বাসর ঘরেতে গোরারায় ভণিতা নর কবি নরহরি চক্রবর্তী নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৮১৬-পৃষ্ঠা।
॥ পুনঃ যথা রাগঃ॥
বাসর ঘরেতে গোরারায়। রূপে কোটি মদন মাতায়॥ কুলবধবূগণ মনসুখে। সোপয়ে নয়ন চান্দমুখে॥ ঘুঙটে ঘুঘট কেউ দিয়া। কহে কিবা ঈষৎ হাঁসিয়া॥ পুলকে ভরয় সব গা। ঝাঁপয়ে বসন দিয়া তা॥ কেউ দাড়াইয়া কারু পাশে। কাঁপে সেনা রসের আবেশে॥ কেহ অতি অথির হিয়ায়। নিছয়ে জীবন রাঙ্গাপায়॥ বাসর ঘরেতে রঙ্গ যত। তাহা কেবা কহিবেক কত॥ নরমনে এই আশ। দেখিব কি এ সব বিলাস॥
এই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৭০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এখানে ভণিতা “নরহরি” দেওয়া রয়েছে।
॥ যথারাগ॥
বাসর ঘরেতে গোরারায় । রূপে কোটি মদন মাতায় ॥ কুলবধবূগণ মনসুখে । সোঁপয়ে নয়ন চাঁদমুখে ॥ ঘুঙটে ঘুঙট কেহ দিয়া । কহে কিবা ঈষৎ হাসিয়া ॥ পুলকে ভরয় সব গা । ঝাঁপয়ে বসন দিয়া তা ॥ কেউ দাঁড়াইয়া কারু পাশে । কাঁপে সে না রসের আবেশে ॥ কেহ অতি অথির হিয়ায় । নিছয়ে জীবন রাঙ্গা পায় ॥ বাসর ঘরেতে রঙ্গ যত । তাহা কেবা কহিবেক কত ॥ নরহরি মনে বড় আশ । দেখিব কি এ সব বিলাস ॥