী" (১৮৬৮) প্রভৃতি। তাঁর অনুবাদ সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে সংস্কৃত থেকে
ঋতুসংহার এবং কুমারসম্ভব (১৮৭২) এর অনুবাদ, “নীতিকুসুমাঞ্জলি” (১৮৭২) অনুবাদ, হোমারের
মহাকাব্যের অনুবাদ “ভেক-মুষিকের যুদ্ধ” প্রভৃতি।  ১৮৮২ সালে  তিনি
মুকুন্দরামের কবিকঙ্কন চণ্ডি
সম্পাদনা করে প্রকাশিত করেন।

তাঁর “পদ্মিনী উপাখ্যান” কাব্যের “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়, দাসত্ব শৃঙ্খল কে পরিবে পায় হে, কে
পরিবে পায়...” পংক্তিগুলি সেই যুগের স্বাধীনতা সংগ্রামের যোদ্ধাদের দারুণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তিনি
ইংরেজী সাহিত্যের ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে সাহিত্য সাধনা করে গিয়েছেন।

আমরা
মিলনসাগরে  কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলে আমাদের এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।



উত্স --- ডঃ শিশির কুমার দাশ, সংসদ সাহিত্য সঙ্গী ২০০৩।
.             সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, ২০১০।      



কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।       


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ২০০৮
কবির ছবি সহ পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১০.০৮.২০১৬    

...