কবি জগদ্বন্ধু ভদ্রর কবিতা গান ও বৈষ্ণব পদাবলী |
প্রেমবন্যা সম্পাদকের মঙ্গলাচরণ ভণিতা জগ-বন্ধু কবি জগদ্বন্ধু ভদ্র বৈষ্ণব পদাবলী “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” গ্রন্থ মুদ্রিত হবার কয়েক মাস পরে ১৩১১ বঙ্গাব্দের ২২শে ভাদ্রের (সেপ্টেম্বর ১৯০৪) শ্রীশ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া ও আনন্দবাজার পত্রিকায় লেখেন যে, “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” প্রকাশের জন্য তিনি যে মঙ্গলাচরণটি রচনা করে প্রকাশকের কাছে পাঠিয়েছিলেন তা সেই গ্রন্থে ছাপা হয়নি। তার পরিবর্তে জগদ্বন্ধুবাবু সম্পাদিত প্রেমানন্দের মনঃশিক্ষা গ্রন্থে তাঁর রচিত যে মঙ্গলাচারণটি ছাপা হয়েছিল, ভ্রমবশতঃ সেটিই “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”-তে প্রকাশিত হয়েছে। জগদ্বন্ধু ভদ্রর মৃত্যুর পর প্রকাশিত, মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪), সংকলনের সেই ভ্রমবশতঃ ছাপা মঙ্গলাচরণটি পরিবর্তন করে জগদ্বন্ধুবাবুর এই গ্রন্থের জন্য লেখা মঙ্গলাচরণটি প্রকাশিত করা হয়। বৃন্দাবনমে শেষ-রস-পাহাড় ; তহিছে গৌর নিতাই। প্রেমক ঢল বঙ্গে নামাওল, ভাসল সবহুঁ ঠাই॥ সীতাপতি পহুঁ পহিল ভাসল, ভাসল মুকুন্দ আদি। নদীয়া ছোড়কে উধাউ প্রবাহে, ধাোল পীরিতিনদী॥ প্রেম-দরিয়াসে, ডুবি ভকত-মীন, ক্রীড়ত সানন্দ প্রাণ। পাসণ্ডীক দল, খণ্ড খণ্ড হোকে, ভাসত তৃণ সমান॥ ভাব মহাভাব সাত্ত্বিকাদি, উঠল কতহুঁ তরঙ্গ। তাহে পড়ি পাষণ্ড, হাবুডুবু খাওত, দোন ভাই দেখে রঙ্গ॥ হরিদাস ছুতার হরিনাম-তরী, পাতল সো নদী মাহে। রুপ সনাতন আদি দাঁড়ি ছয় রসক দাঁড় খেচে তাহে॥ ডিঙ্গি সামনে বৈঠি হরেনাম-বাদাম ডুবিছে খাটাওয়ে নিমাই। ভকতি কেরোয়ালে ভবাম্ বুদ্ধি পারে পাতকী তরাওয়ে নিতাই॥ রাধা-নাম-সারি সবহুঁ নাবিক ঘন গগন ভেদী গাহে। কোই কহে রাধা, কিষণ কহে কোই, যুগল নাম কোই কহে॥ এ নাম সাধনে জগত মাতাওল গায় জীব নিয়ড় দূরে। কাঠ কঠিন হিয়া এ জগ-বন্ধুক জিভে নাম নাহি স্ফূরে॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |