তরঙ্গিণী দাসী - কোন্নগর নিবাসী ছিলেন। তাঁর স্বামীর নাম বাবু চন্দ্রমোহন ঘোষ।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে নিষ্ফল তরু (১৮৭৭, কবিতা ও প্রবন্ধ গ্রন্থ)। এছাড়া ন্যাশনাল লাইব্রেরীর
ওয়েবসাইটে তরঙ্গিণী দেবী নামের এক কবির “বনফুল” (১৮৯৩) নামক এক কাব্যগ্রন্থের উল্লেখ আমরা
দেখতে পাই। তাঁরা একই ব্যক্তি কি না আমরা এখনও জানতে পারিনি।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ “নিষ্ফল তরু” (১৮৭৭) এর অন্তত দুটি প্রবন্ধ “উন্নতি” ও “বসন্ত সমাগমে”, “বঙ্গ মহিলা”
পত্রিকার ভাদ্র ১২৮৪ (সেপ্টেম্বর ১৮৭৭) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর “নিষ্ফল তরু” (১৮৭৭) গ্রন্থের,
“উন্নতি” নামক প্রবন্ধটিতে নারীজাতির দুর্দশার বর্ণনা এবং তাঁদের প্রকৃত উন্নতির প্রসঙ্গ খুব জোর দিয়ে
উপস্থাপন করেছেন, আজ থেকে প্রায় ১৩০ বছর পূর্বে! তাই আমরা তাঁর এই প্রবন্ধটিও এখানে তুলে দিলাম।
সেই প্রবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আজকের নারীবাদীদের এই মহিয়সী নারীর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ
করা উচিত, তার লেখার মধ্যে দিয়ে।
 প্রবন্ধ দুটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন . . .

এই প্রসঙ্গে অবসর.নেট ওয়েবসাইটে শ্রী দীপক সেনগুপ্তর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ, কারণ তাঁর লেখা "বঙ্গহিলা"
নামক প্রবন্ধ থেকে এই পত্রিকা সম্বন্ধে জানতে পারি যে "বঙ্গ মহিলা" নামে তিনটে পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রথম পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় ১২৭৭ খ্রীষ্টাব্দের ১লা বৈশাখ (এপ্রিল ১৮৭০)। এটি ছিল একটি পাক্ষিক এবং
বাংলা ভাষায় প্রথম মহিলা সম্পাদিত পত্রিকা। সম্পাদকের নাম জানানো হয় নি। "খিদিরপুর নিবাসিনী
জনৈক মহিলার সম্পাদনায়" বলে উল্লেখিত হয়েছে। জানা যায় ইনি ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি
উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (ডব্লিউ. সি. বোনার্জ্জী-র) ভগিনী
কবি মোক্ষদায়িনী মুখোপাধ্যায়। ১২৮২ বঙ্গাব্দের
বৈশাখে (১৮৭৫) মুক্তারাম বাবু ষ্ট্রীটে চোরবাগান বালিকা বিদ্যালয়ের বোর্ড অফ প্রিন্সিপ্যাল্‌স প্যারীচরণ
সরকারের নেতৃত্বে 'বঙ্গমহিলা' নামে দ্বিতীয় মাসিক পত্রিকাটি প্রকাশ পায়। তৃতীয় "বঙ্গমহিলা" পত্রিকাটি
বৈশাখ ১২৯০ বঙ্গাব্দে (১৮৮৩), নগেন্দ্রনাথ ঘোষালের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।  

১৯৭৭ সালে মাদ্রাজে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ হয়, যাকে “দ্য গ্রেট ম্যাড্রাস ফেমিন অফ ১৮৭৭” নামে অভিহিত করা
হয়েছিল। দক্ষিণ ভারতের এই দুর্ভিক্ষে, অনাহারে প্রায় ৫৫লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ১৮৭৭ সালে মাদ্রাজের
দুর্ভিক্ষ নিয়ে ঐ নামের কবিতাটি অসাধারণ। আজ থেকে ১৩০ বছর আগে কোন্নগরে বসে সেই ঘটনা এই
নারীর মনে কতটা রেখাপাত করেছিল, তা এই অসামান্য কবিতায় জানা যায়। ইংল্যাণ্ডের রাণীর কাছে এই
কবিতা ছিল তাঁর প্রতিবাদের ভাষা।

এমন তীক্ষ্ণ লেখ যাঁর লেখনীপ্রসূত, তাঁর বাংলা সাহিত্যে কোনো উল্লেখই দেখতে পাই না। এ বিষয়ে, সংস্লিষ্ট
বাংলা সাহিত্যের যাঁরা গতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এছাড়া তার সম্বন্ধে আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই।

কবির একটি ছবি ও তাঁর জীবন সম্বন্ধে তথ্য যদি কেউ আমাদের পাঠান তাহলে আমরা, আমাদের
কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো।

আমরা মিলনসাগরে  কবি তরঙ্গিণী দাসীর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।




উত্স - কবির প্রকাশিত গ্রন্থ “নিষ্ফল তরু” (১৮৭৭)।   
.           
অবসর.নেট ওয়েবসাইটে শ্রী দীপক সেনগুপ্তর লেখা।
.           সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড,
.   
        পঞ্চম সংস্করণ, ২০১০।    


কবি তরঙ্গিণী দাসীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ৫.৯.২০১৬


...