আজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার পূর্ব্বরাগ- সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৬৪। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “অজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। অথ জড়িমা। তত্র শ্রীগৌরচন্দ্র। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ- দ্বিজরাজ পেখলুঁ নব নব ভাব বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কছু নাহি জানত নয়নহিঁ অবিরত লোর॥ সজনি, হেরইতে লাগয়ে ধন্ধ। ঐছন প্রেম কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নব রস-কন্ধ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কছুই না শূনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ করত পুন ঘন ঘন প্রেমবতি নারিক জাত১॥ হরি হরি শবদ কাণহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহনদাস॥ টীকা - ১। “প্রেমবতি নারিক জাত” বাক্যটির অর্থ--- “প্রেমবতী নারীর সজাতীয়”। রাধামোহন ঠাকুর লিখিয়াছেন যে, এই পল্লবে শ্রীরাধার প্রেমই বর্ণিত হইতেছে বলিয়া, এ স্থলে “প্রেমবতী” শব্দে প্রেমিকা- শিরোমণি শ্রীরাধাকেই বুঝা যাইতেছে ; সুতরাং তাঁহার জাতীয় বলায় শ্রীগৌরাঙ্গকে শ্রীরাধার ভাবে বিভাবিতই বলা হইতেছে।---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৬-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ, দ্বিজ-রাজ পেখলু, নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কিয়ে, কছু নাহি জানত, নয়নহিঁ অবিরত লোর॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্ধ। ঐছন প্রেম, কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে, নিরুপম নব রস কন্দ॥ শত শত ভকত, উচ করি বোলত, কছুই না শুনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ, করত পুন ঘন ঘন, প্রেমবতি নারিক জাত॥ হরি হরি শবদ, কাণহি যব পৈঠত, তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রম-ময় বাত, কহত ইহ না বুঝিয়ে, কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ- দ্বিজরাজ পেখলুঁ নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কিছু নাহি জানত নয়নহি অবিরত লোর॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্দ। ঐছন প্রেম কতিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নবরস কন্দ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ করি বোলত কছুই না শুনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ করত পুন ঘন ঘন প্রেমবতি নারিক জাত॥ হরি হরি শবদ কানহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘনশ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন- মালা”, ৯৭-পৃষ্ঠা। পূর্ব্বরাগ। জড়িমা দশা। তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র। ॥ বেলাবলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কিছু নাহি জানত নয়নহি অবিরত নোর॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্দ। ঐছন প্রেম কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নব রস কন্দ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কিছুই না শূনয়ে বাত। হুঙ্কৃতি শব্দে করত পুনঃ ঘন ঘন প্রেমবতী নারিক জাত॥ হরি হরি শব্দ কাণহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহনদাস॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০২-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ- দ্বিজ-রাজ পেখল নব নব ভাব বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কছু নাহি জানত নয়নহিঁ অবিরত লোর॥ সজনি, হেরইতে লাগয়ে ধন্ধ। ঐছন প্রেম কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নব রস-কন্ধ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কছুই না শূনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ করত পুন ঘন ঘন প্রেমবতি নারিক জাত১॥ হরি হরি শবদ কাণহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহনদাস॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬। ॥ কর্ণাট বেলাবলীভ্যাং কুন্তলকুমুদ তালাভ্যাঞ্চ॥ অজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু নব নব ভাব বিভোর । দিন রজনী কিএ কছুই নাজানত নয়নহি অবিরত লোর ॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্দ । ঐ ছন প্রেম কহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নবরস কন্ধ ॥ ধ্রু ॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কছুই না শুনত বাত । হুঙ্কৃতি শবদ করই পুন ঘন ঘন প্রেমবতী নারীক জাত ॥ হরি হরি শবদ কানহিঁ যব পৈঠত তবহি ডারত ঘনশ্বাস । ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিএ ভণ রাধামোহনদাস ॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ অথ জড়িমা॥ তত শ্রীগৌরচন্দ্র॥ বেলাবলী॥ অজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখনু নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কি এ কিছু নাহি জানত নয়নহি অবিরত লোর॥ সজনি হেরএতে লাগএ ধন্ধ। ঐছন প্রেম কতিহু না হেরিয়ে নিরুপম নবরস ফন্দ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কিছুই না সুনএ বাত। হুংকৃতি শবদ করএ পুন ঘন ঘন প্রেমবতী নারিক জাত॥ হরি হরি শবদ কানহি পরি পৈঠত তবহি ডারত ঘনশ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিএ কহ রাধামোহন দাস॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
অজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “আজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ কর্ণাট বেলাবলীভ্যাং কুন্তলকুমুদ তালাভ্যাঞ্চ॥ অজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু নব নব ভাব বিভোর । দিন রজনী কিএ কছুই নাজানত নয়নহি অবিরত লোর ॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্দ । ঐ ছন প্রেম কহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নবরস কন্ধ ॥ ধ্রু ॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কছুই না শুনত বাত । হুঙ্কৃতি শবদ করই পুন ঘন ঘন প্রেমবতী নারীক জাত ॥ হরি হরি শবদ কানহিঁ যব পৈঠত তবহি ডারত ঘনশ্বাস । ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিএ ভণ রাধামোহনদাস ॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ অথ জড়িমা॥ তত শ্রীগৌরচন্দ্র॥ বেলাবলী॥ অজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখনু নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কি এ কিছু নাহি জানত নয়নহি অবিরত লোর॥ সজনি হেরএতে লাগএ ধন্ধ। ঐছন প্রেম কতিহু না হেরিয়ে নিরুপম নবরস ফন্দ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কিছুই না সুনএ বাত। হুংকৃতি শবদ করএ পুন ঘন ঘন প্রেমবতী নারিক জাত॥ হরি হরি শবদ কানহি পরি পৈঠত তবহি ডারত ঘনশ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিএ কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৬৪। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “অজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। অথ জড়িমা। তত্র শ্রীগৌরচন্দ্র। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ- দ্বিজরাজ পেখলুঁ নব নব ভাব বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কছু নাহি জানত নয়নহিঁ অবিরত লোর॥ সজনি, হেরইতে লাগয়ে ধন্ধ। ঐছন প্রেম কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নব রস-কন্ধ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কছুই না শূনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ করত পুন ঘন ঘন প্রেমবতি নারিক জাত১॥ হরি হরি শবদ কাণহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহনদাস॥ টীকা - ১। “প্রেমবতি নারিক জাত” বাক্যটির অর্থ--- “প্রেমবতী নারীর সজাতীয়”। রাধামোহন ঠাকুর লিখিয়াছেন যে, এই পল্লবে শ্রীরাধার প্রেমই বর্ণিত হইতেছে বলিয়া, এ স্থলে “প্রেমবতী” শব্দে প্রেমিকা- শিরোমণি শ্রীরাধাকেই বুঝা যাইতেছে ; সুতরাং তাঁহার জাতীয় বলায় শ্রীগৌরাঙ্গকে শ্রীরাধার ভাবে বিভাবিতই বলা হইতেছে।---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৬-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ, দ্বিজ-রাজ পেখলু, নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কিয়ে, কছু নাহি জানত, নয়নহিঁ অবিরত লোর॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্ধ। ঐছন প্রেম, কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে, নিরুপম নব রস কন্দ॥ শত শত ভকত, উচ করি বোলত, কছুই না শুনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ, করত পুন ঘন ঘন, প্রেমবতি নারিক জাত॥ হরি হরি শবদ, কাণহি যব পৈঠত, তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রম-ময় বাত, কহত ইহ না বুঝিয়ে, কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ- দ্বিজরাজ পেখলুঁ নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কিছু নাহি জানত নয়নহি অবিরত লোর॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্দ। ঐছন প্রেম কতিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নবরস কন্দ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ করি বোলত কছুই না শুনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ করত পুন ঘন ঘন প্রেমবতি নারিক জাত॥ হরি হরি শবদ কানহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘনশ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন- মালা”, ৯৭-পৃষ্ঠা। পূর্ব্বরাগ। জড়িমা দশা। তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র। ॥ বেলাবলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ দ্বিজরাজ পেখলু নব নব ভাবে বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কিছু নাহি জানত নয়নহি অবিরত নোর॥ সজনি হেরইতে লাগয়ে ধন্দ। ঐছন প্রেম কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নব রস কন্দ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কিছুই না শূনয়ে বাত। হুঙ্কৃতি শব্দে করত পুনঃ ঘন ঘন প্রেমবতী নারিক জাত॥ হরি হরি শব্দ কাণহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহনদাস॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০২-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলাবেলী॥ আজু হাম নবদ্বীপ- দ্বিজ-রাজ পেখল নব নব ভাব বিভোর। দিন রজনী কিয়ে কছু নাহি জানত নয়নহিঁ অবিরত লোর॥ সজনি, হেরইতে লাগয়ে ধন্ধ। ঐছন প্রেম কথিহুঁ নাহি হেরিয়ে নিরুপম নব রস-কন্ধ॥ ধ্রু॥ শত শত ভকত উচ্চ করি বোলত কছুই না শূনত বাত। হুঙ্কৃতি শবদ করত পুন ঘন ঘন প্রেমবতি নারিক জাত১॥ হরি হরি শবদ কাণহি যব পৈঠত তবহি ডারত ঘন শ্বাস। ভ্রমময় বাত কহত ইহ না বুঝিয়ে কহ রাধামোহনদাস॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
অতি অনুরাগে ভরল মনে ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২১১ । ॥ বেলোয়ার রাগ সম্পর্ক তালৌ ॥ অতি অনুরাগে ভরল মনে উত্সুক টুটল ধৈরজ লাজ । তনু অনুলেপন সঙ্গক পরিজন তেজল যত কিছু সাজ ॥ দেখ রাই চলত অতি মন্দ । নিজ অভিযোগ করব অতি নিশ্চয় বুঝিএ কাজক বন্ধ ॥ ধ্রু ॥ মুখজিত শরদ সুধাকর তনু রুচি কবলিত কাঞ্চন দণ্ড । নয়ন তিখিন শর ফুলশর মদহর ভাঙু মদন ধনু খণ্ড ॥ ঐছন ভাঁতি ভাবিনি ভালে ভেঠল মনমথ মনমথ পাশে। অনুভব লাগি গুপতহি সখি চল কহ রাধামোহন দাসে ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১ম পল্লব, স্বয়ং দৌত্য, ৬২০পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১০৯৪সংখ্যক পদ। ॥ বেলোয়ার॥ অতি অনুরাগে ভরল মনে উত্সুক টূটল ধৈরজ লাজ। তনু অনুলেপন সঙ্গক পরিজন তেজল যত কিছু সাজ॥ দেখ রাই চলত অতি মন্দ। নিজ অভিযোগ করত অতি নিশ্চয় বুঝিয়ে কাজক বন্ধ॥ মুখ জিত শরদ-সুধাকর তনু-রুচি- কবলিত-কাঞ্চন-দণ্ড। নয়ন তিখন শর ফুলশর-মদহর ভাঙু মদন-ধনু-খণ্ড॥ ঐছন ভাতি ভাবিনি ভালে ভেটল মনমথ-মনমথ পাশে। অনুভব লাগি গুপতহিঁ সখি চলু কহ রাধামোহন দাসে॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলোয়ার॥ অতি অনুরাগ, ভরল মন উত্সুক, টূটল ধৈরজ লাজ। তনু অনুলেপন, সঙ্গক পরিজন, তেজল যত কিছু সাজ॥ দেখ রাই চলত অতি মন্দ। নিজ অভিযোগ, করত অতি নিশ্চয়, বুঝিয়া কাজক বন্ধ॥ মুখ-জিত শরদ-সুধাকর তনু-রুচি-কবলিত-কাঞ্চন-দণ্ড। নয়ন তীখন শর, ফুলশর-মনোহর, ভাঙ মদন-ধনু-খণ্ড॥ ঐছন ভাতি, ভাবিনী ভালে ভেটল, মনমথ-মনমথ পাশে। অনুভব লাগি, গুপতহি সখী চলু, কহ রাধামোহন দাসে॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩৩- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলোয়ার॥ অতি অনুরাগ, ভরল মনে উত্সুক, টূটল ধৈরয লাজ। তনু অনুলেপন, সঙ্গক পরিজন, তেজল যত কিছু সাজ॥ দেখ রাই চলত অতি মন্দ। নিজ অভিযোগ, করত অতি নিশ্চয়, বুঝিয়া কাজক বন্ধ॥ মুখ-জিত-শরদ-, সুধাকর তনু-রুচি-, কবলিত-কাঞ্চন-দণ্ড। নয়ন তীখন শর, ফুলশর-মনোহর ভাঙ মদন ধনু খণ্ড॥ ঐছন ভাতি, ভাবিনী ভালে ভেঠল, মনমথ মনমথ পাশে। অনুভব লাগি, গুপতহি সখী চলু, কহ রাধামোহন দাসে॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীরাধার স্বয়ংদৌত্য ॥ বেলোয়ার॥ অতি অনুরাগে ভরল মনে উত্সুক টূটল ধৈরজ লাজ। তনু অনুলেপন সঙ্গক পরিজন তেজল যত কিছু সাজ॥ দেখ রাই চলত অতি মন্দ। নিজ অভিযোগ করত অতি নিশ্চয় বুঝিয়ে কাজক বন্ধ॥ মুখ জিত শরদ-সুধাকর তনু-রুচি- কবলিত-কাঞ্চন-দণ্ড। নয়ন তিখন শর ফুলশর-মদহর ভাঙ মদন-ধনু-খণ্ড॥ ঐছন ভাতি ভাবিনি ভালে ভেঠল মনমথ-মনমথ পাশে। অনুভব লাগি গুপতহিঁ সখি চলু কহ রাধামোহন দাসে॥ এই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫৮০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলোয়ার - বৃহৎ একতালা॥ অতি অনুরাগ ভরল মন উত্সুক টূটল ধৈরজ লাজ। তনু অনুলেপন সঙ্গক পরিজন তেজল যত কিছু সাজ॥ দেখ রাই চলত অতি মন্দ। নিজ অভিযোগ করত অতি নিশ্চয় বুঝিয়ে কাজক বন্ধ॥ মুখ জিত শরদ সুধাকর, তনু-রুচি- কবলিত-কাঞ্চন-দণ্ড। নয়ন তিখন শর ফুলশর-মদহর ভাঙু মদন-ধনু-খণ্ড॥ ঐছন ভাতি ভাবিনি ভালে ভেঠল মনমথ-মনমথ পাশে। অনুভব লাগি গুপতহিঁ সখি চলু কহ রাধামোহন দাসে॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
অদ্ভুত রূপ দৈবে হেরি দূরসঞে ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৫৯ । ॥ মঙ্গলরাগ দশকোষী তালৌ ॥ অদ্ভুত রূপ দৈবে হেরি দূরসঞে উনমতি পরশকি লাগি । বরজক সীম করল গতাগতি লাজ কুলভয় দুহুঁ ভাগি ॥ মম তনু কাঁপি চপল ভেল অন্তর ঘন ঘন বহত নিশ্বাস । তব ধরি জাগর শোষিত অন্তর বড়ই বেকত গদ ভাষ ॥ শুন মাধব তুয়া রূপ অপরূপ ফান্দ । সোধনি দুররি খীয়ত যৈছন অসিত চতুর্দ্দশী চান্দ ॥ কবহি গেয়ান শূন হই চাহই নাচিহ্নই নিজ সখী বৃন্দ । রমণীক হুঙ্কৃতি কহুঁ নাহি পেখলু শুনইতে লাগই ধন্দ ॥ প্রেমগজ দলন সহই না পারই জীবইতে করই ধিকার । অন্তর গত তুহুঁ নিরগত করইতে কত কত করত সঞ্চার ॥ অথির নয়নশর ঘাতে বিষমজর ছটপট জলজ শয়ান । রাধামোহন পঁহু কহই অপরূপ নহ যাহে লাগয়ে পাঁচ বাণ ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৭১। ॥ করুণা মঙ্গল॥ অদভুত রূপ দৈবে হেরি দূর সঞে উনমতি পরশক লাগি। বরজক সীম করত গতাগতি লাজ কুল-ভয় দূরে ভাগি॥ মন তনু কাঁপি চপল ভেল অন্তর ঘন ঘন বহত নিশ্বাস। তব ধরি জাগর- শোষিত অন্তর বড়ই বেকত গদভাষ॥ শুন মাধব তুয়া রূপ অপরূপ ফান্দ। সো ধনি দূবরি খীয়ত যৈছন অসিত-চতুর্দ্দশী চান্দ॥ কবহি গেয়ান- শূন হোই চাহই না চিহ্ণই নিজ সখিবৃন্দ। রমণিক হুঙ্কৃতি কতিহুঁ না পেখলুঁ শুনইতে লাগই ধন্দ॥ প্রেম-গজ-দলন সহই না পারই জীবইতে করই ধিকার। অন্তর-গত তুহুঁ নিরগত করইতে কত কত করত সঞ্চার॥ অথির নয়ন-শর- ঘাতে বিষম জর ছটফট জলজ শয়ান। রাধামোহন কহ ইহ অপরূপ নহ যাহে লাগয়ে পাঁচ-বাণ॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ করুণ মঙ্গল॥ অদভুত রূপ দৈবে হেরি দূর সঞে উনমতি পরশকি লাগি। বরজক সীমে করল গতাগতি লাজকুলভয় দুহু ভাগি॥ মন তনু কাঁপি চপল ভেল অন্তর ঘন ঘন বহত নিশ্বাস। তব ধরি জাগর শোষিত অন্তর বরই বেকত গদভাস॥ শুন মাধব তুয়া রূপ অপরূপ ফান্দ। সো ধনি দুররি খিয়ত জৈছনে অসিত চতুর্দশী চান্দ॥ কবহি গেয়ান সুন হই চাহই না চিহ্নই নিজ সখীবৃন্দ। রমণীক হুঙ্কৃতি কহুঁ নাহি পেখনু শুনইতে লাগএ ধন্দ॥ প্রেমগজ দলন সহই নাহি পারই জিবইতে করই ধিকার। অন্তরগত তোহ নিরগতো করইতে কত কত করত সঞ্চার॥ অথির নয়নশর ঘাতে বিষম সব ছটপট জলজ সমান। রাধামোহন কহো ইহ অপরূপ নহ জাহে লাগএ পাঁচবাণ॥ এই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৬৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীরাধিকার ব্যাধি-দশা ॥ মঙ্গলরাগ - দশকুশী॥ অদ্ভুত রূপ দৈবে হেরি দূরসঞে উনমতি পরশ কি লাগি। বরজকসীম করল গতাগতি, লাজকুলভয় দুহুঁ ভাগী॥ মম তনু কাঁপে চপল ভেল অন্তর ঘন ঘন বহত নিশ্বাস। তবধরি জাগরে শোষিত অন্তর বড়ই বেকত গদ ভাষ॥ শুন মাধব তুয়া রূপ অপরূপ ফাঁদ। সো ধনি দুবরি ক্ষীয়ত যৈছন অসিত চতুর্দ্দশী চাঁদ॥ কবহুঁ জ্ঞান শুন হই চাহই না চাহই নিজ সখী বৃন্দা। রমণীক হুঙ্কৃত কহু নাহি পেখনু শুনইতে লাগই ধন্ধ॥ পেম গজ দলন, সহই না পারই, জীব ইতে করই ধিকার। অন্তরগত তুহুঁ, নিরগত করইতে, কত কত করত সঞ্চার॥ অথির মদন শর, ঘাতে বিষম জ্বর, ছটপট জলজ শয়ান। রাধামোহন কঁহু, কহই অপরূপ নহ, যাহে লাগয়ে পাঁচ বাণ॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ করুণা মঙ্গল॥ অদভুত, রূপ, দৈবে হেরি দূর সঞে, উনমতি পরশক লাগি। বরজক সীম, করল গতাগতি, লাজ কুলভয় দূর ভাগি॥ মম তনু কাঁপি, চপল ভেল অন্তর, ঘন ঘন বহত নিশ্বাস। তব ধরি জাগর-শোষিত অন্তর বড়ই বেকত গদভাষ॥ শুন রাধা-মাধব তুয়া রূপ অদ্ভূত ফাঁন্দ। সো ধনী দূবরি, খীয়ত যৈছন, অসিত-চতুর্দ্দশী চান্দ॥ কবহি জ্ঞান-শূন হোই ঠাহই, না চিহ্নই নিজ সখীবৃন্দ। রমণীক হুঙ্কৃতি, কতিহুঁ নাহি পেখলু, শুনইতে লাগই ধন্দ॥ প্রেম-গজ-দলন, সহই নাহি পারই, জীবইতে করই বিকার। অন্তর গততুহুঁ, নিরগত করইতে, কত কত করত সঞ্চার॥ অথির নয়ন-শরঘাতে বিষম জর, ছটফট জলজ শয়ান। রাধামোহন কহ, ইহ অপরূপ নহ, যাহে লাগয়ে পাঁচ বাণ॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ করুণা মঙ্গল॥ অদভুত রূপ দৈবে হেরি দূর সঞে উনমতি পরশক লাগি। বরজক সীম করত গতাগতি লাজ কুল-ভয় দূরে ভাগি॥ মন তনু কাঁপি চপল ভেল অন্তর ঘন ঘন বহত নিশ্বাস। তবধরি জাগর- শোষিত অন্তর বড়ই বেকত গদ ভাষ॥ শুন মাধব তুয়া রূপ অপরূপ ফান্দ। সো ধনি দূবরি খীয়ত যৈছন অসিত-চতুর্দ্দশী চান্দ॥ কবহি গেয়ান- শূন হোই চাহই না চিহ্নই নিজ সখিবৃন্দ। রমণিক হুঙ্কৃতি কতিহুঁ না পেখলুঁ শুনইতে লাগই ধন্দ॥ প্রেম-গজ-দলন সহই না পারই জীবইতে করই ধিকার। অন্তর-গত তুহুঁ নিরগত করইতে কত কত করত সঞ্চার॥ অথির নয়ন-শর- ঘাতে বিষম জর ছটফট জলজ শয়ান। রাধামোহন কহ ইহ অপরূপ নহ যাহে লাগয়ে পাঁচ বাণ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
অপরুব দিনহি কুঞ্জমণি মণ্ডপে ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৪৩ । ॥ শারঙ্গরাগ মণ্ঠকতালৌ ॥ অপরূব দিনহি কুঞ্জমণি মণ্ডপে শিতল পবন বহ মন্দ । দ্বিজকুল নাদ সুবাদন যৈছন মনমথ যন্ত্রক ছন্দ ॥ জয় রাধা মাধব কেলি । দুহুক প্রেমলব কো করু অনুভব যবহুঁ সুরত-রস-কেলি॥ ধ্রু॥ তহিঁ পুন অতিশয় নাগরি আগরি অত এসে নিমিলিত আঁখি । আনন্দ সিন্ধু নিবেশহিঁ মোহিত দেওয়ই প্রতি অঙ্গে সাখি । তহিঁ অতি সুশীতল আনন্দ নীর ঝর পুলক ভরল সব অঙ্গ ॥ চীত পুতলি কিয়ে কাঁপয়ে ঘন ঘন অদভুত পুন স্বরভঙ্গ । অনধিন দেহ দণ্ড পরিশোভিত মুকুতা সম স্বেদ বিন্দু ॥ বিগলিত অঙ্গ রাগমণি ভূষণ কঞ্চুক অরু নিবিবন্ধ । যাকর পরিমলে মাতল থাবর তাহে কিএ জঙ্গম লেখি । রাধামোহন পহু চিতে নিতি জাগএ জনু উহ পাথর রেখি ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ৩য় পল্লব, স্বয়ং দৌত্য, ৬৩৪পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সারঙ্গ॥ অপরুব দিনহি কুঞ্জ-মণি-মণ্ডপে শিতল পবন বহ মন্দ। দ্বিজ-কুল-নাদ সুবাদন যৈছন মনমথ-যন্ত্রক ছন্দ॥ জয় রাধামাধব মেলি। দুহুঁক প্রেম-লব কো করু অনুভব যবহুঁ সুরত-রস-কেলি॥ ধ্রু॥ তহিঁ পুন অতিশয় নাগরি আগরি অতয়ে সে নিমিলিত-আঁখি। আনন্দ-সিন্ধু-নিবেশহিঁ মোহিত দেয়ই প্রতিঅঙ্গ সাখি॥ তহিঁ অতি সুশিতল আনন্দ-নিরঝর পুলক ভরল সব অঙ্গ। চীত-পুতলি জনু কাঁপয়ে ঘন ঘন অদভুত পুন সর-ভঙ্গ॥ অনধিন দেহ-দণ্ড পরি শোভিত মুকুতা সম স্বেদ-বিন্দু। বিগলিত অঙ্গ রাগ মণি-ভূষণ কঞ্চুক অরু নিবি-বন্ধ॥ যাকর পরিমলে মাতল থাবর তাহে কিয়ে জঙ্গম লেখি। রাধামোহন-পহু-চিতে নিতি জাগই জনু উহ পাথর-রেখি॥ এই পদটি শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থেরই ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৬৪৪সংখ্যক পদরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সারঙ্গ॥ অপরুপ দিনহিঁ কুঞ্জ-মণি-মণ্ডপে শিতল পবন বহ মন্দ। দ্বিজকুল-নাদ সুবাদন যৈছন মনমথ-যন্ত্রক ছন্দ॥ জয় রাধা-মাধব-কেলি। দুহুঁক প্রেম নব কো করু অনুভব যবহুঁ সুরত-রস-কেলি॥ ধ্রু॥ তহিঁ পুন অতিশয় নাগর আগর অতয়ে সে নিমিলিত আঁখি। আনন্দ-সিন্ধু নিবেশহিঁ মোহিত দেয়ই প্রতি-অঙ্গ সাখি॥ তহিঁ অতি সুশিতল আনন্দ-নীর ঝর পুলক ভরল সব অঙ্গ। চীত-পুতলি জনু কাঁপয়ে ঘন ঘন অদভুত পুন স্বর-ভঙ্গ॥ অনধিন দেহ-দণ্ড পরিশোভিত মুকুতা সম স্বেদ-বিন্দু। বিগলিত অঙ্গ-রাগ মণি-ভূষণ কঞ্চুক অরু নিবি-বন্ধ॥ যাকর পরিমলে মাতল থাবর তাহে কিয়ে জঙ্গম লেখি। রাধামোহন-পহু-চিতে নিতি জাগই জনু উহ পাথর-রেখি॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৪-পৃষ্ঠায় এবং ৪৪৩-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সারঙ্গ॥ অপরুপ দিনহি কুঞ্জ-মণি-মণ্ডপে শীতল পবন বহ মন্দ। দ্বিজ-কুল-নাদ, সুবাদন তৈছন, মনমথ-যন্ত্রক ছন্দ॥ জয় জয় রাধা মাধব মেলি। দুহুক প্রেম নব কো করু অনূভব, যবহুঁ সুরত-রস-কেলি॥ তহিঁ পুন অতিশয়, নাগর নাগরি, অতয়ে সে নিমীলিত আঁখি। আনন্দ-সিন্ধু-নীরে, সোই মোহিত, দেয়ই প্রতি অঙ্গ সাখী॥ তাই সুশীতল, আনন্দ নীর ঝর, পুলক ভরল সব অঙ্গ। চিত-পুতলী জনু, কাঁপয়ে ঘন ঘন, অদ্ভুত পুন স্বরভঙ্গ॥ অনধি দেহ-দণ্ড পরিশোভিত, মুকুতা সম স্বেদবিন্দু। বিগলিত অঙ্গ-রাগ মণি-ভূষণ, কঞ্চুক আধ নীবি-বন্ধ॥ যাকর পরিমলে, মাতল থাবর, তাহে কিয়ে জঙ্গম লেখি। রাধামোহন পহু, চিতে নিতি জাগই, জনু উহ পাথর-রেখি॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩৫- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সারঙ্গ॥ অপরুপ দিনহি, কুঞ্জ-মণি-মণ্ডপে, শীতল পবন বহে মন্দ। দ্বিজ-কুল-নাদ, সুবাদন তৈছন, মনমথ-যন্ত্রক ছন্দ॥ জয় রাধামাধব কেলি। দুহুঁক প্রেম নব, কো করু অনুভব, যবহুঁ সুরত-রস-কেলি॥ তহিঁ পুন অতিশয়, নাগর আগরি, অতএ সে নিমীলিত আঁখি। আনন্দ-সিন্ধু-নীরে, সোই মোহিত, দেয়ই প্রতি অঙ্গ সাখী॥ তাই সুশীতল, আনন্দ-নীর ঝর, পুলক ভরল সব অঙ্গ। চিত-পুতলী জনু, কাঁপয়ে ঘন ঘন, অদ্ভুত পুন স্বর-ভঙ্গ॥ অনধি দেহ- দণ্ড পরিশোভিত, মুকুতা সম স্বেদ-বিন্দু। বিগলিত অঙ্গ- রাগ মণি-ভূষণ, কঞ্চুক আধ নিবি-বন্ধ॥ যাকর পরিমলে, মাতল থাবর, তাহে কিয়ে জঙ্গম লেখি। রাধামোহন পহুঁ, চিতে নিতি জাগই, জনু উহ পাথর-রেখি॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। সম্ভোগ ॥ সারঙ্গ॥ অপরুপ দিনহিঁ কুঞ্জ-মণি-মণ্ডপে শিতল পবন বহ মন্দ। দ্বিজ-কুল-নাদ সুবাদন যৈছন মনমথ-যন্ত্রক ছন্দ॥ জয় রাধা-মাধব-মেলি। দুহুঁক প্রেম-লব কো করু অনুভব যবহুঁ সুরত-রস-কেলি॥ ধ্রু॥ তহিঁ পুন অতিশয় নাগরি আগরি অতয়ে সে নিমিলিত আঁখি। আনন্দ-সিন্ধু নিবেশহি মোহিত দেয়ই প্রতিঅঙ্গ সাখি॥ তহিঁ অতি সুশিতল আনন্দ-নিরঝর পুলক ভরল সব অঙ্গ। চীত-পুতলি জনু কাঁপয়ে ঘন ঘন অদভুত পুন সর-ভঙ্গ॥ অনধিন দেহ-দণ্ড পরিশোভিত মুকুতা সব স্বেদ-বিন্দ। বিগলিত অঙ্গ-রাগ মণি-ভূষণ কঞ্চুক অরু নিবি-বন্ধ॥ যাকর পরিমলে মাতল থাবর তাহে কিয়ে জঙ্গম লেখি। রাধামোহন-পহু-চিতে নিতি জাগই জনু উহ পাথর-রেখি॥ এই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫৯৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সারঙ্গ - তেওট॥ অপরুব দিনহি কুঞ্জ-মণি-মণ্ডপে শিতল পবন বহ মন্দ। দ্বিজকুল নাদ সুবাদন যৈছন মনমথ-যন্ত্রক ছন্দ॥ জয় রাধামাধব কেলি। দুহুঁক প্রেম-লব কো করু অনুভব যবহুঁ সুরত-রস-কেলি॥ ধ্রু॥ তহিঁ পুন অতিশয় নাগরি আগরি অতয়ে সে নিমিলিত আঁখি। আনন্দ-সিন্ধু নিবেশহিঁ মোহিত দেয়ই প্রতি অঙ্গ সাখি॥ তহিঁ অতি সুশীতল আনন্দ-নিরঝর পুলক ভরল সব অঙ্গ। চীত পুতলি জনু কাঁপয়ে ঘন ঘন অদভুত পুন সর-ভঙ্গ॥ অনধিন দেহ দণ্ড পরি শোভিত মুকুতা সম স্বেদবিন্দু। বিগলিত অঙ্গ- রাগ মণি-ভূষণ কঞ্চুক অরু নিবি-বন্ধ॥ যাকর পরিমলে মাতল থাবর তাহে কিয়ে জঙ্গম লেখি। রাধামোহন-পহু চিতে নিতি জাগই জনু উহ পাথর-রেখি॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
অভিসার লাগি বেশ বনায়ত ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬০ । ॥ আসাবরী রাগ বৃহদেক তালিতালৌ ॥ অভিসার লাগি বেশ বনায়ত সখিগণ আনন্দ পাই । কোই চিরণি ধরি চিকুর চিত্র করি সিন্দুর তিলক বনাই ॥ দেখ ভুবন মনোহর রাই । ও মুখ ছান্দে চান্দ মলিন তভু থির হোই নিরখই তাই ॥ ধ্রু ॥ কোই কছু অভরণ অঙ্গে চঢ়ায়ত চতু সম কোই লাগাত । সকলক শ্যাম সুখক লিএ অন্তর অনুভব বরণি নাজাত ॥ যাকর রাগ চরণ যুগ রঞ্জন নায়ক রঞ্জন কারি । ভণ রাধামোহন দুলহ সো সেবন ভাগি কি ঘটব হামারি ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩১শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৮১৩সংখ্যক পদ। ॥ করুণ বরাড়ী॥ অভিসার লাগি বেশ বনায়ত সখিগণ আনন্দ পাই। কোই চিরুণি ধরি চিকুর চিত্র করি সিন্দুর-তিলক বনাই॥ দেখ দেখ ভুবন-মনোহর রাই। ও মুখ-ছান্দে চান্দ মলিন তনু থির হোই নিরখই তাই॥ ধ্রু॥ কোই কছু অভরণ অঙ্গে চঢ়ায়ত চতু সম গাত লগাত। সকলক শ্যাম- সুখক লিয়ে অন্তর অনুভবি বরণি না যাত॥ যাবক-রাগ চরণযুগে রঞ্জন নায়ক রঞ্জন-কারি। ভণ রাধামোহন দুলহ সো সেবন ভাগি কি ঘটব হামারি॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ করুণ বরাড়ী॥ অভিসার লাগি, বেশ বনায়ত, সখীগণ আনন্দ পাই। কোই চিরুণী ধরি, চিবুক চিত্র করি, সিন্দূর-তিলক বনাই॥ দেখ দেখ ভুবন মনোহর রাই। ও মুখ ছাঁদ, চাঁদ মলিন-তনু, থির হই নিরখই তাই॥ কোই কছু আভরণ, অঙ্গে চঢ়ায়ত, চতুঃসম গাত লাগাত। সকলক শ্যাম-সুখক লিয়ে অন্তর, অনুভবি বরণি না যাত॥ যাবক-রাগ চরণযুগে রঞ্জন নায়ক রঞ্জন কারী। ভণ রাধামোহন, দুলহ সো সেবন, ভাগি কি ঘটব হামারি॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ করুণ বরাড়ী॥ অভিসার লাগি, বেশ বনায়ত, সখীগণ আনন্দ পাই। কোই চিরুণী ধরি, চিবুক চিত্র করি, সিন্দুর-তিলক বনাই॥ দেখ দেখ, ভুবন-মনোহর রাই। ও মুখ-ছাঁদ, চাঁদ মলিন-তনু, থির হোই নিরখই তাই॥ কোই কঁছু অভরণ, অঙ্গে চঢ়ায়ত, চতুঃসম গাত লাগাত। সকল শ্যাম, সুখক লিয়ে অন্তর, অনুভবি বরণি না যাত॥ যাবক-রাগ, চরণযুগে রঞ্জন, নায়ক রঞ্জন-কারী। ভণ রাধামোহন, দুলহ সো সেবন, ভাগি কি ঘটব হামারি॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ করুণ বরাড়ী॥ অভিসার লাগি বেশ বনায়ত সখিগণ আনন্দ পাই। কোই চিরুণি ধরি চিকুর চিত্র করি সিন্দুর-তিলক বনাই॥ দেখ দেখ ভুবন-মনোহর রাই। ও মুখ-ছান্দে চান্দ মলিন তনু থির হোই নিরখই তাই॥ ধ্রু॥ কোই কিছু অভরণ অঙ্গে চঢ়ায়ত চতুঃসম গাত লগাত। সকলক শ্যাম সুখক লিয়ে অন্তর অনুভবি বরণি না যাত॥ যাবকরাগ চরণযুগ রঞ্জন নায়ক রঞ্জন-কারি। ভণ রাধামোহন দুলহ সো সেবন ভাগি কি ঘটব হামারি॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |