শুন শুন সই কালিকার কথা কি আর বলিব তোরে ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৯-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
শুন শুন সই কালিকার কথা কি আর বলিব তোরে। কুলবতী সতী ধরম শাশুড়ী শিখাতে বলিল মোরে॥ হেনই সময়ে অতি অপরূপ উঠিল কীর্ত্তনধ্বনি। পাগলীর পারা হইলা শাশুড়ী খোলের শবদ শুনি॥ ত্যজি নিজ কাজ তরাতরি সেথা যাইতে অথির পথে। আতুর হইয়া মোর প্রতি বলে চলহ আমার সাথে॥ মো পুনঃ কবিনু গৃহকাজ সব পড়িয়া আছয়ে এথা। আর তাহে মুই কুলবধূ বলি কিরূপে যাইব সেথা॥ এতেক বলিয়া কহে গৃহকাজ করিয়া নিতুই মর। বারেক ও চাঁদবদন নিরখি জনম সফল কর॥ ইহা শুনি সুখে তুরিতে যাইয়া দেখিনু নয়ান ভরি। নরহরি কহে তুয়া শাশুড়ীর বালাই লইয়া মরি॥
শুন শুন সই দিবা অবসানে অধিক সানন্দ হৈয়া ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৯-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
শুন শুন সই দিবা অবসানে অধিক সানন্দ হৈয়া। গৌরগমন শুনিয়া বাহির দুয়ারে দাঁড়ানু গিয়া॥ বিধি বিড়ম্বিল তথা সে শ্বশুর সহিত হইল দেখা। কহিল যতেক কটুবাণী ও গো নাহিক তাহার লেখা॥ অধিক কোরধে কহয়ে এখন ছাড়িব নদ্যার বাস। সে কথা শুনিয়া পরাণ উড়িল মিটিল সকল আশ॥ কাতর হইয়া রহিনু ব্যথিত কে আছে বুঝাতে পারে। নরহরি কহে কিসের ভাবনা নদ্যা কে ছাড়িতে পারে॥
শুন শুন অগো মনে ছিল আশা রহিব পরম সুখে ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৯-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
শুন শুন অগো মনে ছিল আশা রহিব পরম সুখে। কণ্টকের বনে বিহি বসাইল সতত মরি এ দুখে॥ আমার স্বশুর গুণের ঠাকুর সে দেয় অধিক ব্যথা। শাশুড়ী মোর অতি সুজনতারে শিখায় কঠিন কথা॥ নিভৃতে বসিয়া ধীরে ধীরে কহে ঘরেতে থাকত তুমি। সেখানে যাইয়া কাজ সমাধিয়ে তুরিতে আসিব আমি॥ নদীয়া পাগল করিতে অখনি বাজিবে নিমাইর খোল। বধূগণ যাবে ধাইয়া কেহ না মানিব কাহাক বোল॥ তাগাতে বাড়ীর বাহিরে কপাট দেওল তুরিতে যাঞা। এইরূপ কত কহয়ে আমরা শুনিয়া লজ্জিত হৈঞা॥ ইহাতে কিরূপে দেখিব তাঁহারে বিষম হইল ঘর। নরহরি কহে যে জন চতুর তার কি উহাতে ডর॥
দুখের কাহিনী কি কব সজনি আর না সহিতে পারি ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৯-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
দুখের কাহিনী কি কব সজনি আর না সহিতে পারি। পাড়া পরসীর গঞ্জন-আনল তাহাতে পুড়িয়া মরি॥ শাশুড়ী ননদ যেরূপ আমারে তাহা কি না জান সই। শ্বশুরের গুণ কহিতে না হয় তখনি তোমারে কই॥ ঘরে বসি থাকে চলিতে শকতি নাহিক নিপট কুঁজা। নানা দ্রব্য লৈঞা বিবিধ বিধানে করয়ে শিবের পূজা॥ গলায় বসন দিয়া দুই কর যুড়িয়া মাগয়ে বর। থির হৈয়া রহে বধূগণ যেন তিলেক না ছাড়ে ঘর॥ এইরূপ কত প্রার্থনা করিয়া সাধয়ে আপন কাজ। আড়ালে থাকিয়া শুনিএ সে সব পাইয়া অধিক লাজ॥ আর শুন যেই সময়ে কীর্ত্তন করয়ে গুণের মণি। সে সময় বুড়া অতি সচকিত খোলের শবদ শুনি॥ ডাগর নয়ানে চাহে চারি পানে দেখিতে লাগয়ে ভয়। বিকট বদন করিয়া সবারে কঠোর বচন কয়॥ আমাদের গতি বুঝিয়া সে করে বাহির দুয়ারে থানা। নরহরি কহে খিড়কির পথে যাইতে কে করে মানা॥
শুন গো সজনি শ্বশুরের কিছু চরিত্র কহিয়ে তোরে ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১২৯-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
শুন গো সজনি শ্বশুরের কিছু চরিত্র কহিয়ে তোরে। বিরলে অনেক বুঝাইয়া পুনঃ যতনে কহয়ে মোরে॥ এক মোর বহু ভ্রম আর তুমি ভাল মানুষের ঝী। চরণ ছুইয়া বলহ দুদিগ্ রাখিব না হলে কি॥ এত শুনি কত শপথ খাইয়া ঘুচাইনু তার দ্বিধা। হেব কালে মোর শ্রবণে পশিল মৃদঙ্গ-শবদ-সুধা॥ অমনি ধাইয়া চলিনু যেখানে বিলসে গৌরাঙ্গরায়। মোর এ চরিত শুনিয়া শ্বশুর হইলা আনলপ্রায়॥ মোর পাছে পাছে ধাইয়া আইলা বিষম লগুড় লৈয়া। কি করিব মোর পরাণ উড়িল শ্বশুরের পানে চাঞা॥ কোরধ-নয়ানে সে পুনঃ বারেক হরিল গৌরাঙ্গচাঁদে। আঁখি ফিরাইতে নারিল অমনি পড়িল প্রেমের ফাঁদে॥ পরম হরষ হইয়া হাতের লগুড় ফেলাঞা দিলা। হরি হরি বলি তুলি দু বাহু নাচিয়া বিহ্বল হৈলা॥ এইরূপ কত কৌতুক দেখিয়া মো পুনঃ চলিনু ঘরে। কতক্ষণে তেঁই যাইয়া কতেক প্রশংসা করিল মোরে॥ মোর করে ধরি আপনার দোষ কহিতে আতুর হৈলা। দেখি বেয়াকুল চরণ বন্দিনু তাহাতে আনন্দ পাইলা॥ নরহরি কহে এতদিনে যেন সকল সঙ্কোচ গেল। তুয়া কৃপাবলে বুড়ার বিষম হৃদয় হইল ভাল॥
রজনী দিবস কখন স্বপনে না জানি সুখের লেশ ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩০-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
রজনী দিবস কখন স্বপনে না জানি সুখের লেশ। ভাবিতে ভাবিতে হিয়া জর জর শরীর হইল শেষ॥ যদি বল আশা পূরিল সবারকি লাগি তোমার নহু। সে কথা কি কব করমের দোষে হৈয়াছি কোণের বহু॥ বাড়ীর বাহির যাইতে শাশুড়ী পাড়য়ে কতেক গালি। সতী অসতী পতিমতিহীন সে দেখে চোখের বালি॥ যদি কোন দিন সুরধুনীঘাটে যাইয়া সিনান কালে। আনেরে না করে প্রতীত দারুণ ননদী সঙ্গেতে চলে॥ কোন ছলে যদি কাহাকে বারেক দেখিতে বাসনা করি। বিকট দাপটে কাঁপে তনু ঘন ঘুঙট ঘুচাইতে নারি॥ সে অতি চতুরা তার কাছে ছল করিতে লাগয়ে ডর। পরাণ কেমন করয়ে অমনি সিনাঞা আসিয়ে ঘর॥ নরহরি কহে তু বড় আজুলি ননদীরে কিবা ভয়। চোরের উপরে করি বাটপারি চোখে ধূলা দিতে হয়॥
কি কব সজনি মনের বেদন কলঙ্কে পূরিল দেশ ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩০-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
কি কব সজনি মনের বেদন কলঙ্কে পূরিল দেশ। যদিও আমার কোন পরকারে নাহি কিছু দোষলেশ॥ গৌরাঙ্গ গৌরাঙ্গ শুনি লোকমুখে না জানি কিরূপ সে। আমি কুলবধূ গৃহকোণে থাকি আমারে না জানে কে॥ দৌরাঙ্গসুন্দর কিরূপ কখন না দেখি নয়ানকোণে। শপথ খাইয়া নিবেদি তোমারে সে নাহি আমারে চিনে॥ মরমে মরিয়া থাকিয়ে কখন না যাই পরের ঘরে। তথাপি এ পাড়া-পরসী আমার কলঙ্ক গাইয়া মরে॥ মিছা অপবাদ শুনিতে শুনিতে জ্বলয়ে দ্বিগুণ আগি। কারে কি কহিব যুবক সময় কেবল দোষের বাগী॥ নরহরি কহে যে বল সে বল এ কথা কানে না ধরে। কিছু না থাকিলে মিছামিছি কেহ কারে কি কহিতে পারে॥
বিধাতার মনে না জানি কি আছে মানুষ-জনম দিয়া ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩০-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
বিধাতার মনে না জানি কি আছে মানুষ-জনম দিয়া। কি কব দারুণ দুখ-দাবানলে সতত দহিছে হিয়া॥ প্রাণধন গোরাচাঁদেরে দেখিতে সেখানে গেছিনু কাইল। সে কথা শুনিয়া পতি মতিহীন দিলে কত শত গাইল॥ দেবর আছিল নিকটে সে মোর বিরস দেখিতে নারে। নিন্দা কুবচন শুনিয়া তখনি কত নিরসিল তাঁরে॥ বল বল অগো ইহাতে কেমনে পূরিবে মনের আশ। নরহরি কহে না ভাবিহ আর কুমতি হইবে নাশ॥
শুন শুন ওগো পরাণ সজনি কহিএ তোমার প্রতি ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩২-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
শুন শুন ওগো পরাণ সজনি কহিএ তোমার প্রতি। শ্বশুর শাশুড়ী না জানি কি গুণে, করয়ে অধিক প্রীতি॥ ননদী আমারে, প্রাণসম জানে, কখন না দেয় গাইল। তেঁই পিসৈসের সনে গিয়াছিনু আইয়ের বাড়ীতে কাইল॥ আই মোরে স্নেহ করিল অনেক কি কব সে সব কথা। গৌরাঙ্গচাঁদেরে, না দেখি অন্তরে, বাড়িল দ্বিগুণ ব্যথা॥ খানিক থাকিয়া, বিদায় হইয়া, চলিনু মনের দুখে। দেখিলুঁ সে পাড়াবাসী বধূগণ আছয়ে পরমসুখে॥ মনেতে হইল যদি এ পাড়াতে হইত সবার বাস। তবে অনায়াসে সফল হইত যে ছিল মনেতে আশ॥ তুরিত গমনে ঘর পানে ওগো যে পথে আসিএ মোরা। সেই পথে প্রিয়া পরিকর সাথে দাঁড়ায়ে আছেন গোরা॥ পিসৈস নিকটে সঙ্কটে পড়িনু মুখে না নিঃসরে বাণী। অলপ ঘুঙট ঘুচাঞা দেখিনু ও চাঁদ বদনখানি॥ অঙ্গেক বসন খসিয়া পড়য়ে কাঁপিয়া উঠয়ে গা। ধরমে ধরমে ধীর ধার করি বাড়াইতে লাগিনু পা॥ ফিরিয়া ফিরিয়া হেরিয়ে হৃদয় অধিক ব্যাকুল হৈল। লাজ কুল ভয় ধরম কিছু না রহিবে নিশ্চয় কৈল॥ সে পথে পিসৈস দাঁড়াইল হেরি ধরিতে নারয়ে থে। নরহরি কহে ও রূপ হেরিয়া না ভুলে এমন কে॥
কি বলিব ওগো ননদ আমার কেবল বিষের ফল ভণিতা নরহরি কবি নরহরি সরকার ঠাকুর ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত, জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী” (১৯৩৪, প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৩২-পৃষ্ঠা। শ্রীখণ্ড থেকে প্রকাশিত শ্রীল রাখালানন্দ ঠাকুর শাস্ত্রীর সম্পাদনায় “শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গমাধুরী” নামক পত্রিকায় শ্রীনরহরি সরকার ঠাকুরের, ১০৮টি পদের মধ্যে এই পদটিও গৌরপদতরঙ্গিণীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
. ॥ যথারাগ॥
কি বলিব ওগো ননদ আমার কেবল বিষের ফল। পরম চতুরা তার কাছে মোরা করিতে নারিএ ছল॥ তোমাদের প্রতি অধিক বিশ্বাস কপট না যায় জানা। বিহান বিকাল রজনী এথাতে আসিতে না করে মানা॥ এই ছলে যেন গিয়াছিনু কাইল দেখিতে গৌরাঙ্গচাঁদে। কে আছে এমন যুবতী তাহারে হেরিয়া ধৈরজ বাঁধে॥ কিবা সে পীঠের উপরে দুলিছে চাঁচর চিকুর ভার। কিবা সে কপালে অলকা তিলক কি দিব উপমা তার॥ কিবা সে ভুরুর ভঙ্গিমা চাহনি কিবা সে আঁখির ঠারা। কিবা সে মুখের হাসি অপরূপ বচন অমিঞাধারা॥ কিবা সে কাণের কুণ্ডল দোলনি কিবা সে গণ্ডের শোভা। কিবা সে নাসার মুকুতা কিবা সে রুচির চিবুক-আভা॥ কিবা সে ভুজের বলনি কিবা সে গলায় ফুলের হারা। কিবা সে সরুয়া মাজাখানি উরু উলট-কদলী পারা॥ কিবা সে সুচারু চরণ-নখর-কিরণে পরাণ হরে। নরহরি কহে ও রূপ হেরিয়া কিরূপে আইলা ঘরে॥