কবি নরহরি চক্রবর্তীর বৈষ্ণব পদাবলী
*
কি আনন্দ নদীয়ানগরে। শ্রীশচীদেবীর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী
কবি নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬
গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৭৮৩-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---কামোদঃ॥

কি আনন্দ নদীয়ানগরে।
শ্রীশচীদেবীর পুত্র, ধরিবেন যজ্ঞসূত্র, এই কথা প্রতি ঘরে ঘরে॥
স্নেহেতে বিহ্বল হৈয়া কে বা না চলয়ে ধা’য়া নানা দ্রব্য লৈয়া মিশ্রালয়ে।
নিরুপম মিশ্রালয়, লোকভীড় অতিশয়, সে শোভায় কে বা না ভুলয়ে॥
মিশ্র মহাহর্ষ হৈয়া, করে বেদমত ক্রিয়া, যজ্ঞসৃত্র দেই গোরাচান্দে।
গৌরমূর্ত্তি মনোহর, পরিধেয় রক্তাম্বর, হাতে দিব্য দণ্ড ঝুলি কাঁধে॥
প্রভু ভিক্ষা করে রঙ্গে, দেখি দেবনারী সঙ্গে, মানুষে মিশায় ভিক্ষা দিতে।
প্রভু প্রিয়গণ যারা, কত না কৌতুকে তারা, ভিক্ষা দেই প্রভুর ঝুলিতে॥
মঙ্গলবিধান যত, কে তাহা কহিবে কত, কিবা স্ত্রীগণের যজকার।
বিপ্রে বেদধ্বনি করে, শুনি কে ধৈরয ধরে, ভাটগণে পড়ে কায়বার॥
জয় জয় কলরব, ব্যাপিল সে দিশা সব, নৃত্য গীত বাদ্য নানা ভাঁতি।
দাস নরহরি ভণে, যাচক উচিত দানে, ভণয়ে সুযশ সুখে মাতি॥

ই পদটি ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৫৬-পৃষ্ঠা। নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত
ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদ।

॥ কামোদ॥

কি আনন্দ নদীয়ানগরে।
শ্রীশচীদেবীর পুত্র                                     ধরিবেন যজ্ঞসূত্র
এই কথা প্রতি ঘরে ঘরে॥ ধ্রু॥
স্নেহেতে বিহ্বল হৈঞা                           কেবা না চলয়ে ধাঞা
নানা দ্রব্য লঞা মিশ্রালয়ে।
নিরুপম মিশ্রালয়                                   লোকভীড় অতিশয়
সে শোভায় কেবা না ভুলয়ে॥
মিশ্র মহা হর্ষ হঞা                                করে বেদমত ক্রিয়া
যজ্ঞসৃত্র দেই গোরাচাঁদে।
গৌরমূর্ত্তি মনোহর                                     পরিধান রক্তাম্বর
হাতে দিব্য দণ্ড ঝুলি কাঁধে॥
প্রভু ভিক্ষা করে রঙ্গে                               দেখি দেবনারী সঙ্গে
মানুষে মিশায় ভিক্ষা দিতে।
প্রভুপ্রিয়গণ যারা                                কত না কৌতুকে তারা
ভিক্ষা দেই প্রভুর ঝুলিতে॥
মঙ্গল বিধান যত                                 কে তাহা কহিবে কত
কিবা স্ত্রীগণের জজকার।
বিপ্রে বেদধ্বনি করে                                শুনি কে ধৈরজ ধরে
ভাটগণে কহে কায়বার॥
জয় জয় কলরব                                   ব্যাপিল সে দিশা সব
নৃত্য গীত বাদ্য নানা ভাতি।
দাস নরহরি ভণে                                    যাচক উচিত দানে
ভণয়ে সুযশ সুখে মাতি॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শ্রীঅদ্বৈত গুণমণি সকল রসের খনি
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৯৭-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---কামোদঃ॥

শ্রীঅদ্বৈত গুণমণি, সকল রসের খনি, নাভা-গর্ব্ভে জনম লভিলা।
জন্ম নবগ্রাম বঙ্গে, তথা বিলসিয়া রঙ্গে, কিছুদিনে শান্তিপুরে আইলা॥
পিতা মাতা অদর্শনে, গিয়া তীর্থপর্য্যটনে, আসিয়া রহিলা শান্তিপুরে।
হৈয়া শ্রীসীতার পতি, কত তপ করি নিতি, আনিলেন কৃষ্ণ হলধরে॥
নদীয়া বিহার দেখি, সদা জুড়াইলা আঁখি, নাচিল কীর্ত্তনে নানা ছাঁদে।
আপনার ঘরে পা’য়া, সেবিলা আনন্দ হৈয়া, ন্যাসিশিরোমণি গোরাচাঁদে॥
নীলাচলে প্রভু স্থিতি, তথা কৈলা গতাগতি, সবে মাতাইয়া গোরাগুণে।
দাসনরহরি কয়, শ্রীঅদ্বৈত দয়াময়, এ যশ ঘোষয়ে ত্রিভুবনে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৯৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ কামোদ ॥

শ্রীঅদ্বৈত গুণমণি                                    সকল রসের খনি
নাভাগর্ভে জনম লভিলা।
জন্ম নবগ্রাম বঙ্গে                                  তথা বিলসিয়া রঙ্গে
কিছুদিনে শান্তিপুরে আইলা॥
পিতা মাতা অদর্শনে                                 গিয়া তীর্থপর্য্যটনে
আসিয়া রহিলা শান্তিপুরে।
হৈয়া শ্রীসীতার পতি                                কত তপ করি নিতি
আনিলেন কৃষ্ণ হলধরে॥
নদীয়া বিহার দেখি                                  সদা জুড়াইলা আঁখি
নাচিলা কীর্ত্তনে নানা ছাঁদে।
আপনার ঘরে পাঞা                                সেবিলা আনন্দ হৈয়া
ন্যাসী-শিরোমণি গোরাচাঁদে॥
নীলাচলে পহুঁ স্থিতি                                 তথা কৈলা গতাগতি
সবে মাতাইলা গোরা গুণে।
দাস নরহরি কয়                                      শ্রীঅদ্বৈত দয়াময়
এ যশ ঘোষয়ে ত্রিভুবনে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
প্রভু নিত্যানন্দ রাম রুপে গুণে অনুপাম
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৯৬-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---কামোদঃ॥

প্রভু নিত্যানন্দ রাম, রুপে গুণে অনুপাম, পদ্মাবতী গর্ব্ভে জনমিলা।
নিজগণ লৈয়া সঙ্গে, দ্বাদশ বত্সর রঙ্গে, শ্রীএকচক্রায় বিলসিলা॥
গোরা অবতীর্ণ হৈলে, সন্ন্যাসির সঙ্গ ছলে, বাহির হৈলা ঘর হৈতে॥
তীর্থ পর্য্যটন ক’রে, বিংশতি বত্সর পরে, আনন্দে আইলা নদীয়াতে॥
পা’য়া প্রাণ গোরাচাঁদে, পড়ি সে প্রেমের ফাঁদে, দণ্ড কমণ্ডুলু ফেলে দূরে।
সদা মাতি সংকীর্ত্তনে, ক্ষেত্রে চলে প্রভু-সনে, প্রভু দণ্ড তিন খণ্ড করে॥
প্রভুর আদেশ-মতে, গৌড়ে আসি ক্ষেত্র হৈতে, প্রভু মনোহিত কর্ম্ম কৈলা॥
দাস নরহরি গতি, বসু জাহ্নবীর পতি, যারে তারে প্রেম বিলাইলা॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ কামোদ ॥

প্রভু নিত্যানন্দ রাম                                রুপে গুণে অনুপাম
পদ্মাবতীগর্ভে জনমিলা।
নিজগণ লৈয়া সঙ্গে                                   দ্বাদশ বত্সর রঙ্গে
শ্রীএকচক্রায় বিলসিলা॥
গোরা অবতীর্ণ হৈলে                                 সন্ন্যাসির সঙ্গ ছলে
বাহির হৈলা ঘর হৈতে॥
তীর্থ পর্য্যটন করে                                বিংশতি বর্ষের পরে
আনন্দে আইলা নদীয়াতে॥
পাঞা প্রাণ গোরাচাঁদে                            পড়ি সে প্রেমের ফাঁদে
দণ্ড কমণ্ডুলু ফেলে দূরে।
সদা মাতি সংকীর্ত্তনে                               ক্ষেত্রে চলে প্রভু সনে
প্রভু দণ্ড তিনখণ্ড করে॥
প্রভুর আদেশ মতে                           গৌড়ে আসি ক্ষেত্র হৈতে
প্রভুমনোহিত কর্ম্ম কৈলা॥
দাস নরহরি গতি                                   বসু জাহ্নবার পতি
যারে তারে প্রেম বিলাইলা॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কোটি মনমথ গরবভর-হর পরম সুঘর নিতাই হলধর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৯২-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---দেশপালঃ॥

কোটি মনমথ গরবভর-হর, পরম সুঘর নিতাই হলধর,
করত গমন চঢ়ি নব, চৌদলে ছবি ছলকয়ে।
বেশ বিরচি, বিবাহ মত কত, ভাঁতি ভুষণ অঙ্গে বিলসত,
ললিত লোচন কঞ্জ মুখ মৃদু, হাস মঞ্জুল ঝলকয়ে॥
রূপ পিবইতে মত্ত অতিশয়, করত ভূসুরবৃন্দ জয় জয়,
বন্দিগণ মন মুদিত ঘন ঘন, বিমল যশ পরকাশয়ে।
তেজি নিজ নিজ গেহ ধায়ত, নারী পুরুখ ন থেহ পায়ত,
নিরখি রহু চহু ওর নিমিখন, দরশ রসসুখে ভাসয়ে॥
গান করু গুণী তান শ্রুতি সুর, রাগ মুরুছন গ্রাম সুমধুর,
নটত নর্ত্তক উঘটি তক তক, থৈ তা থৈ থৈ থি নি নি না।
বাদ্য বাদক বাওয়ে বহুতর, তাল প্রকট না হোত পটতর,
থোঙ্কৃ না না না না, থোঙ্গ থুঙ্কুট, ধো ধিলঙ্গ ধিকি ধি নি নি না॥
দীপ দমকে অসংখ্য ক্ষিতি পর, দিবসসম ভেল রজনী উজর,
বিপুল কল কল ধ্বনি নিরত, সব লোক গতি পথ শোহয়ে।
গগন গত লখি দেব অলখিত, সরস বরষত কুসুম পুলকিত,
দাস নরহরি পহুঁক অতুল, বিলাস জন মনমোহয়ে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৮-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ দেশপাল॥

কোটি মনমথ-গরবভর-হর পরম সুঘড় নিতাই হলধর,
করত গমন চড়ি নব চৌদোলে ছবি ছল ছলকয়ে।
বেশ বিরচি বিবাহ মত কত, ভাঁতি ভুষণ অঙ্গে বিলসত,
ললিত লোচন-কঞ্জ মুখ মৃদুহাস মঞ্জুল ঝলকয়ে॥
রূপ পীবইতে মত্ত অতিশয়, করত ভূসুরবৃন্দ জয় জয়,
বন্দিগণ-মন-মোদিত ঘন ঘন বিমল যশ পরকাশয়ে।
তেজি নিজ নিজ গেহ ধায়ত, নারীপুরুখ নমেহ পায়ত,
নিরখি রহুঁ চহু ওর নিমিখন-দরশরসসুখে ভাসয়ে॥
গান করু গুণী তালশ্রুতি সুর, রাগ মুরছন গ্রাম-সুমধুর,
নটত নর্ত্তক উঘটিত কতক, থৈতা থৈ থৈ নিনি নি না।
বাদ্যবাদক বাওয়ে বহুতর, তাল প্রকট না হোত পটতর,
থোঙ্কৃ না না না না থুঙ্গ থুঙ্কুট, ধোধিলঙ্গ ধিকি ধিকি নিনা॥
দীপদমকে অসংখ্য ক্ষিতিপর, দিবস সম ভেল রজনী উজোর,
বিপুল কলকলধ্বনি-নিরত, সব লোক গতি-পথ শোহয়ে।
গগনগত লখি দেব অলখিত, সরস বরষত কুসুম পুলকিত,
দাস নরহরি পহুক অতুল বিলাস জনমনমোহয়ে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শান্তিপুর-পতি পরমসুন্দর চরিত বরলীলা যাত
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৭৭-পৃষ্ঠা। পদটি কবির গীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের ৩১-পৃষ্ঠাতেও রয়েছে।

॥ পুনঃ কামোদঃ॥

শান্তিপুর-পতি পরমসুন্দর চরিত বরলীলা যাত।
ভাব ভরে অতি, মত্ত অনুখন, বিপুল পুলকিত গাত॥
প্রবল কলি মদ,-দমন ঘন ঘন, ঘোর গরজি বিভোর।
গৌরহরি হরি, ভণত কম্পই, গিরত সহচর কোর॥
অবনি ঘন গড়ি,-যাত নিরুপম, ধূরি ধূসর দেহ।
কঞ্জলোচন, ঝরই ঝর ঝর, যনু সুশাঙণ মেহ১॥
দীন দুঃখিত, নেহারি করু, করুণা ভূবনে পরচার।
দাস নরহরি, পহুক বলি,-হারি পরম উদার॥

১। - যেন সুন্দর শ্রাবণমাসের মেঘ।

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৯৩-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ কামোদ॥

শান্তিপুরপতি পরম সুন্দর, চরিত বর লীলা যাত।
ভাবভরে অতি  মত্ত অনুখন, বিপুল পুলকিত গাত॥
প্রবল কলি মদ-দমন ঘন ঘন, ঘোর গরজি বিভোর।
গৌরহরি হরি ভণত কম্পই, গিরত সহচর কোর॥
অবনী ঘন গড়ি যাত নিরুপম, ধূলিধূসর দেহ।
কুঞ্জ লোচন, ঝরই ঝরঝর, জনু স শাঙন মেহ॥
দীন দুখিত নেহারি করু, করুণা ভূবনে পরচার।
দাস নরহরি পহুঁক বলি বলিহারি পরম উদার॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভুবনে জয় জয় নিতাই দয়াময়
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৭৩-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা ধানশী॥

ভুবনে জয় জয়, নিতাই দয়াময়, হরয়ে ভবভয় নিজগুণে।
অধম দুরগত, তাহারে উনমত, করই অবিরত, প্রেমদানে॥
গৌরহরি বুলি, নাচয়ে বাহু তুলি, পড়য়ে ঢুলি ঢুলি, ক্ষিতিতলে।
কোমল কলেবর, কি হেম ধরাধর, সে ধূলিধূষর, শোভে ভালে॥
জিনি কমলদল, নয়ন টল মল, সঘনে ছল ছল, জলধারা।
বদনে মৃদু হাসি, ঢালয়ে সুধারাশি, কলুষ তমনাশি, শশী পারা॥
কি ভাবে গর গর, কাঁপয়ে থর থর, রঙ্গ কি কব, নরহরি দাসে।
অখিল চরাচর, নিরখি পহুবর, ভুলল দুঃখ ভর, সুখে ভাসে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ ধানশী॥

ভুবনে জয় জয়                                 নিতাই দয়াময়
হরয়ে ভবভয় নিজগুণে।
অধম দুরগত                                  তাহারে উনমত
করই অবিরত, প্রেমদানে॥
গৌরহরি বলি                                 নাচয়ে বাহু তুলি
পড়য়ে ঢুলি ঢুলি, ক্ষিতিতলে।
কোমল কলেবর                                কি হেম-ধরাধর
সে ধূলি ধূসর শোহে ভালে॥
জিনি কমলদল                                     নয়ন টলমল
সঘনে ছল ছল জলধারা।
বদনে মৃদু হাসি                                ঢালয়ে সুধারাশি
কলুষ-তমনাশী শশী পারা॥
কি ভাবে গর গর                               কাঁপয়ে থর থর
রঙ্গ কি কব নরহরি দাসে।
অখিল চরাচর                                  নিরখি পহুঁ বর
ভুলল দুঃখভর সুখে ভাসে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিতাই গুণনিধি শোভার অবধি
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৭১-পৃষ্ঠা।

॥ পুনর্ধানশী॥

নিতাই গুণনিধি, শোভার অবধি, কি সুধায়ে বিধি গঢ়িল সাধে।
প্রভাতের ভানু, যিনি তনু ছটা, হেরিয়া কেমন ধৈরয বান্ধে॥
আজানু লম্বিত, ভুজ ভুজঙ্গম, ভঙ্গি নিরুপম, রঙ্গেতে ভাসি।
বদন শরদ,-বিধু ঘটা ঘন, বরিষয়ে সুধা ঈষৎ হাসি॥
গোরা গোরা বলি, গর গর হিয়া হিলি দুলি চলে, কুঞ্জর পারা।
টল মল জল,-জারুণ লোচনে, ঝর ঝর ঝরে আনন্দধারা॥
সুর নরগণ, ধায় চারিপাশে, সে দুলহ পদ-পরশ আশে।
দাস নরহরি, পহু-পরতাপে, বলি কলিকাল, কাঁপয়ে ত্রাসে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৮৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  
নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে
নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ ধানশী॥

নিতাই গুণনিধি                            শোভার অবধি
কি সুধায়ে বিধি গড়িল সাধে।
প্রভাতের ভানু                              জিনি তনুছটা
হেরিয়া কেমন ধৈরজ বাঁধে॥
আজানুলম্বিত                                ভুজ ভুজঙ্গম
ভঙ্গী নিরুপম রঙ্গেতে ভাসি।
বদন শরদ-                                   বিধু-ঘটা ঘন
বরিষয়ে সুধা ঈষৎ হাসি॥
গোরা গোরা বলি                             গর গর হিয়া
হেলি দুলি চলে কুঞ্জর পারা।
টল মল জল-                               জারুণ-লোচনে
ঝর ঝর ঝরে আনন্দধারা॥
সুর-নরগণ                                 ধায় চারিপাশে
সে দুলহ পদ পরশ-আশে।
দাস নরহরি                                  পহুঁ পরতাপে
বলী কলিকাল কাঁপয়ে ত্রাসে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শচীসুত গৌরহরি নবদ্বীপে অবতরি
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৬৪-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---কামোদঃ॥

শচীসুত গৌরহরি, নবদ্বীপে অবতরি করিলেন বিবিধ বিলাস।
সঙ্গে লৈয়া প্রিয়গণ, প্রকাশিয়া সঙ্কীর্ত্তন, বাঢ়াইলা সবার উল্লাস॥
কিবা সে সন্ন্যাসবেশে, ভ্রমি পহু দেশে দেশে, নীলাচলে আসিয়া রহিলা।
রাধিকার প্রেমে মাতি, না জানি দিবা রাতি, সে প্রেমে জগৎ মাতাইলা॥
নিত্যানন্দ বলরাম, অদ্বৈত গুণের ধাম, গদাধর শ্রীবাসাদি যত।
দেখি সে অদ্ভুত রীতি, কেহ না ধরয়ে ধৃতি, প্রেমায় বিহ্বল অবিরত॥
দেবের দুর্ল্লভ রত্ন, বিলাইলা করি যত্ন, কৃপার বালাই লৈয়া মরি।
কৈলা কলিযুগ ধন্য, প্রভু কৃষ্ণচৈতন্য, যশ গায় দাস নরহরি॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী
সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি
চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া
বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ কামোদ॥

শচীসুত গৌরহরি                                   নবদ্বীপে অবতরি
করিলেন বিবিধ বিলাস।
সঙ্গে লৈয়া প্রিয়গণ                                প্রকাশিয়া সংকীর্ত্তন
বাঢ়াইলা সবার উল্লাস ॥
কিবা সে সন্ন্যাস বেশে                          ভ্রমি প্রভু দেশে দেশে
নীলাচলে আসিয়া রহিলা ।
রাধিকার প্রেমে মাতি                              না জানি দিবারাতি
সে প্রেমে জগত মাতাইলা ॥
নিত্যানন্দ বলরাম                                  অদ্বৈত গুণের দাম
গদাধর শ্রীবাসাদি যত ।
দেখি সে অদ্ভুত রীতি                              কেহ না ধরয়ে ধৃতি
প্রেমায় বিহ্বল অবিরত ॥
দেবের দুর্লভ রত্ন                                   মিলাইলা করি যত্ন
কৃপার বালাই লৈয়া মরি ।
কৈলা কলিযুগ ধন্য                                    প্রভু কৃষ্ণচৈতন্য
যশ গায় দাস নরহরি ॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরা বড় দয়ার ঠাকুর
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং
৪২৬ গৌরাব্দে (১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ
তরঙ্গ, ৯৪৯-পৃষ্ঠা।

॥ পুনঃ মেঘরাগঃ॥        

গোরা বড় দয়ার ঠাকুর। সঙ্কীর্ত্তন মেঘে প্রেম বরিষে প্রচুর॥
পরিকরমাঝে সাজে ভালো। অপরূপ রূপেতে ভুবন করে আলো॥
নাচয়ে কত না ভঙ্গি করি। কেবা বা ধরিবে হিয়া সে মাধুরী হেরি॥
করতাল বাজয়ে মৃদঙ্গ। গায়য়ে মধুর গীত অমিয়া তরঙ্গ॥
কেহ হাসে কেহ কেহ কাঁদে। ভূমে গড়ি যায় কেহ থির নাহি বাঁধে॥
জয় ধ্বনি এ ভূমি আকাশ। মাতিল পামর হীন নরহরিদাস॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৭৩-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।  নরহরি চক্রবর্তী বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও
“নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ
বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ মেঘরাগ॥

গোরা বড় দয়ার ঠাকুর।
সঙ্কীর্ত্তন মেঘে প্রেম বরিষে প্রচুর॥
পরিকরমাঝে সাজে ভাল।
অপরূপ রূপেতে ভুবন করে আলো॥
নাচয়ে কত না ভঙ্গী করি।
কেবা বা ধরিবে হিয়া সে মাধুরী হেরি॥
বায়ে করতাল মৃদঙ্গ।
গায়এ মধুর গীত অমিয়া তরঙ্গ॥
কেহ হাসে কেহ কেহ কাঁদে।
ভূমে গড়ি যায় কেহ থির নাহি বাঁধে॥
জয়ধ্বনি এ ভূমি আকাশ।
মাতিল পামর হীন নরহরি দাস॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
গোরাচাঁদের কি বা এ লীলা
ভণিতা নরহরি দাস
কবি নরহরি চক্রবর্তী।
নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) দ্বারা আনুমানিক ১৭২৫ সাল নাগাদ বিরচিত ও সংকলিত এবং ৪২৬ গৌরাব্দে
(১৯১৩ খৃষ্টাব্দ), রামদেব মিশ্র দ্বারা প্রকাশিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থ, দ্বাদশ তরঙ্গ, ৯৪৬-পৃষ্ঠা।

॥ গীতে যথা---যথারাগঃ॥        

গোরা,-চাঁদের কি বা এ লীলা। পুরুবে গোপিকা,-চির হরে এবে সে ভাবে বিহ্বল হৈলা॥
চাহি, প্রিয় পরিকর পানে। ভঙ্গী করি চীর, হরে সে সবার, কেবা এ মরম জানে॥
যেন, হইল সকলি সেই। সুখের অবধি, সাধি নিজ কায়, সবারে বসন দেই॥
দেখি, দাস নরহরি ভণে। ভুবনের মাঝে, কেনা উনমত, এ চারু-চরিত-গানে॥

ই পদটি ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত,
পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২২৬-পৃষ্ঠা।  নরহরি চক্রবর্তী
বিরচিত “ভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের “নরহরি” ও “নরহরি দাস” ভণিতাযুক্ত পদের মধ্য থেকে নেওয়া বলে এই
পদটি নরহরি চক্রবর্তীর পদ বলে বিবেচিত হয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

গোরাচাঁদের কিবা এ লীলা।
পুরুবে গোপিকা-চীর হরে এবে সে ভাবে বিভোল হৈলা॥
চাহি প্রিয় পরিকর পানে।
ভঙ্গী করি চীর হরে সে সভার কেবা এ মরম জানে॥
যেন হৈল সকলি সেই।
সুখের অবধি সাধি নিজকাজ সবারে বসন দেই॥
দেখি দাস নরহরি ভণে।
ভুবনের মাঝে কে না উনমত এ চারু চরিত গানে॥

.            *************************              

=== নরহরির বিভিন্ন সূচীতে যেতে . . . ===
নরহরি নামের কবিদের একত্রে সকল পদাবলীর সূচীতে . . .   
সকল নরহরি ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরি দাস ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
সকল নরহরিয়া ভণিতাযুক্ত পদের সূচীতে . . .   
বিভিন্ন পদ-সংকলনে প্রাপ্ত অনির্দিষ্ট নরহরির পদের সূচীতে . . .  
নরহরি সরকারের নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর নির্দিষ্ট ভাবে জ্ঞাত সকল পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর ভক্তিরত্নাকর গ্রন্থের পদের সূচীতে . . .   
নরহরি চক্রবর্তীর বিভিন্ন সংকলনে প্রাপ্ত পদের সূচীতে . . .   


মিলনসাগর