কবি সাধন দাশগুপ্তর গণসঙ্গীত
*
আরে দে দে স্ট্যালিন ভাই
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত –সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |
( ঢাকার ছাদ পিটানো গান ‘আর দে দে কানাইয়া লাল বসন আমার হাতে দে / কুল নারী
মরি লাজেতে’ এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল |  এই গানটির মর্ম অনুসরণ করে এবং সুর
গ্রহণ করে গানটি রচিত | তত্কালীন কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক পি.সি.যোশীর
মতে এই গানটি প্রথম রাজনৈতিক কৌতুক-গীতি গণসংগীতের ধারায় | )


আরে   দে দে স্ট্যালিন ভাই, পায়ে পড়ি ছাইড়া দে,
.          আর্য হেটলার মরি লাজে তে ||

.          আমরা যত জার্মান পুরুষ ছিলাম নাজী দলে
.          সবার শক্তি হরণ কইরা ললি রে কোন ছলে ||

.          ভাইবা ছিলাম তুমি বুঝি নাগর কানাই,
.          এখন দেখি পুড়ল কপাল কাহারে জানাই ||

.          তুমি তো সুন্দর স্ট্যালিন কত শক্তি ধর,
ক্যান    অভাগা হেটলারের সাথে চাতুরালী কর ||

.          তুমি তো জুয়ান স্ট্যালিন পিরথিমিতে বড়,
.          তোমার মাইরের চোটে হইলাম মরমর ||

.          কি কুক্ষণে ডুইক্যা ছিলাম রাইশ্যার ভিতরে |
.          ঠাণ্ডার চোটে জইম্যা গেলাম কেমন শীতরে ||

.          ছাইড়া দাওরে স্ট্যালিন দাদা, ছাইড়া দাওরে ভাই,
.          তুমি আমার বাপ, ওরে তুমি আমার ভাই ||

.          ছাইড়া দাওরে স্ট্যালিন দাদা, ছাইড়া দাওরে ভাই,
.          ধলা মুখে কালি লইয়া ঘরে ফিরা যাই ||

.          কে জানিত স্ট্যালিন তুমি এমন শক্তিমান,
.          লাল সেনানীর হাতে পইড়্যা হারাইলাম দুই কান ||

.          ভরোশিলভ টিমোশিঙ্কো তোমারি দুই চ্যালা,
.          বুদেনীরে সঙ্গে লইয়া মারলো বিষম ঠ্যালা ||

.           রাশিয়াতে থাক স্ট্যালিন, কেরেমলিনে ঘর,
.          তোমার পিরীতির লাইগা হইলাম দেশান্তর ||

.          আমি তো অভাগা হেটলার তুমি ভাইগ্যমান,
.          লাল সেনানীর হাতে আমি হইলাম লবেজান ||

.          আপনি বাঁচলে বাপেরই নাম সকল লোকে বলে,
.          বাপের নামটা ভুইল্যা গেলে বাঁচবোরে কোন ছলে ||

.          দোহাই রে তোর স্ট্যালিন দাদা সিন্নি দিমু তরে,
.          ছাইড়্যা দিলে সালাম দিয়া চইল্যা যামু ঘরে ||

.          এতেক শুনিয়া স্ট্যালিন হেটলারেরে কয়,
.          তর মত পাপিষ্ঠের কথা পরাণে না সয় ||

.          ক্ষমা নাইরে ওরে হেটলার ক্ষমা নাইরে তর,
.          যমের দুয়ারে বইস্যা খুনের হিসাব কর ||

.          কই গেলরে মুসুলিনী কোথায় হারামজাদা,
.          গুঁতার চোটে অখন বুঝি হইলাম আমি দাদা ||

.          লাখে লাখে মানুষ মাইরা চক্ষে পড়ে পানি,
.          এমন পিরীতির কথা আমি তো না জানি ||

.          তোদের চোখে জল দেখিলে জুড়ায় আমার হিয়া,
.          তর কবরে শকুন যেন পড়ে উড়াল দিয়া ||

.          চোখের থনে পড়লে পরে জরজরাইয়া পানি,
.          সেই পানিতে ভাইস্যা যাইব জাপানের শয়তানি ||

.          আমার যত লাল সেনানী ঠাণ্ডা করবে তরে,
.          পাপীরে ছাড়িয়া দিমু ভাবলি কেমন করে ||

.          কেমন রে তপ দলবল, কেমন তাদের হিয়া,
.          কে তরে পাঠাইয়া দিল বন্দুক ঘাড়ে দিয়া ||

.          জলের তলে বাইন্ধা ছিলি বাবুই পাখির বাসা,
.          কে তরে বাঁচাইতে পারে, নাইরে কোন আশা ||

.          লজ্জা নাইরে ওরে হেটলার, লজ্জা নাইরে তর
.          গোয়েরিংরে গলায় বাইন্ধা জলে ডুইবা মর ||

.          দয়ার কথা পরে হইব, আগের কথা কই,
.          আগে তগো গলা টিপ্যা বিষ ছাড়াইয়া লই ||

.          আমার পিতা মহা লেনিন, কেবা রে তর পিতা,
.          রাইখের ঘরে লাকড়ি দিয়া বানাইমু তর চিতা ||

.          আদেশ পাইয়া লালসেনারা ছাড়েন মেসিন গান,
.          গুল্লি খাইয়া মরতে আছে যতেক জারমান ||

.          চীন দেশে বীর মাও-সে-তুং আর কমরেড চু-তে,
.          জাপ দস্যুদের খেদায় যত চীনা ভাইদের সাথে ||

.          ভারতবর্ষে কমরেড যোশী কেমন বাপের ব্যাটা,
.          জাপানীদের রুখতে করে সবাইরে এক কাঠঠা ||

.          কংগ্রেস লীগ এক হইয়ে হিন্দু মুসলিম যত,
.          ফ্যাসিষ্ট শক্তি ধ্বংস কর চীনা ভাইদের মত ||

.          বাঁচার মত বাঁচতে হলে ভারতবাসী ভাই,
.          সবার সাথে হাত মিলায়ে হওরে এক ঠাঁই ||

.                  ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
উড়ারে ঊর্দ্ধে লাল নিশান
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |


উড়ারে ঊর্দ্ধে লাল নিশান |
বাজারে ডঙ্কা বাজা বিষাণ,
জাগোরে ছাত্র, মজুর, কিষাণ,
জাগ জাগ জাগ তোরা জাগ ||

কোমর বেঁধে সব তৈরী হও,
ঘুম কেড়ে ভাই হুঁশিয়ার হও,
হুঁশিয়ার হও, হুঁশিয়ার হও,
জাগ জাগ জাগ তোরা জাগ ||

এ ঝাণ্ডা ঊর্দ্ধে তুলিয়া লও,
জুলুমবাজী আজও কেনরে সও
আজও কেন ভাই ঘুমায়ে রও,
জাগ জাগ জাগ তোরা জাগ ||

সংগ্রামে এলোরে নতুন ধরন,
শোনরে দুনিয়ার জনগণ
এ যুদ্ধ আজিকার মুক্তির রণ,
জাগ জাগ জাগ তোরা জাগ ||

.              ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
চাষী দে তোর লাল সেলাম
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |
( ১৯৪৫ –এ ময়মনসিংহ নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত সারাভারত কিষাণসভার সম্মেলনে পতাকা
উত্তোলনের গান | )


চাষী দে তোর লাল সেলাম তোর লাল নিশান রে,
আন্ধার পথে আলো দেয় সে মুসকিল আসান করে ||
.                আমরা মাটির মানুষ ভাই
.                মাটির জয়গান গাই
হাজার কিষাণ বাজাই বিষাণ, নূতন দিনের ভোরে ||
.                মোদের মাঠে সোনার ধান,
.                আমরা মানুষ সোনার প্রাণ,
আমরা রুখি দুখের বান, এই আকালের ঝড়ে ||
.                কাস্তে মোদের বুকের বল,
.                লাল সূরুযে ঝলমল,
দীন দুনিয়ার মালিক আমরা কাস্তের দৌলতে রে ||

.                আমরা নহি একা আজ,
.                মজুর কিষাণ এক আওয়াজ,
মোদের চলার পথে পথে রক্ত নিশান ওড়ে ||
.                মোদের গরব কায়ূর বীর,
.                ফাঁসীর মঞ্চে দিল শির,
তাঁদের খুনে রক্তরাঙা নিশান তুলি ধরে ||

.      
           ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
শহীদ সোমেন চন্দের উদ্দেশে রচিত
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |


তোমার বুকের খুনে পথ কে ভাসায় বন্ধু, একবার বল না
( আহা ) ছোবল মারিল প্রাণ হইরা নিল কোন সে সাপের ফণা ||
সেদিন তোমার হাতে যে নিশান ছিল বন্ধু, মোদের লাল নিশান,
লাল নিশানের মান রাখিতে দিলা তোমার প্রাণ,
মইরা বন্ধু শহীদ হইলা পথ দেখাইলা,
.                        রাইখা গেলা জয়ের নিশানা ||

তুমি ছিলা কথাশিল্পী সঙ্কেত তোমার দান,
মজুর সভায় ছিলা তুমি পরাণ সমান,
অমর হইয়া রইল বন্ধু তোমার সুনাম, তোমার কথা,
.                                    তোমার রচনা ||

দেশের ডাকে দিলা বন্ধু সাড়া,
সেই ডাকেতে দিল সাড়া সর্বহারা ছিল যারা
পথে আইসা দাঁড়ায় তারা, মরণ ঘুম ছাইড়া বন্ধু সামনে চল না ||
আসুক দেশের সকল কবি, আসুক পটুয়া,
শহীদ সোমেনের নামে আসুক নটুয়া,
জ্ঞানের মশাল লইয়া হাতে তুলুক অসির ঝনঝনা ||

.                 ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
চলতে যখন হবেই তখন পথেই চলো
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |


চলতে যখন হবেই তখন পথেই চলো,
লড়তে হলে শক্ত করেই পাঞ্জা তোলো,
পথেই চলো বন্ধু এবার, পথেই চলো ||

দেখছ না কি মুখে মুখে শপথ আঁকা
ইস্তাহারের শব্দ দিয়ে যায় না মাপা,
অজগরের টুটি চেপে মাত করেছে,
ঢেউ জাগানো জলের হিসাব ঠিক ধরেছে,
শহীদনামার দেউড়ীতে তাই জমছে আলো ||

মাথার ওপর লাল মশালের নিশান ওড়ে,
পায়ের চাপে পাথরগুলো যাচ্ছে নড়ে,
শহর গ্রামে জালিয়াতের জাল ছিঁড়েছে,
রক্তঢালা লড়াই করে যায়রে মিছে,
বুকের দেওয়াল জুড়ে এবার লিখন জ্বালো ||

পাকে পাকে অনেক বাঁকে পথ ঘুরেছে,
ঘামে ঝড়া মাঠের ধুলোয় ঝড় উড়েছে,
মেঘের মাঝে প্রতিবাদের বাজলো রে ঢাক,
ভূখা পেটের মিছিলগুলো দিচ্ছে যে হাঁক,
বাঁচতে হলে যুদ্ধ করেই বাঁচা ভালো ||

.                 ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
শহীদ মিনারে উঠে দাঁড়িয়ে দেখি
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |
( চিলির গণসংগীত নায়ক শহীদ ভিকতর জারা-র স্মরণে নিবেদিত | )


শহীদ মিনারে উঠে দাঁড়িয়ে দেখি
পৃথিবীর পশ্চিমে অনেক দূরে
প্রশান্ত সাগরে অশান্ত ঢেউগুলো
নিরুদ্ধ নিঃশ্বাসে ওঠে পড়ে ;
সশব্দ গরজনে কারা যেন ডেকে বলে ---চিলি চিলি ;
হঠাৎ ঠিকানা ভুলে মন বলে --- এক সাথে মিলি ||

শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে শুনি
অসংখ্য অতৃপ্ত শ্বাস
উথ্বিত হতে চায় শত আক্রোশে
ভবিষ্যতের কাছে চায় আশ্বাস ;
সশব্দ গরজনে --- ||

শহীদ মিনার ঘিরে অনেক দেখি
মুক্তির প্রহরীরা সমুদ্ধত,
যুদ্ধের বণিকেরা ভয়ে সন্ত্রাসে
অন্তিম বিবরে প্রত্যাগত ;
সশব্দ গরজনে -- ||

শহীদ মিনার থেকে শপথ শুনি
অসংখ্য সত্তার আলোকের গান,
চেতনার সঙ্কেতে প্রাণের মোহনা ঘিরে
জীবনের মিছিলে মহা আহ্বান ;
সশব্দ গরজনে কারা যেন ডেকে বলে ---চিলি চিলি ;
হঠাৎ ঠিকানা ভুলে মন বলে এক সাথে মিলি ||

.                 ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
আমাদের প্রশ্ন যদি করতে আসে
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |


আমাদের প্রশ্ন যদি করতে আসে কেউবা
কোন মাটিতে জন্ম নিলাম কোথায় মোদের দেশ,
আমরা বলি দিল্লী, হ্যানয়, আফ্রিকা কি কিউবা,
সাদা কালো পীত লোহিতের একটি মহাদেশ,
ভালোবাসার একটি ভাষায় হলাম অনিঃশেষ |
( কোরাস ) আমাদের যৌবন দুরন্ত সৈনিক,
কোটি হাতে ঘেরি পৃথিবীরে দৈনিক,
আমাদের মাটিতে শান্তির পাহারা
আমাদেরি এক নাম চে-গেভারা ||
আমাদের প্রশ্ন করে লাভ কিছু নেই আজ,
আমরা চলি সূর্য-মুকুল জীবন সন্ধানে,
শ্যামল মাটির ভবিষ্যতে আমরা মহারাজ,
আমাদের জবাব শোনো কৃষ্ণচূড়ার গানে,
পরাবতের পাখায় পাখায় রৌদ্রঝরা প্রাণে |
( আমাদের যৌবন -- )

আমাদের আঘাত যদি করতে আসে কেউ,
দিকে দিকে প্রতিরোধের জাগবে তলোয়ার,
মুক্ত স্বাধীন আন্দোলনের বিশাল ভাঙা ঢেউ,
দেখব এবার যুদ্ধ করার সাধ জেগেছে কার
হিমালয়ের শিখর ছোঁয়া মোদের অঙ্গীকার |
( আমাদের যৌবন ---)

.                 ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
জীবনের দুর্গে দাঁড়িয়ে
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত –সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |
( গণনাট্য সংঘের আদর্শকে ভেবে রচিত | )


জীবনের দুর্গে দাঁড়িয়ে
আঁধারের সীমানা ছাড়িয়ে
সহস্র বাহুতে করতালি দিই মোরা প্রাণের নাবিক ;
মোরা সৈনিক,
মুক্তির শান্তির সৈনিক
জনগণনাট্যের সৈনিক ||

বিদ্রোহ বিপ্লবে আন্দোলনে,
মেহনতী মানুষের সম্মেলনে
দিগন্তে দিগন্তে দূরন্ত জীবনে
অনন্ত দুন্দুভি বাজবেই, নির্ভিক, মোরা নির্ভিক,
জনগণনাট্যের সৈনিক ||
( তেল ফেরতা ) মোদের নেইকো দলাদলি,
সহজ কথা বলব বলে সহজ পথে সোজা চলি ;
রিক্ত শাখে ফোটাই মুকুল,
সিক্ত পথে ছড়াই বকুল,
সবুজ সুধার ধারায় ধারায় জাগাই আশার কুন্দকলি ||
( তাল ফেরতা ) জাগছে ঐ জাগছে
পথ দুর্গম মরু প্রান্তর               জাগছে
গিরি-কন্দর মরা বন্দর               জাগছে
কত কুয়াশায় ঢাকা অন্তর    জাগছে
আমাদের আহ্বানে জাগছে ঐ
.                            রৌদ্রজ্জ্বল দশদিক ||
( মোরা )                 সাম্যের মন্ত্র পড়েছি,
.                        জীবনের সৌধ গড়েছি,
আশার পতাকা তুলে সমুদ্রে কল্লোলে প্রাণের নাবিক |
জনগণনাট্যের সৈনিক ||

.                 ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর
*
আয়রে আয়, যৌবনের বন্যায়
কথা ও সুর : সাধন দাশগুপ্ত
সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত “গণসংগীত –সংগ্রহ” থেকে নেওয়া |
( ১৯৪৪ এর এই গানটির ‘সৈনিক চল যাত্রায়, মুক্তির রণয়াত্রায়’ অংশটুকুর পরিবর্তে পরে
যুক্ত হয়েছিলো ; ‘সৈনিক চল যাত্রায়, ক্রান্তির পথ যাত্রায়’ | )


আয়রে আয়, যৌবনের বন্যায়,
ঘিরে দাঁড়া পতাকারে রৌদ্র মেঘ-ছায়ায়
সৈনিক চল যাত্রায়, মুক্তির রণযাত্রায় ||

মৃত্যুর বন্ধন ছিন্ন কর,
পৃথিবীর দুর্গে জীবন গড়
আনো আলো, আনো আলো
সূর্যেরে জ্বালো জ্বালো
বজ্রেরে বাঁধিতে দুর্জয় মন শুধু চায় ||

জাগ তোরা জাগ, দূর কর কর দূর ভয়,
অমর হয়েছে মাটির মানুষ নাই আমাদের ক্ষয় ;
ঝঞ্ঝার মাঝে ঐ পতাকা নাচে,
নবীন আশা সেথা লুকায়ে আছে,
ভাঙো জীর্ণ দুয়ার, আনো প্রাণের জোয়ার
.                     উজ্জ্বল রশ্মির ধার,
মুক্তির যাত্রী দুর্জয় অভিযানে যায় ||

.                 ************************                 
.                                                                          
সূচীতে . . .    




মিলনসাগর